অন্ধকার চক্রের ছোবলে আলোকিত সাইদুল
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

অন্ধকার চক্রের ছোবলে আলোকিত সাইদুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১:০৬ পূর্বাহ্ণ
অন্ধকার চক্রের ছোবলে আলোকিত সাইদুল

ফ্রিডম সিলেট প্রতিবেদক:: বড়লেখা পৌর এলাকার এক জনপ্রিয় নাম সাইদুল ইসলাম। পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের গাজিটেকা আইলাপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালিকের ছেলে তিনি। একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে উঠে আসা সাইদুল ইসলাম পৌর এলাকার তৃণমূল মানুষের কাছে এক বিশ্বস্ত ও নির্ভরতার নাম। সহযোগিতা, সামাজিকতা, বিচার-শালিস, গৃহ-বিবাদ, বিরোধ মেটানো—সবকিছুতেই সমাধান হিসেবে যে নামটি বিবেচিত হয়, তিনি সাইদুল ইসলাম।

অবশ্য এই অবস্থান একদিনে তৈরি হয়নি। তিলে তিলে মানুষের মনের মধ্যে ভালোবাসার আলো জ্বালিয়েছেন তিনি। সেই আলোতে আলোকিত করেছেন বড়লেখা পৌর এলাকা। তবে আলোর বিপরীতে অন্ধকারও থাকে। আলো সহ্য না হওয়া মানুষগুলো অন্ধকারমুখী। অন্ধকারের মানুষগুলো গিলে খেতে চায় সকল আলো। ফলে একের পর এক চলে আলো নিভিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। অব্যাহত চেষ্টার ফল—এখন কারাগারে আলোকিত জন। বর্তমানে একাধিক মামলায় কারাভোগ করছেন সাইদুল ইসলাম।

গেলো আওয়ামী দুঃশাসনে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা যখন মামলা-হামলায় জর্জরিত, তখন তাদের পরিবারের পাশে বড়লেখা উপজেলায় সর্বাগ্রে যিনি আর্থিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিলেন, তিনি সাইদুল ইসলাম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ সমর্থক হিসেবে নিরলসভাবে দীর্ঘ তিন যুগ মাঠ চষে বেড়িয়েছেন তিনি। বিনিময়ে দলীয় পদবি না জুটলেও পেয়েছেন তৃণমূল মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা—যার প্রমাণ গোটা পৌর এলাকার ত্যাগী ও দলীয় নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে সাইদুল ইসলামের নামে হয়েছে একাধিক মামলা। ফ্যাসিবাদী আমলে স্থানীয় সাংসদ ও বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, তার ভাগিনা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবং আরেক ভাগিনা জুয়েল আহমদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের আক্রোশে তাকে একাধিকবার জেল খাটতে ও মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছে।

বড়লেখা গাজিটেকা সাত মৌজার তিনি প্রধান কর্ণধার। একই সাথে বড়লেখা উপজেলায়ও তাঁর সুনাম বিস্তৃত থাকায় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সমাধানে এলাকাবাসীর ডাকে তিনিই থাকেন কান্ডারীর ভূমিকায়। তিনি বিচারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি একটি এতিমখানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তখন থেকেই মাদ্রাসার এতিম ছেলে-মেয়েদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। একই সঙ্গে বড়লেখা বাজার বণিক সমিতিতে তিনি ছিলেন একজন সদস্য। ফলে সেখানে তৈরি হয় সাইদুল ইসলামের শক্ত একটি প্রতিপক্ষ, যারা দিনে-রাতে তাকে ঘায়েল করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।

২০২০ সালে বড়লেখা পৌরসভায় যুবলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিন ও শামীম আহমদের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব ও ক্ষমতার দাপটে তার বিরুদ্ধে জি.আর ১০১/২০২০ (বড়), জি.আর ১০২/২০২০ (বড়) মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাইদুল ইসলাম দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি লাভ করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বড়লেখা উপজেলার প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের দ্বারা তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হন।

২০২০ সালের বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেই নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেও তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন সরজমিন উপস্থিত থেকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সাইদুল ইসলামকে বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে পরাজিত ঘোষণা করেন এবং আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল ইমাম মোহাম্মদ কামরান চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

সাইদুল ইসলামের এত জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক হিংসাবশত তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একের পর এক তাণ্ডবলীলা চলমান রয়েছে। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের সময় স্থানীয় ও সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, যার প্রমাণ তার নামীয় (Saidul Islam) ফেসবুক আইডিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ও সাধারণ জনগণ বড়লেখা থানা ঘেরাও করলে, সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে বড়লেখা থানাসহ ওসি ও সকল পুলিশ সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পান।
জেলে থাকা সাইদুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন অনেকেই। প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে অনেককে। রাষ্ট্রের কাছে তাদের দাবি—সাইদুল ইসলামের প্রতি ন্যায়বিচার করা হোক।

“জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার আন্দোলন: ৫ আগস্ট সাইদুল ইসলামের অবস্থান (ভিডিও লিংক)”  https://www.facebook.com/watch/?v=461615666699420

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।