শীতে ব্রেকফাস্টে কী খেলে সতেজ থাকবেন সারাদিন?
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

শীতে ব্রেকফাস্টে কী খেলে সতেজ থাকবেন সারাদিন?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ
শীতে ব্রেকফাস্টে কী খেলে সতেজ থাকবেন সারাদিন?

শীত মৌসুমে আমাদের হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। পানি কম পান করার ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে খালি পেটে কিছু জিনিস খেলে শুধু রোগই দূরে থাকে না, সারাদিন এনার্জিতে ভরপুর থাকা যায়।

শীতকালে ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তাই শরীরের দুর্বলতা হ্রাস করাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের উপকার পেতে ব্রেকফাস্টে থাকতে হবে স্বাস্থকর খাবার।

 

ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়েট চার্ট করে দেয়া হয়। শীতেও তাদের সেই ডায়েট চার্ট মেনে চলা উচিত। এ ছাড়া অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মধু, তুলসী পাতা, গোল মরিচ ও রসুন ব্যবহার করতে পারেন শরীর বুঝে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলুন জেনে নেয়া যাক শীতে ব্রেকফাস্টে কী খাবেন-
  

চা পান

 

শীতের সকালে বিছানা ছেড়ে কিছুতেই উঠতে মন চায় না। তবে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিলে সব আলসেমি দূরে পালিয়ে যায়। গ্রিন টি, তুলসী টি, অথবা আদা চায়ের উপকারিতা রয়েছে। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয়, তেমনি শরীরও সতেজ থাকে।
  

রুটি

 

আটার রুটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই শীতকালে শরীরও গরম রাখে। লাল আটার রুটিতে ফাইবার এবং ভিটামিন বি রয়েছে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরে উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আর ভিটামিন বি দেহকে উষ্ণ রাখে।
  

ডিম

 

গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে ডিম খেলে শরীরের নানা সমস্যা দূরে থাকে। তাই সিদ্ধ, হোক বা পোচ প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার প্রতিদিনের সকালে খেতেই হবে। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ রয়েছে।
 

মিক্সড ভেজিটেবল

 

মিক্সড ভেজিটেবলে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার থাকে। বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম এই সবজি। ত্বকের লাবণ্য ফিরে আনতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
  

স্যুপ

 

স্যুপ খুবই স্বাস্থকর একটা খাবার। প্রতিদিন সকালে না হলেও যেকোনো একটা সময়ে স্যুপ খান। এতে শরীরে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ঠান্ডা দূর করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে।
  

মৌসুমি ফল

 

চিকিৎসকদের মতে, কিছু ফল রয়েছে যেগুলো শীত মৌসুমে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল অবশ্যই রাখুন।
 
 

মধু

 

শীতকালে মধুর কোনো বিকল্প নেই। গলার খুসখুস কমানোর পাশাপাশি মধু ঠান্ডা দূর করে মধু। প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খেলে শীতকাল সুস্থভাবে পারবেন! মধুর মধ্যে প্রাকৃতিক এনজাইম, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। মধু দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করে।
  

দুধ

 

শীতে স্বাস্থ্যের খুব যত্ন নিতে হয়। তা না হলে অনেক সমস্যা বেড়ে যায়৷ আর দুধের পুষ্টিগুণ কারও অজানা নয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ অবশ্যই রাখুন। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা শরীরের জন্য উপকারী।
  

কর্নফ্লেক্স

 

পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা গুরুত্ব দেন দিনের প্রথম খাবারের প্রতি। ব্রেকফাস্টের পরিমাণ ও খাদ্যবস্তুটির প্রতি সব সময়ই সচেতন থাকতে বলেন তারা। প্রতিদিন একঘেয়েমি খাওয়ার খেতে কারওই ভালো লাগে না। তাই মাঝে মধ্যে কর্নফ্লেক্স খান। এর মধ্যে ফল মিশিয়েও খেতে পারেন।
  

ব্রাউন ব্রেড

 

সাদা ব্রেডের চেয়ে ব্রাউন ব্রেড অনেক বেশি উপকারী। তাই সাদা ব্রেড ভুলে ব্রাউন ব্রেড খান। ব্রাউন ব্রেড গমের আটা, পানি, লবণ, চিনি এবং ইস্ট ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এটি গমের আটার জীবাণু এবং তুষ ধরে রাখে।
 

ওটস

 

ওটস খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। ওজন এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভোগলে সকালে আপনার অবশ্যই ওটস খাওয়া উচিত। এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং আপনার অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত ওটস আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখবে। ওটস অনেকভাবেই খেতে পারেন। দুধ দিয়ে, খিচুড়ি করে যেটা ভালো লাগে সেভাবেই খেতে পারেন।
  

কলা

 

ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ফল কলা খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদরা। প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে কলা অবশ্যই রাখুন। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কলা খান। কলা খেলে পেট ভরার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে আসে দারুণ এনার্জি।
  

মাখন

 

শরীরে কম-বেশি সব উপাদানই প্রয়োজন। তাই মাখনেরও চাহিদা রয়েছে। শীতে ব্রেকফাস্টে অবশ্যই মাখন খান। মাখন দিয়ে হালকা টোস্ট করে খেতে পারেন।
  

সুজি

 

সুজি পুষ্টিকর খাবার। সুজি দিয়ে অনেক রকম খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। ঝাল হোক কিংবা মিষ্টি দুরকমভাবেই সুজি খাওয়া যায়। এতে পেটও যেমন ভরা থাকবে, তেমনি শরীরও ভালো থাকবে।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।