নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্ততি নিচ্ছে ইসলামী দলগুলো।
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্ততি নিচ্ছে ইসলামী দলগুলো।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্ততি নিচ্ছে ইসলামী দলগুলো।

 

নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্ততি নিচ্ছে ইসলামী দলগুলো। আভাস মিলেছে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট করার। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন ও সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা আছে দলগুলোর। নেতারা বলছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বিফলে যাবে জুলাই অভ্যুত্থান।

 

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে জেল-জুলুম থেকে শুরু করে গুম খুনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ইসলামী দলগুলোর নেতাকর্মীরা।

২০২৪-এর ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর বদলেছে সেই প্রেক্ষাপট। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাধারণ রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্যতম শক্তিতে পরিণত হয়েছে ইসলামী দলগুলো। শুধু রাষ্ট্রীয় বা দলীয় কর্মসূচিই নয়, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরেও বেশ সরব তারা।
 
এরইমধ্যে ছোট-বড় প্রায় ১০টি ইসলামী দল ৩০০ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে। নির্বাচন ভাবনার বিষয়ে নেতারা বলছেন, প্রার্থী কেন্দ্রিক নয় প্রচারণা চালাচ্ছেন দলকে প্রাধান্য দিয়ে। কেউ আবার প্রার্থী কেন্দ্রিক প্রচারণা শুরু করলেও আছে জোটের পরিকল্পনা।
 
তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশিরভাগ ইসলামী দল। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে এখনও অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ণ আস্থা অর্জন করতে পারেনি বলেও মত নেতাদের।
 
আলাদা আলাদা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও ইসলামী দলগুলোর মূল টার্গেট জোটবদ্ধ হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ।
 
 
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আমরা চেষ্টা করবো সকল দল ও মতকে ঐক্যবদ্ধ করে জোটবদ্ধ অংশ নেয়ার। তবে সংষ্কার এবং বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হওয়ার পরই নির্বাচন ব্যবস্থা করা জরুরি। এর জন্য যদি নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিলে হয় আমাদের আপত্তি নেই। ফেব্রুয়ারিতেও হলেও আপত্তি থাকবে না।’
 
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রার্থী কেন্দ্রিক প্রচারণা আমরা এখনও শুরু করিনি। যদিও আমাদের প্রার্থী প্রস্তুত রয়েছে। এখনও অতীত বন্দোবস্ত রয়েছে। এরমধ্যে যদি নির্বাচন হয়ে যায়, তাহলে শুধু ক্ষমতার হাত বদল হবে। মৌলিক কোনো পরিবর্তন হবে না। আর জুলাই বিপ্লবলের আকাঙ্ক্ষা পুরাই ব্যর্থ হবে। অতীতে যেসব রাজনৈতিক দল দেশ চালিয়ে তাদের নিয়ে মানুষ হতাশ।’  
 
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনের সব আসনেই প্রাথমিক প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করেছি। কিন্তু এটা অফিসিয়াল ডিকলারেশন না। আসনটা দেয়া হলেও এটা জামায়াতের অধীন। যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে জামায়াত সিদ্ধান্ত দিলে যেকোনো প্রার্থী আসন ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে।’  
 
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতার জনগণের কাছে যে ওয়াদা করেছিল বা এখনও করছে সেটা তারা ঠিক রাখতে পারবে কি না বা কোনো চক্রের পেশারে কতটা সোজা থাকতে পারবে তা দেখার বিষয়।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।