বিশ্বনাথে বেতন পাননি ৮ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী!


উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদান না করায় সিলেটের বিশ্বনাথে ‘অক্টোবর-২৪’ মাসের বেতন পাননি উপজেলার ৮০২ জন শিক্ষক-কর্মচারী। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শুন্য হওয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদে ২০ অক্টোবর ‘মাহমুদুল হক’ নামের এক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা থেকে বদলী হয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বনাথে ‘মাহমুদুল হক’র যোগদানের খবর জানাজানি হলে তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার একটি অংশ আন্দোলন শুরু করে যাতে তিনি (মাহমুদুল) বিশ্বনাথে যোগদান করতে না পারেন।
আর ‘মাহমুদুল হক’ নামের ওই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলায় যোগদান না করায় উপজেলার ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০২ জন প্রধান ও সহকারী শিক্ষক, ৯৫ জন দপ্তরী ও শিক্ষা অফিসের ৫ জন স্টাফ’সহ প্রায় ৮০২ জন শিক্ষক-কর্মচারী ‘অক্টোবর’ মাসের বেতন পাননি। বেতন না পাওয়ার ফলে বাসা ভাড়া ও পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এসব শিক্ষক-কর্মচারী।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে চলে যান বিশ্বনাথে কর্মরত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। আর সেই শূন্য স্থান পূরণের জন্য ২০ অক্টোবর ‘মাহমুদুল হক’ নামের এক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা থেকে বদলী হয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু আজ (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত ‘মাহমুদুল হক’ নামের এক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বনাথে যোগদান না করায় ‘অক্টোবর’ মাসের বেতন পাচ্ছেন না উপজেলার ৮০২ জন শিক্ষক-কর্মচারীরা। যদিও আব্দুর রাজ্জাক অবসরে যাওয়ার পর থেকে ‘ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা’র দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা। ‘আর্থিক’ ক্ষমতা না থাকার কারণে তিনি ওই শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ছাড় দেওয়ার অনুমতি দিতে পারছেন না।
সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি ও বিশ্বনাথ উপজেলার মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ মেঘল বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে চলে যান আমাদের সাবেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক স্যার। আর ২০ অক্টোবর একই পদে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২২দিন অতিবাহিত হলেও তিনি আজ (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত যোগদান করেন নি। তার যোগদানে বিলম্ব হওয়ার ফলে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান ও সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারী’সহ ৮০২ জনের বেতন উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। ফলে এসকল শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, গত ৪ নভেম্বর নতুন শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করে ৩ দিনের ছুটিতে ছিলেন। শুনেছি ছুটি শেষে তিনি আবার জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করেছেন। এর বেশি আর কিছু জানি না। আর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।
আপনার মতামত লিখুন