ধর্ষণকে কী চিরতরে হত্যা করা যায় না সুন্দর এ পৃথিবী থেকে?
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

ধর্ষণকে কী চিরতরে হত্যা করা যায় না সুন্দর এ পৃথিবী থেকে?

কামরান আহমেদ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৪৫ অপরাহ্ণ
ধর্ষণকে কী চিরতরে হত্যা করা যায় না সুন্দর এ পৃথিবী থেকে?

আমাদের দেশে কী করে যেন শিশু ধর্ষণের ব্যাপারটা যেন এক সাধারণ বিষয়  পরিনত হয়েছে। মানুষে-মানুষে সম্পর্ক কেমন যেন শিথিল হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে সামাজিক বন্ধন। খুব কাছের কারও জীবনে ট্র্যাজিক কিছু না ঘটলে কেউ যেন তা অনুভব করে না।কেমন যেন হয়েগেছি “আমরা”।

৫৫ বছর বয়সী এক পুরুষ ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে ফরিদপুরে। ধর্ষণ করার পর তাকে হত্যাও করেছে। শিশুটি খেলতে গিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায়। শিশুদের তো খেলারই কথা। খেলতেই তো যাবে সে। কিন্তু পাল্টে যাওয়া পৃথিবীতে এই সত্য নিয়েও রয়েছে সংশয়।

এ যুগে খেলার মাঠে শিশুদের খুব কম দেখা যায়। মোবাইল হাতে কিংবা টিভির মনিটরেই বরং তাদের বেশি খুঁজে পাওয়া যায়।কেবল টিভির বদৌলতে পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। সিরিয়াল বা সিনেমা দেখে অনেকে, আর স্মার্ট ফোন? স্মার্ট ফোনই তো এখন খেলার মাঠের জায়গা নিয়েছে। ৭ বছরের শিশুটি এ যুগের এইসব ক্যারিশমা হয়তো জানতই না। তাই আগের যুগের মতো খেলতে চলে গেছে মাঠে। আর সে সুযোগটাই নিয়েছে ৫৫ বছর বয়সী এক পাষণ্ড।

নিখোঁজ হওয়া শিশুটির খোঁজ পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বজনদের অনেকেই পোস্ট করেন। পুলিশে জানানো হয়। পুলিশও খুঁজতে থাকে শিশুটিকে।

এইটুকু বলে একটু থামতে হবে। যখন সবদিকে খোঁজা হচ্ছে শিশুটিকে, তখনো কি কেউ জানত, শিশুটির সঙ্গে কী ঘটছিল সে সময়? প্রায় বৃদ্ধ এক ব্যক্তির লালসার শিকার হচ্ছে তখন শিশুটি। ঘটনাটিকে কি মানসিক বিকার বলে স্বীকার করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যাবে? নাকি এই মানসিক বিকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক হতে হবে? কিন্তু সতর্ক হওয়ার উপায় কী? এ জন্য তো পরিবারে, মহল্লায়, নগরে বা গ্রামে একধরনের নৈতিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। কোনটা নৈতিক, কোনটা অনৈতিক, সে বোধ তো থাকতে হবে? ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষকে নৈতিকভাবে বলীয়ান করবে কে?

তবে,ধর্ষককে শনাক্ত করা গেছে, তাঁরই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭ বছর বয়সী শিশুর লাশ। উত্তেজিত জনতার রোষে গণপিটুনিতে মারা গেছে সেই ধর্ষকও। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পুলিশের উপস্থিতিকে পরোয়া না করে নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়ার এই প্রবণতাও তো কাম্য নয়। আইনি পথে এই অন্যায়ের সুরাহা হবে না—এভাবে সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু সেটাও তো নৈতিকতাহীন এক শিক্ষা। এ থেকেইবা বের হওয়ার উপায় কী?

সম্পাদকীয়কই ঘটনায় দুটি সংকট দেখা যাচ্ছে। শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা, অন্যটি ধর্ষককে হত্যা। দুটি ঘটনা নিয়েই ভাবতে হবে। শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে দেশের মানুষকে। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তো হতে হবেই, সঙ্গে ধর্ষণবিরোধী প্রচারণা বাড়াতে হবে।

আইন যদি ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নেবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমি চাই ধর্ষণ শব্দটাই যেন পৃথিবী মুখ আর না দেখুক।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।