সিলেটে যুবদল নেতার নেতৃত্বে বিএনপি নেতার জায়গা দখলের অভিযোগ
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

সিলেটে যুবদল নেতার নেতৃত্বে বিএনপি নেতার জায়গা দখলের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ণ
সিলেটে যুবদল নেতার নেতৃত্বে বিএনপি নেতার জায়গা দখলের অভিযোগ

সিলেট নগরীর কদমতলী এলাকায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ৮৪ শতক পারিবারিক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। সিলেট মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি বেলাল আহমদের নেতৃত্বে এ অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্থানীয় কদমতলী এলাকার মৃত আফরোজ বক্সের স্ত্রী মোছা. সুনারা বেগম। তিনি সিলেট মহানগর ২৬ ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাহী সদস্য তাজুল ইসলাম টিপুর মা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- সুনারা বেগম তার স্বামী মরহুম মো. আফরোজ বক্সের নামে থাকা দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা মৌজায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ৮৪ শতক ভূ-সম্পত্তি ৩৫ বছর ধরে ভোগদখল করছেন। সেখানে ‘আফরোজ ম্যানশন’ নামে একটি বহুতল মার্কেটও রয়েছে। ওই মার্কেট থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়. সিলেট বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি বেলাল আহমদ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। ২০১৪ ও ২০২৩ সালে বেলাল আহমদের আত্মীয় মোছা. হাওয়ারুন নেছা গং আদালতে স্বত্ব বাটোয়ারার দুটি মামলা করেন এবং ওই জায়গায় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের দাবি নামঞ্জুর করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ২৭ মার্চ তাজুল ইসলাম টিপুকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যায়িত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে ধরিয়ে নেয়া হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ২৮ মার্চ বেলাল ও তার সহযোগীরা আফরোজ মার্কেট ও জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে তাজুল ইসলাম টিপু আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বেলাল আহমদসহ মদিনা মার্কেট এলাকার নিবাস সি-২০ নং বাসার মৃত মাহমদ আলীর ছেলে আবদুল মনির ও আবদুল মুমিনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীনও রয়েছে।

 

বেলাল ও তার সহযোগীদের একের পর এক হুমকি ও জায়গা দখলের অপচেষ্টার পরও পুলিশের নিরব ভূমিকায় রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- রাজনৈতিক প্রভাবে বেলালের নেতৃত্বে ২৪ জুন ফের আফরোজ মার্কেট দখলের চেষ্টা কারা হয় এবং তাজুল ইসলাম টিপুর উপর হামলা চালানো হয়। অথচ হামলার শিকার হওয়ার পরও পুলিশ এ বিষয়ে মামলা নেয়নি। উল্টো টিপুসহ ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে সুনারা বেগমের পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- গ্রেপ্তার আতঙ্কে তাজুল ইসলাম টিপু এখন বাসা-বাড়িতে থাকতে পারছেন  না। আর আদালত যখন মামলাগুলো দেখছেন, তখন কেন বারবার ওই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

 

সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধা মোছা. সুনারা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফারজানা আক্তার বাবলী।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।