গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।

সাতক্ষীরায় নেতাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের ওপর জামায়াত সমর্থকদের হামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ
সাতক্ষীরায় নেতাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের ওপর জামায়াত সমর্থকদের হামলা

 

 

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় নেতাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের ওপর জামায়াত সমর্থকদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তালা হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে হামলার এই ঘটনা ঘটে। এর আগে, দুপুরে রহিমাবাদ গ্রামে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আরও একটি হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

 

হামলায় আহত হয়ে তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রহিমাবাদ গ্রামের আবতার মোড়লের স্ত্রী রমেছা বেগম।

 

ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিক বলছেন ‘আমরা সংবাদ সংগ্রহের কাজে এসেছিলাম’। আর আরেকজন জামায়াত নেতা সাংবাদিককে শাসাচ্ছেন আর বলছেন, ‘তুমি চুপ একদম কথা বলবা না’।

 

ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, গ্রামে একটি রাস্তা সংস্কার নিয়ে দুপুরের পর বৈঠকে বসে। সেখানে সাত্তার মোড়ল ও আনিছ মোড়ল রাস্তা করতে দেবে না বলে বাধা দেয়। তার বাবা প্রতিবাদ করলে ওই সাংবাদিক ও তার বাবা-মাকে দলবল নিয়ে মারপিট করে জামায়াতের সমর্থকরা। বর্তমানে তার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

এদিকে, সাংবাদিক রাজুর মার ওপর হামলার ঘটনায় সন্ধ্যায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যান খাঁন নাজমুল হুসাইন নামের অপর এক সাংবাদিক। সেখানে পৌঁছা মাত্রই পুনরায় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

 

হামলার শিকার সাংবাদিক খাঁন নাজমুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি সহকর্মী রাজুর মাকে দেখা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে পৌঁছা মাত্রই জরুরী বিভাগের সামনে তালা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের টিম সদস্য, চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. মশিয়ার রহমান ও উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর নেতৃত্বে ২০-৩০ জন জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে যুব জামায়াতের রেন্টুর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমিজমা মীমাংসার নামে চাঁদাবাজি, দখলবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

হামলার বিষয়ে যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু বলেন, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আমরা মীমাংসার জন্য গিয়েছিলাম। এ সময় সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হাতাহাতি হয় মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।

 

মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট পরবর্তী জমিজমা মীমাংসার নামে চাঁদাবাজি, দখলবাজির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়।

জামায়াত নেতা অ্যাড. মশিয়ার রহমান বলেন, নাজমুলকে আমি বলেছি এটা পারিবারিক বিষয়। ভিডিও করা, পত্রপত্রিকায় দিয়ে থানা পুলিশ করার দরকার নেই। এ সময় তর্ক হয়। তখন আমার সঙ্গে যারা ছিল তারা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। এ সময় কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়েছে এমনটাও স্বীকার করেন তিনি।

তালা থানার ওসি মো. মাঈনুদ্দীন বলেন, দুপুরে একটা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় আবার মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।