আইপিএল: এ পর্যন্ত কোন তারকাকে ভেড়ালো কোন দল
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

আইপিএল: এ পর্যন্ত কোন তারকাকে ভেড়ালো কোন দল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ণ
আইপিএল: এ পর্যন্ত কোন তারকাকে ভেড়ালো কোন দল

সৌদি আরবের জেদ্দায় ২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) ছিল অকশনের প্রথম দিন। আজ বিকেল চারটায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের নিলাম। প্রথম দিনে অকশন শেষে দল পেয়েছেন ৭২ জন খেলোয়াড়। খেলোয়াড় কেনার পেছনে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মোট ব্যয় করেছে ৪৬৭ কোটি ৯৫ লাখ রুপি। দুবার ভেঙেছে আইপিএলের সবচেয়ে বেশি দামের রেকর্ড। চমক দেখিয়েছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার।

প্রথমে মিচেল স্টার্কের রেকর্ড ভেঙে দেন শ্রেয়াস আইয়ার। আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার ছিলেন স্টার্ক। গত আইপিএল নিলামে তার দাম উঠেছিল ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। তবে রোববার আইয়ারকে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রূপি রেকর্ড মূল্যে কেনে পাঞ্জাব।

আইয়ারের রেকর্ড স্থায়ী ছিল কয়েক মিনিট। এরপরই তার রেকর্ড ভেঙে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি দামের খেলোয়াড় হয়ে যান ঋষভ পান্ত। রেকর্ড ২৭ কোটি রুপিতে তাকে দলে নিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।

দেখে নেয়া যাক প্রথম দিন শেষে কোন খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছেন কোন ফ্রাঞ্চাইজি:

চেন্নাই সুপার কিংস:

প্রথমদিন চেন্নাই খরচ করেছে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ রুপি। তারা নিলামে এখনও ১৫ কোটি ৬০ লাখ রুপি খরচ করতে পারবে। নিলাম থেকে তারা খেলোয়াড় কিনেছে সাতজনকে। এর মধ্যে, রাহুল ত্রিপাটিকে তিন কোটি ৪০ লাখ রুপিতে কিনেছে। কিউই ব্যাটার ডেভন কনওয়ের পেছনে ৬ কোটি ২৫ লাখ, রবীচন্দ্রন অশ্বিনের পেছেনে খরচ করেছে ৯ কোটি ৭৫ লাখ এবং আফগান স্পিনার নুর আহমদকে কিনেছে ১০ কোটিতে। এছাড়া, বিজয় শংকর, রাচিন রবীন্দ্র ও খলিল আহমেদকে নিলাম থেকে কিনেছে দলটি।

নিলামের বাইরে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে ১৮ কোটি, এমএস ধোনিকে ৪ কোটি, শিভাম দুবেকে ১২ কোটি, রবীন্দ্র জাজেদাকে ১৮ কোটি ও লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানাকে ১৩ কোটিতে ধরে রেখেছে চেন্নাই।

দিল্লি ক্যাপিটালস:
প্রথম দিনের নিলাম থেকে ৯ জন খেলোয়াড় কিনেছে দিল্লি। তারা এখনো চারজন বিদেশি ও আটজন ভারতীয় ক্রিকেটার কিনতে পারবে।

দিল্লি প্রথম দিন নিলাম থেকে ১৪ কোটি রুপিতে লোকেশ রাহুলকে দলে ভিড়িয়েছে। অজি পেসার মিচেল স্টার্ককে ১১ কোটি ৭৫ লাখ, টি নটরজানকে ১০ কোটি ৭৫ লাখ, অজি ব্যাটার জ্যাক ফ্রেশার-ম্যাকগার্ককে ৯ কোটি ও ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুককে সোয়া ৬ কোটিতে দলে ভিড়িয়েছে। এছাড়া নিলাম থেকে, কারুন নায়ার, সামির রিজভী, আশুতোষ শর্মা ও মোহিম শর্মাকে দলে ভিড়িয়েছে।

কুলদীপ যাদবকে সোয়া ১৩ কোটি, অক্ষর প্যাটেলকে সাড়ে ১৬ কোটি, প্রোটিয়া ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবসকে ১০ কোটি ও অভিষেক পোরেলকে চার কোটিতে রিটেইন করেছে ক্যাপিটালস।

