বেহাল সিলেট-ঢাকা সড়ক, আন্দোলনের ডাক আরিফের
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

বেহাল সিলেট-ঢাকা সড়ক, আন্দোলনের ডাক আরিফের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:০০ পূর্বাহ্ণ
বেহাল সিলেট-ঢাকা সড়ক, আন্দোলনের ডাক আরিফের

সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই নাজুক অবস্থা। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে প্রতিদিনই লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। রেলপথের অবস্থাও নাজুক। ফলে এই অঞ্চলের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। এই দুর্ভোগ লাঘবে সরকারেরও তেমন উদ্যোগ নেই।

এর প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।

বুধবার রাতে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,   সিলেটের যগোযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দীর্ঘদিন ধরেই চলাচলের অনুপযোগী। এটির সংস্কার কাজেও কোন গতি নেই।

তিনি বলেন, মানুষের কষ্টের একটা সীমা আছে, সময়ের একটা ব্যাপার আছে। বছরের পর বছর ধরে এই দুর্ভোগ চলতে পারে না। সংস্কার কাজ চলমান অবস্থায় বিকল্প কি ব্যবস্থা। ট্রেনের ব্যাপারেও কোন সুখবর নেই। সরকারের পক্ষ থেকে এসব ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেই।

আরিফ বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় সিলেটে পণ্য আসতে আসতে দাম অনেক বেড়ে যায়। ফলে এখানকার মানুষদের বাড়তি দামে নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে। এসব মানা যায় না।

আরিফ বলেন, আমাদের প্রিয় বৃহত্তর  সিলেটের  যোগাযোগ ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভোগ, অনিয়ম ও চরম নৈরাজ্য আজ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জনগণের মৌলিক অধিকার — সহজ, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল যাতায়াতের অধিকার — আজ মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই অব্যবস্থাপনা ও অবিচারের প্রতিবাদে, এবং একটি যথাযথ উন্নয়নমূলক, স্বচ্ছ ও টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমরা সবাই একত্রিত হবো একটি ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে।

এই লক্ষ্যে আগামী রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নগরের কোর্ট পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করেছেন তিনি। এতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আরিফ।

এরআগে মঙ্গলবার একটি সমাবেশে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ও রেলযোগাযোগের দুরবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আজকে দেখুক্কা সিলেট থাকি ঢাকা যাইতে কত সময় লাগে। সাইফুর রহমানে (সাবেক অর্থমন্ত্রী) করি দিছলা। তিন ঘণ্টা, চার ঘণ্টায় সিলেট থাকি ঢাকা আইছি। ১৭ বছরে এমন উন্নয়ন হইছে, উন্নয়নের মহাসড়কে এখন ঢাকা থাকি সিলেট আইতে ১২ ঘণ্টা লাগে, ১৫ ঘণ্টাও লাগে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।’

দ্রুত এই অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থার সংস্কারকাজ শুরু না হলে সিলেটবাসীকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সিলেটের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘চিটাগাং সুন্দর করবা, উত্তরবঙ্গে ব্রিজ অইব আর সিলেটরে যা খুশি করবা, ইটা আর হতে দেওয়া যায় না। সিলেটের কথা আইলেই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ, সিলেটের কথা আইলেই সরকারের কাছে টেকা নাই। তো হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ কইরা এই সব ব্রিজ, কালভার্ট অন্যান্য অঞ্চলে হয় কীভাবে? চিটাগাং স্বর্গ বানাউক্কা, আমার কোনো আপত্তি নাই; আরও অঞ্চলেও হোক, খুশি হইমু। কিন্তু আমরা সিলেটিরা বাদ যাব কেন?’

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুরবস্থার প্রসঙ্গ টেনে আরিফুল হক বলেন, ‘আজকে একটা অসুস্থ রোগী নিয়া যাওয়া যায় না, রোগী রাস্তায় মারা যাইতাছে। ট্রেনের অবস্থা সেইম (একই)। সারা বাংলাদেশে নতুন নতুন ট্রেন, কম্পার্টমেন্ট (বগি)। সিলেটে টাডা (বজ্রপাত) পড়ছে! রেল কর্তৃপক্ষ এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়রে কই, রাস্তা পুনর্নির্মাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্পেশাল দুইটা ট্রেন বরাদ্দ করা হোক ঢাকা-সিলেটে এবং নতুন কম্পার্টমেন্ট দেওয়া হোক। এখানে (সিলেট রেলস্টেশন) যারা আছে, তারা কম্পিউটারে আগে টিকিট নেয়গি, পরে বেশি দামে বেচত চায়। এনতান (তাদের) পেছনে আমরা জনগণ থাকমু, ইনশা আল্লাহ। তানতানরেও ধরমু। পাবলিক ডিমান্ড না মানলে আন্দোলন হইব এবার।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সড়ক, রেলপথের দুরবস্থার সুযোগ পাইয়া এখন বিমানে ৩ হাজার টাকার টিকিট ১২ হাজার টাকা করতাছে। এমন মোরগা পাইছে আমরার সিলেটি হকলরে, যা খুশি তা-ই করতাছে। বিমান কর্তৃপক্ষ যদি এইটার সমাধানে ব্যবস্থা না করে, তানতান বিরুদ্ধেও আমরা জনগণ ব্যবস্থা নিমু। আমরার রাস্তা দিতে হইব ঠিক করি, বিমানের ভাড়া কমাইতে হইব।’

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।