এসএসসি পরীক্ষা ও বাল্যবিবাহ
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

এসএসসি পরীক্ষা ও বাল্যবিবাহ

কামরান আহমেদ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩৬ অপরাহ্ণ
এসএসসি পরীক্ষা ও বাল্যবিবাহ

সম্পাদকীয়শিরোনাম দেখে হয়তো অবাক হচ্ছেন কেউবা ইতিমধ্যে  গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়তেছেন সবাইকেই স্বাগতম। আপনারা যারা দেশ ইউরোপ ও আমেরিকার মত হবে বলে আশায় বসে আছেন।  আপনারা কী জানেন যে, প্রতিবছরই এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে? তবে, অনুপস্থিতি অসুস্থতা কিংবা আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে হলে মেনে নেওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এর কারণ যদি হয় আর্থিক অসচ্ছলতা, বাল্যবিবাহ কিংবা অন্য কোনো সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, সেটা মেনে নেওয়া যায় না।

এ বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের তথ্য নির্ধারিত গুগল ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে তারা।

দেখা যায় যে,  ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছয় হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ২০৩ জনের তথ্য ও কারণ জানা গেছে, যার প্রায় ৪০ শতাংশ ঘটেছে বাল্যবিবাহের কারণে। পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেও তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ধারণা করা যায়, নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করার পর থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগের মধ্যবর্তী সময়ে তাদের বিয়ে হওয়ার কারণে তারা পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ ছাড়া ৭ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার কারণে। বাকিরা অসুস্থতা, প্রস্তুতি ভালো না থাকাসহ নানা কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

আরও উদ্বেগের বিষয় হলো অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের ৫১ শতাংশ জানিয়েছে, তারা আর পড়াশোনা করবে না।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে এসেছে, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুপস্থিতির হার বেশি। মাঝপথে এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে কিংবা তারা ছিটকে পড়লে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে তা বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এর মধ্য দিয়ে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা কিংবা মাঝপথে ঝরে পড়ার কারণটিও আমরা জানতে পারলাম। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডও অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করবে আশা করি। ঢাকা বোর্ড তাদের প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর মূল কাজটি করতে হবে সরকারকেই। পরীক্ষার অনুপস্থিতির সঙ্গে যেহেতু আর্থসামাজিক অবস্থা জড়িত, সেহেতু সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করতে হবে।

এদিকে,জাতিসংঘের জনসংখ্যাবিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএর বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ১৮ বছর হওয়ার আগেই। আবার ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী এক হাজার মেয়ের মধ্যে ৭১ জন এক বা একাধিক সন্তানের মা।

সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যতই দাবি করুন না কেন বাংলাদেশ মানবসম্পদের বিপুল উন্নতি করেছে, ইউএনএফপিএর প্রতিবেদন তার বিপরীত চিত্রই তুলে ধরে। কোনো দেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগে বিয়ে হওয়ার অর্থ, তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলা। এ অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিনই বৈকি। কেবল এসএসসিতে অনুপস্থিতির হার কমিয়ে আনা নয়, মানবসম্পদকে যথাযথ কাজে লাগানোর জন্যও বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করতেই হবে।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পরতে পরতে সমস্যা। সব সরকারই শিক্ষার মূল সমস্যা নিরসন না করে উপরিকাঠামোয় কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষাবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার কোনো কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিলে পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা কমিয়ে আনা অসম্ভব হবে না।

প্রশ্ন হলো কারা দায়িত্ব নিবে? স্বাধীনতার পর থেকে এখনো কেন পরিবর্তন দেখা গেল না আর দায়িত্ব কেন পূর্বে যারা  ক্ষমতায় এসেছিলেন যারা তারা নিলেন না?

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।