সিলেটের বিদ্যুৎ যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেটে
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

সিলেটের বিদ্যুৎ যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেটে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ
সিলেটের বিদ্যুৎ যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেটে

 বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে জাতীয়ভাবে সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে সরকার। সরকারের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সিলেটের সব বিদ্যুৎ যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেটে। সিলেট নগরীতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো দিয়ে হরহামেশাই চলছে বিদ্যুৎ গিলে খাওয়া তিন চাকার এই বাহনটি। নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়রা নিজ বাড়ি কিংবা জায়গায় অটোরিকশা কিনে বেশি টাকা আয়ের চিন্তায় এসব রিকশা ভাড়া হিসেবে দিচ্ছেন যেখানে এসব রিকশা থেকে লাভের আশায় শহরের বিদ্যুতের বিরাট ক্ষতি করছেন এসব তথাকথিত মালিকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যাটারিচালিত এসব অটোরিকশা চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় চার্জ আর যেই চার্জ বিদ্যুৎ থেকে আসে। অনেকেই বিদ্যুতের ধারণক্ষমতার কথা চিন্তা না করে নিজ বাসা বাড়িতে অটোরিকশার অঘোষিত গ্যারেজ গড়ে তুলেছেন যেখান থেকে আয় হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। সিলেট নগরীর বেশ কিছু এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার গ্যারেজ আছে এছাড়াও সিলেট বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যার মধ্যে রয়েছে প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলা বিশ্বনাথ, বিয়ানীবাজার, দক্ষিণ সুরমা সহ বেশ কয়েকটি উপজেলা যেখানে তিন চাকার বাহনটি প্রতিদিনই গিলে খাচ্ছে মূল্যবান বিদ্যুৎ।

সরেজমিন নগরীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আম্বরখানা পয়েন্ট,জেল রোড পয়েন্ট, জিন্দাবাজার , নয়াসড়কে দেখা যায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও অবাধে চলছে বিদ্যুৎ গিলে খাওয়া এই বাহনটি। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক গুলোতে কোনো ট্রাফিক পুলিশ চোখে পড়েনি প্রতিবেদকের তবে জিন্দাবাজার ও আম্বরখানা পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে তাদের কোনো বাধাপ্রদান করতে দেখা যায়নি।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সুত্রে জানা যায়,সিলেট জেলায় প্রতিদিন ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। আর বাকি তিন জেলা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে প্রয়োজন ৭০ মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে সিলেটে বিভাগে প্রতিদিন প্রয়োজন ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে সিলেট বিভাগে চাহিদার ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে আখলাকুর রহমান নামের এক ভার্সিটি শিক্ষার্থী প্রতিবেদকে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারকে আমরা তাড়িয়েছি দেশটা সুন্দর করার জন্য তাদের রেখে যাওয়া বিদ্যুতের বকেয়া বর্তমান সরকারকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। তবে যাই হোক বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে এগুলো স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করলে বিদ্যুৎ অপচয় কমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

মুনজের আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যেই হারে বেড়ে চলছে এটা নিয়ে সরকারকে ভাবা উচিত তা না হলে আমরা আরো কঠিন পরিস্থতির মুখোমুখি হতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশা চালক বলেন, আমাদের মালিককে প্রতিদিন আয়ের একটি অংশ দিতে হয় এ ছাড়াও আমাদের পকেটের টাকা দিয়ে রিকশা চার্জের খরচ দেই।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) কর্মকর্তা মো: রুহুল আলম বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচলনা করা হয়। হয়তো ইদানিং ট্রাফিকের দায়িত্বশীলরা একটু কম নজর রাখছেন। তবে বিদ্যুত ব্যবহারের যে বিষয়টি সেটি পিডিপির বিষয় সেটি সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে সিলেট পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুন নুর বলেন, যদি কেউ মিটার ব্যবহার করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিল মিটারের মাধ্যমে আসবে এটাকে আমাদের কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে। তবে যদি কেউ মিটার ব্যবহার না করে অবৈধ লাইনের মাধ্যমে এটি ব্যবহার করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং জরিমানাও করব।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) বি. এম. আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, আমরা নিয়মিত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। বর্তমানে জনবল সংকট রয়েছে তবে আশা করি খুব দ্রুত এটা কেটে যাবে এ ছাড়াও নিয়মিত আমরা অটোরিকশা পেলে আটকাচ্ছি জরিমানা করছি তবে এসব তিন চাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের জন্য সকলের সম্মেলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।