গুজরাট টাইটানস:
প্রথমদিন ৯ খেলোয়াড়কে কিনেছে গুজরাট টাইটানস। এছাড়া ধরে রেখেছে ৫ ক্রিকেটারকে। ১৫ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে ইংলিশ ব্যাটার বাটলারকে কিনেছে গুজরাট। এছাড়া, প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাডা, মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসীদ কৃষ্ণা, মানব সুথার, মহিপাল লামরর, নিশান্ত সিন্ধু, অনুজ রাওয়াত ও কুমার কুশাগরাকে নিলাম থেকে কিনেছে দলটি। রিটেইন করেছে শুভমান গিল, রশিদ খান, শাহরুখ খান, রাহুল তেয়াতিয়া ও সাই সুদর্শনের মতো তারকাদের।

কলকাতা নাইট রাইডার্স:
গতবারের চ্যাম্পিয়নরা নিলামের প্রথমদিন ৬ ক্রিকেটারকে কিনেছে। এরমধ্যে ভেঙ্কাটেশ আইয়ারকে ২৩ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে কিনে চমক দেখিয়েছে রাইডার্স শিবির। এর বাইরে, প্রোটিয়া পেসার এনরিখ নরকিয়া, কুইন্টক ডি কক, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, অংক্রিশ রঘুভংসি, বইভব অরোরা, মায়াঙ্ক মারকান্দেকে কিনেছে তারা। এছাড়া রিংকু সিং, সুনীল নারিন, অ্যান্দ্রে রাসেল, রামানদিপ সিং, ভরুণ চক্রবর্তী ও হারশিত রানাকে ধরে রেখেছে তারা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:
আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার লখনৌ সুপার জায়ান্টের। তারা ২৭ কোটিতে রিষভ পান্তকে কিনে রেকর্ড গড়েছে। এছাড়া, মিচেল মার্শ, আভেষ খান, আব্দুল সামাদ, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার ও আরিয়ান জুয়ালকে কিনেছে লখনৌ। দলটির রিটেইন করা খেলোয়াড়রা হলেন, নিকোলাস পুরান, মায়াঙ্ক যাদব, রবি বিষ্ণই, মহসিন খান, আয়ুশ বাদোনি।

মুম্বাই ইন্ডিয়ানস:
প্রথমদিন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস মাত্র চারজন খেলোয়াড় কিনেছে। ট্রেন্ট বোল্ট, কারন শর্মা, নামান ধির, রবিন মিনজকে কিনেছে তারা। এছাড়া, রিটেইন করেছে জশপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, তিলক ভার্মা, রোহিত শর্মা ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভকে।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:
ইশান কিষান, মোহাম্মদ শামি, অ্যাডাম জাম্পা, হার্শেল প্যাটেল, রাহুল চাহার, সিমারজিত সিংকে কিনেছে সানরাইজার্স। রিটেইন করিয়েছে, ট্রাভিস হেড, হেনরিখ ক্লাসেন, প্যাট কামিন্স, অভিষেক শর্মা ও নিতিশ রেড্ডিকে।

পাঞ্জাব কিংস:

প্রথম দিনের নিলামে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে পাঞ্জাব কিংস। তারা ২৬ কোটি ৭৫ লাখ দিয়ে শ্রেয়াস আইয়ারকে দলে ভিড়িয়ে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের রেকর্ড গড়ে। যদিও কয়েক মিনিট ছিল সেই রেকর্ড। এছাড়া ১৮ কোটি করে খরচ করেছে দুই ভারতীয় বোলার যুজবেন্দ্র চাহাল ও আর্শদীপ সিংয়ের পেছনে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কোস স্টয়নিস, হারপ্রিত ব্রার, ইয়াস ঠাকুর, বিজয়কুমার বশাক, ভিশনু ভিনোদ ও নেহাল ওয়াদেরাকে নিলাম থেকে কিনেছে দলটি। শশাঙ্ক সিং ও প্রবিসিমরান সিংকে ধরে রেখেছে।

রাজস্থান রয়্যালস:
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, জফরা আর্চার, আকাশ মাধওয়াল, কুমার কার্তিকেয়াকে নিলাম থেকে দলে টেনেছে রাজস্থান। এছাড়া জয়সওয়াল, শিমরন হেটমায়ার, সাঞ্জু স্যামসন, ধ্রুব ‍জুড়েল, রিয়ান পরাগ ও সনদীপ শর্মাকে রিটেইন করেছে দলটি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু প্রথমদিন নিলাম থেকে দলে টেনেছে জিতেশ শর্মা, ফিল সল্ট, লিয়াম লিভিংস্টোন, জশ হ্যাজলউডের মতো তারকাদের। এছাড়া, সুয়াস শর্মা, রাসিখ দার সালামকেও কিনেছে দলটি। রিটেইন করেছে ভিরাট কোহলি, রজত পাতিদর, ইয়াশ দয়ালকে।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।