যুবলীগের সাবেক নেতা সিজুর বাড়ীতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

যুবলীগের সাবেক নেতা সিজুর বাড়ীতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ

কামরান আহমদ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৩:০০ অপরাহ্ণ
যুবলীগের সাবেক নেতা সিজুর বাড়ীতে  ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ

রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-আগুনের পর দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এবং শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক এমপিদের বাড়ি ও দলীয় অফিসে হামলার ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক দিনে সারা দেশে প্রায় ৭ হাজারের ও বেশি
আওমীলীগ,যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ সহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় নেতা কর্মীদের বাড়ীতে ভাংচুর এবং হামলা মামলার শিকার হন।

প্রথম সারির  নেতৃত্ব দেওয়া যেমন   রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক সেনাপ্রধান মইন  আহমেদ, দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছে শুধুই বিএনপির কর্মীরা। এ সব ঘটনা বাদ পড়েনি আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়েও নেতাকর্মীরা।

গত কাল বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ মৌলভীবাজার সদরের চুবড়াতে স্থানীয়  যুবলীগে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিজু চৌধুরীর বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মত  ঘটনা ঘটে।

এ সময় হতাহত সিজুর পরিবারে সাথে কথা বলে  আমরা জানতে পারি, যে গত কয়েক দিন পূর্বে বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছিলেন  মৌলভীবাজার সিটির সাবেক মেয়র এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক
ফয়জুল করিম ময়ূন।

পরে ২০ মার্চ সকাল ১১ দিকে  অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে  বাড়ীতে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, নিয়ে এলোপাতাড়ি বাড়ীর গাছপালা কাটা শুরু করেন সেজু চৌধুরীমৌলভীবাজার সিটির সাবেক মেয়র এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক
ফয়জুল করিম ময়ূন। সাবেক এ মেয়রের  আদের্শে শুরু হয় বাড়ীতে ভাংচুর। বড় হেমার দিয়ে প্রথমেই  দেয়ালে আঘাত  করে নাছির রহমান। একই সাথেই অন্যদিকে  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ছাত্রদলের সভাপতি  রিপন ভাংচুর সাথে সাথে বলতে থাকেন একটা ইটও যেন না থাকে। আরো যারা ছিলেন,  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাবেক যুবদলের সভাপতি জাকির আহমদ,সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিতুর রহমান,সদর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খালিছুর রহমান,সাবেক পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, বিএনপির নেতা মাহবুব ইজদানী, সেলিম মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন,মতিন বক্স
সহ আনুমানিক ৩০ জনের বেশি বিএনপির সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সময় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সিজু চৌধুরীর মা সৈয়দা শাহানারা বেগম  ফ্রিডম সিলেটকে বলেন, আমার ছেলে কী দোষ করেছিল?  সে তো আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেছে চুরি ডাকাতি তো করেনি। কান্না ভেঙ্গে আরো বলেন যে, সব থেকে পরিতাপের বিষয় আমার ছেলে এই এলাকার মানুষের জন্য এত কিছু করেছিল তারা তো আজকে দেখতে আসেনি এগিয়ে আসেনি সাহায্য করতে। যাদের ঘরে পানি পান করার মত টিউবওয়েল ছিল না। তাদেরকে সাহায্য করে কী আমার ছেলে পাপ করেছিল? মানুষের ডাকে যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আমার ছেলে এগিয়ে আসতো সে কী ভুল করেছিল?

শাহানারা বেগম আরো জানান যে,
হামলা চলাকালীন সময়ে মৌলভীবাজার সদর  মডেল থানায় কল দিলে  কল রিসিভ করেনি পুলিশ  । এমনকী, সিজু চৌধুরীর পরিবার বিকেলে মামলা করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ হারুনোর রশিদ মামলাটাও নেননি। “উল্টো” হুমকি দিয়ে বলেন, মেয়রের সাথে আপোষ করে চলতে । তা না হলে সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার রীতিমতো  হুমকি দিয়ে বসেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। হারুনোর রসিদ আরো সিজুর পরিবার বলেন, এখন  আওয়ামীলীগের আমল নয় এ বিষয় মাথায় রাখতে এবং বাড়িতে নিরাপদে কী ভাবে থাকা যায় সেই চিন্তা করতেও বলেন, পুলিশের দায়িত্বে থাকা এ কর্মকতা।

এদিকে এ  ঘটনা সম্পর্কে  মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় কল দিলে ওসি হারুনোর রশিদ ফ্রিডম সিলেটকে জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি শুনেছেন, তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি থানায়। তবে,অভিযোগ পেলে এর ব্যবস্থা নিবেন  বলে জানায় সদর থানা পুলিশ।

এ সময় “ফ্রিডম সিলেট” সৈয়দা শাহানারা বেগমের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে, হারুনোর রশিদ জবাব না দিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে কল রেখে দেন ওসি।

অন্যদিকে, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সাথেএ বিষয় নিয়ে  কথা বলতে কল দিলে, তিনি কল রিসিভ করেনি।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।