বিশ্বনাথে বেতন পাননি ৮ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী!
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

বিশ্বনাথে বেতন পাননি ৮ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
বিশ্বনাথে বেতন পাননি ৮ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী!

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদান না করায় সিলেটের বিশ্বনাথে ‘অক্টোবর-২৪’ মাসের বেতন পাননি উপজেলার ৮০২ জন শিক্ষক-কর্মচারী। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শুন্য হওয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদে ২০ অক্টোবর ‘মাহমুদুল হক’ নামের এক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা থেকে বদলী হয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বনাথে ‘মাহমুদুল হক’র যোগদানের খবর জানাজানি হলে তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার একটি অংশ আন্দোলন শুরু করে যাতে তিনি (মাহমুদুল) বিশ্বনাথে যোগদান করতে না পারেন।

আর ‘মাহমুদুল হক’ নামের ওই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলায় যোগদান না করায় উপজেলার ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০২ জন প্রধান ও সহকারী শিক্ষক, ৯৫ জন দপ্তরী ও শিক্ষা অফিসের ৫ জন স্টাফ’সহ প্রায় ৮০২ জন শিক্ষক-কর্মচারী ‘অক্টোবর’ মাসের বেতন পাননি। বেতন না পাওয়ার ফলে বাসা ভাড়া ও পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এসব শিক্ষক-কর্মচারী।

 

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে চলে যান বিশ্বনাথে কর্মরত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। আর সেই শূন্য স্থান পূরণের জন্য ২০ অক্টোবর ‘মাহমুদুল হক’ নামের এক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা থেকে বদলী হয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু আজ (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত ‘মাহমুদুল হক’ নামের এক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বনাথে যোগদান না করায় ‘অক্টোবর’ মাসের বেতন পাচ্ছেন না উপজেলার ৮০২ জন শিক্ষক-কর্মচারীরা। যদিও আব্দুর রাজ্জাক অবসরে যাওয়ার পর থেকে ‘ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা’র দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা। ‘আর্থিক’ ক্ষমতা না থাকার কারণে তিনি ওই শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ছাড় দেওয়ার অনুমতি দিতে পারছেন না।

 

সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি ও বিশ্বনাথ উপজেলার মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ মেঘল বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে চলে যান আমাদের সাবেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক স্যার। আর ২০ অক্টোবর একই পদে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২২দিন অতিবাহিত হলেও তিনি আজ (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত যোগদান করেন নি। তার যোগদানে বিলম্ব হওয়ার ফলে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান ও সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারী’সহ ৮০২ জনের বেতন উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। ফলে এসকল শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, গত ৪ নভেম্বর নতুন শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করে ৩ দিনের ছুটিতে ছিলেন। শুনেছি ছুটি শেষে তিনি আবার জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করেছেন। এর বেশি আর কিছু জানি না। আর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।

 

 

 

 

 

 

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।