হু হু করে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

হু হু করে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ
হু হু করে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সিলেটে বন্যার শঙ্কা বাড়িয়েছে উজানের বৃষ্টিপাত। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটেও হয়েছে বৃষ্টি। ফলে তলিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পর্যটনকেন্দ্র। পাহাড়ি ঢল নামছে সাদাপাথর, জাফলং ও বিছানাকান্দি পর্যটনকেন্দ্রের সীমান্ত নদী দিয়ে। এ কারণে তিন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে স্থানীয় সচেতন মহল। সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সাথে সিলেটের নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। অন্যদিকে গতকাল শনিবার একাধারে তিন ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও কোমর পানি, আবার কোথাও হাঁটু পানি পর্যন্ত পানি ভেঙ্গে চলাচল করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।

 

 

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৯৮.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ১ মিলিমিটার, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হয়েছে ৭ মিলিমিটার, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এছাড়া শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

 

 

গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর এয়ারপোর্ট রোড, রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, ইলেক্ট্রিকসাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, উত্তর বাগবাড়ী এলাকা, মিরাবাজার, সুরমা তীরের মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, বিমানবন্দর, চৌকীদেখী, শাহপরাণ, কদমতলী ও সংলগ্ন এলাকা, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর, দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা ইত্যাদি এলাকার রাস্তাঘাটগুলো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছিল নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার চৌহাট্টা এলাকাও। বৃষ্টি কিছুটা কমলে জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে পানি নেমে গেলেও কিছু এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা ডুবে গেছে। ড্রেন ভরাট হয়ে মানুষের বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ড্রেনের ময়লা পানি উপচে ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

আমাদের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি জানান, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলে দ্রুত পানি বাড়ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব স্থানে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। দেখা গেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অস্থায়ী স্থাপনা সরানোর চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা।

জাফলং পর্যটন স্পটের টুরিস্ট পুলিশের ওসি শাহাদাৎ হোসেন জানান, জাফলংয়ে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এবং নদীর পানি বাড়ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পর্যটকদের ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, “উপজেলার গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের নিচু অংশের অংশবিশেষ প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কিছু কিছু এলাকায় পানি বাড়ছে। ঢলের এই সময় পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা বলব, পর্যটকদের পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রে যেতে।” তিনি আরো জানান, ‘উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৫৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও মাঝিসহ নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, “উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো কারো আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।” তিনি বলেন, “উজানে বৃষ্টি হচ্ছে, সাদাপাথর দিয়ে ঢল নামাটা স্বাভাবিক। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
অন্যদিকে সিলেটে ভারী বর্ষণের ফলে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।