মহানগর বিএনপির কমিটিতে ‘আওয়ামীঘেঁষা ব্যক্তি’, নানা বিতর্ক
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

মহানগর বিএনপির কমিটিতে ‘আওয়ামীঘেঁষা ব্যক্তি’, নানা বিতর্ক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ
মহানগর বিএনপির কমিটিতে ‘আওয়ামীঘেঁষা ব্যক্তি’, নানা বিতর্ক

মহানগর বিএনপির নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে শুরুতেই নানা বিতর্ক চলছে। ‘আওয়ামীঘেঁষা ব্যক্তি’, সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় অনেকেই এ কমিটিতে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, ত্যাগী অনেক নেতাই কমিটিতে ঠাঁই পাননি। এমনকি যারা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়ে রক্ত ঝরিয়েছেন, তারাও নেই।

 

স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১০ মার্চ সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক পদে ইমদাদ হোসেন চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সৈয়দ সাফেক মাহবুব নির্বাচিত হন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশের বাইরে অবস্থান করায় সভাপতির পদ থেকে নাসিম হোসাইনকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

 

মহানগর বিএনপির সম্মেলনের প্রায় ২০ মাসের মাথায় ৪ নভেম্বর বিকেলে ১৭০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।

 

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২০ জন সহসভাপতি, ১৫ জন সহসাধারণ সম্পাদক এবং ৫ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এ ছাড়া পাঁচজন সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং একজন অর্থ সম্পাদক হয়েছেন। এর বাইরে ১১ জন ‘সম্মানিত সদস্য’ এবং ৪২ জন ‘সদস্য’ হয়েছেন। অন্যরা বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে আছেন।

 

পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরপরই বিএনপির একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়। এ অবস্থায় সংগঠনটির একদল নেতা-কর্মী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের জিন্দাবাজার এলাকা থেকে চৌহাট্টা এলাকা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা ঘোষিত কমিটি যাচাই–বাছাই করে অযোগ্যদের বাদ দিয়ে সংশোধিত কমিটি ঘোষণার আহ্বান জানান। এ ছাড়া নতুন কমিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও অনেকেই সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

 

পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ‘আওয়ামীঘেঁষা’ ব্যক্তি ঠাঁই পেলেও দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত, যোগ্য ও ত্যাগী অনেক নেতা কমিটিতে নেই। অথচ এসব নিবেদিতপ্রাণ নেতা ১৭ বছর ধরে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন। সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিরা কমিটিতে থাকার পাশাপাশি একজনের নাম কমিটির দুটি পদেও অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কমিটিতে একই পরিবারের একাধিক সদস্যও ঠাঁই পেয়েছেন। এ ছাড়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের অনেক পদধারী নেতাও ঘোষিত কমিটিতে আছেন। ঠাঁই পেয়েছেন প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির সাবেক এক নেতাও।

 

বিএনপির তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী বলেছেন, বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রাখা সত্ত্বেও সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন আহমদ মাসুক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল করিম নাচন, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেলসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০ থেকে ১৫ জন নেতা ঠাঁই পাননি। অন্যদিকে জেলা বিএনপির কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা তিনজন নেতা মহানগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদেও ঠাঁই পেয়েছেন।

 

মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু বলেন, ‘আমার বয়স ৬৪ চলছে। গত ১৭ বছর সিলেটে মিছিল-মিটিং হয়েছে আর আমি ছিলাম না, এমন নজির নেই। কমিটি কেন্দ্র দিয়েছে, আমার কোনো অভিযোগ, ক্ষোভ নেই। তবে যাঁরা গত ১৭ বছর পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে আন্দোলন করেছে, এমন ব্যক্তিরাও ঠাঁই পায়নি, এটা ভেবে খারাপ লাগছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছি, শরীর থেকে রক্ত ঝরেছে। এ রক্তের প্রতিটি ফোঁটা আমি কমিটিতে না থাকা নেতা-কর্মীদের উৎসর্গ করলাম।’

কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়া মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন আহমদ বলেন, ‘কমিটিতে ঠাঁই না পেলেও শহীদ জিয়ার বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে দলের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব। কিন্তু আওয়ামীঘেঁষা ব্যক্তি আর নিষ্ক্রিয়রা ঠাঁই পেলেও বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রাখা বিএনপির নেতাদের কমিটিতে ঠাঁই হয়নি, এটা দুঃখজনক।’

 

পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের বিষয়ে কথা হয় সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের বিষয়টি হাই কমান্ড ভাবছে। তবে পর্যায়ক্রমে যোগ্য, ত্যাগী ও পরীক্ষিত সবাই নেতৃত্বে আসবেন।’

আওয়ামীঘেঁষা’ ও ‘নিষ্ক্রিয়’ ব্যক্তিদের কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।