সালমান শাহকে খুনের জন্য ডনকে ১২ লাখ টাকা দেন সামিরার মা!
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

সালমান শাহকে খুনের জন্য ডনকে ১২ লাখ টাকা দেন সামিরার মা!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
সালমান শাহকে খুনের জন্য ডনকে ১২ লাখ টাকা দেন সামিরার মা!

সালমান শাহ হত্যার ঘটনা স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে চেয়ে অন্যতম আসামি রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান, সালমান শাহকে খুনের জন্য সামিরার মা ডনকে ১২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। হত্যার আগে ৬ লাখ ও পরে ৬ লাখ। তিনি হত্যার আগে ৬ লাখ টাকা দেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত সূত্রে এ জবানবন্দির তথ্য জানা গেছে।

সালমান শাহ হত্যার মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ সালমান শাহর ভাই বিল্টুকে অপহরণের পরিকল্পনা করে ডন ও ডেভিড। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই গ্রেপ্তার হন রিজভী আহমেদ। পরে সালমান শাহ হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

জবানবন্দিতে বলেন, ৯০ দশকের প্রথম দিকে রিজভী মাঝে মাঝে ঢাকায় আসতেন এবং ছবি দেখার জন্য এফডিসিতে যেতেন। একসময় অভিনেতা ডনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরে ডেভিড, ফারুকের সঙ্গেও তার পরিচয় হয়। ডন সালমান শাহর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সালমানের স্ত্রী সামিরার সঙ্গে ডনের গোপন সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং দৈহিক সম্পর্কও ছিল। সামিরার মায়ের সঙ্গে চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গোপন ও দৈহিক সম্পর্ক ছিল। সালমান ডনকে এড়িয়ে চলতেন।

১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলিস্তানের বারে সালমান শাহ হত্যার প্রস্তুতি নিয়ে রিজভী এফডিসিতে যায়। ডনকে না পেয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে। পরে ডনকে পান। রাত ৮টায় ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ ও রিজভী গুলিস্থানের কাছে একটা বারে যায়। সেখানে টেলিফোনে আরও ২ জন ছেলে ছাত্তার ও সাজুকে আসতে বলে। তারা কিছুক্ষণ পরে আসে। ফারুক ২ লাখ টাকা বের করে বলে, ছামিরার মা টাকা দিয়েছে। সালমানকে শেষ করার জন্য মোট ১২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কাজের আগে ৬ লাখ ও কাজের পরে ৬ লাখ। কিন্তু ২ লাখ টাকা পেয়ে ডনের সঙ্গে ফারুক কথা কাটাকাটি হয়। পরে ফারুক ২০/২৫ মিনিট পরে আরও ৪ লাখ টাকা নিয়ে আসে। গুলিস্তানের বারে ডন প্লাস্টিকের দড়িটা দুই টুকরো করে। এক টুকরা নিজের মাজায় বেঁধে কালো জ্যাকেট গায়ে দেয়। বাকি অর্ধৈক রশি ফারুকের কাছে দেয়। টাকা, সিরিঞ্জ, রিভলভার ইত্যাদি তারা গুছিয়ে নেয়। ছামিরার মা ও আজিজ মোহাম্মদ ভাই দুজনে মিলেই সালমানকে শেষ করার জন্য ডন ও ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।