ফের ব্যাটারদের ব্যর্থতা প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

ফের ব্যাটারদের ব্যর্থতা প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ
ফের ব্যাটারদের ব্যর্থতা প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের
রেজাউল    করিম       সুবেদ :

নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকারের জুটিটা যা একটু আশা জুগিয়েছিল। এছাড়া ব্যাটিংয়ের পুরো সময়টাতে আফগান বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাদের নিদারুণ ব্যর্থতায় আরও একটি ম্যাচ হারতে হলো বাংলাদেশকে।

আরব আমিরাতের শারজায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের কাছে ৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের লজ্জায় ডুবতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। ২ উইকেটে ১২০ রান থেকে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৩ রানে। অর্থ্যাৎ, শেষ ২৩ রানে ৮টি উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। আর শেষ ১১ রানে হারিয়েছে ৭ উইকেট।

 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান সংগ্রহ করেছিল ২৩৫ রান। ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৩ রানে। মূলত আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফারের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হতে হয়েছে টাইগার ব্যাটারদের। ২৬ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেটে নিয়েছে ১৮ বছর বয়সী এই তরুণ।

ক্যারিয়ারে মাত্র ষষ্ঠ ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলেন গজনফার। আগের ৫ ম্যাচে উইকেট শিকারের সংখ্যা মাত্র ৪টি। আর আজ একাই তিনি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য। তানজিদ হাসান তামিমকে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ফিরিয়ে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার এবং লেট অর্ডারের উইকেটগুলো তুলে নেন তিনি।

গজনফার ছাড়াও বাংলাদেশ শিবিরে আতঙ্ক ছড়ান রশিদ খান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তাওহিদ হৃদয় যেভাবে রশিদ খানের বলে বোল্ড হলেন, তাতে মনে হলো, জীবনে এই প্রথম লেগ স্পিনের মোকাবিলা করতে নেমেছিলেন তারা। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বোকার মতো বোল্ড হলেন তিনি। তার এই আউট দেখে বোঝা হয়ে গেছে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের যা দেওয়ার দলকে দিয়ে ফেলেছেন। এর আর দেওয়ার মতো কিছু নেই।

আফগান ইনিংসে মোহাম্মদ নবি আর হাশমতউল্লাহ শহিদি যেভাবে একশ’র ওপর রানের জুটি গড়েছেন, তেমন একটি জুটি প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু সৌম্য আর শান্তর ৫৩ রানের এবং শান্ত আর মিরাজের ৫৫ রানের দুটি জুটিই যা উল্লেখযোগ্য পুরো ম্যাচে। পরের ব্যাটাররা তো শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে সামিল ছিলেন।

২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানের মাথায় তানজিদ তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গজনফারের ভেতরে ঢোকা বলটিকে ক্রসব্যাটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হলেন তিনি। ৫ বলে তামিম করেন মাত্র ৩ রান। এরপর বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলছিলেন দীর্ঘ সময় পর দলে ফিরে আসা সৌম্য সরকার। হাঁকান ৬টি বাউন্ডারিও। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ আউট হয়ে গেলেন তিনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে পুল খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়েছেন সৌম্য।

৪৫ বলে ৬ চারের সাহায্যে সৌম্য করেন ৩৩ রান। তিনি ফেরার পর চার নম্বরে নামানো হয়েছে বেশিরভাগ সময় লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা মেহেদী হাসান মিরাজকে। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ব্যাট করছিলেন মিরাজ। ৫৫ রানের জুটি সেটাই প্রমাণ করে। ২ উইকেটে ৬৫ থেকে ১২০ রান পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন তারা দুজন।

এমন সময়ই মাথায় ভূত চেপে বসে শান্তর। মোহাম্মদ নবির পাতা ফাঁদে পা দেন তিনি। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে স্লিপে একজন ফিল্ডারকে নিয়ে এসে শান্তকে প্যাডল সুইপ খেলতে বল দেন নবি। তার এই বলে বিভ্রান্ত হন শান্ত। বল লাগে ব্যাটরে ওপরের কানায়। উঠে যায় ওপরে। হাশমতউল্লাহ শহিদি তিনবারের চেষ্টায় বল তালুবন্দি করেন। ৬৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে আউট হয়ে গেলেন শান্ত। দলীয় রান এ সময় ১২০।

মেহেদী মিরাজ আর তাওহিদ হৃদয় মিলে গড়া জুটিটা একটু বড় হবে- এই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু মিরাজও কেন যেন বেশ তাড়াহুড়ো করলেন। গজনফারের ক্যারম বলটিকে প্যাডল সুইপ করলেন। আর অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৫১ বলে খেলা ২৮ রানের ইনিংসটির যবনিকাপাত ঘটলো।

ব্যাটহাতে নামলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫ বল খেলে ২ রান করে রশিদ খানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে গেলেন। ১ রান করলেন মুশফিকুর রহিম। গজনফারকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে ব্যাটেই বল লাগাতে পারেননি। ফলাফল সহজ স্ট্যাম্পিং। ইকরাম আলি খিল সহজেই স্ট্যাম্প ভেঙে দিলেন।

রিশাদ হোসেন বোকার মতো এলবিডব্লিউ হলেন গজনফারের বলে। টানা দ্বিতীয় বলে বোল্ড হলেন তাসকিন আহমেদ। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হলেও পরের ওভারের প্রথম বলে উইকেট পাননি গজনফার। এরই ফাঁকে ১১ রান করে রশিদ খানের গুগলিতে বোল্ড হন তাওহিদ হৃদয়। শেষ ব্যাটার হিসেবে ১ রান করে বিদায় নেন শরিফুল ইসলাম। ৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের ৭১ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হাসমতউল্লাহ শহিদি আর মোহাম্মদ নবির দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজিই দাঁড় করিয়ে ফেলে আফগানরা। শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তান ৪৯.৪ ওভারে দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ২৩৫ রানে।

শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। তবে বাংলাদেশের পেসারদের তোপে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা।

শুরুটা করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার পেসার। দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গারে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে (৭ বলে ৫) উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান তিনি।

এরপর কিছুটা সময় উইকেট ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল আফগানিস্তান। অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন রহমত শাহ (১৩ বলে ২)।

মোস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে তুলে নেন আরও এক উইকেট। এবার অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ অতলকে (৩০ বলে ২১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি এই পেসার।

দশম ওভারেই তিন বল পরে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (৩ বলে ০) উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বন্দি করেন মোস্তাফিজ। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান। এরপর গুলবাদিন নাইব ২২ করে তাসকিনের শিকার করে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা।

সেখান থেকে হাসমতউল্লাহ শহিদি আর মোহাম্মদ নবির প্রতিরোধ। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়ে তোলেন ১২২ বলে ১০৪ রানের লড়াকু জুটি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে শহিদিকে বোল্ড করে এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মোস্তাফিজ।

এরপর রশিদ খানকে (১০) সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা নবিকে আটকান তাসকিন। তার শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন নবি। ৭৯ বলে ৮৪ রানের মারকুটে ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা হাঁকান আফগান অলরাউন্ডার।

পরের বলেই তাসকিন বোল্ড করেন গজানফরকে। তার এক বল পরে পাঁচ উইকেট পূর্ণ হতে পারতো তাসকিনের। কিন্তু ফজলহক ফারুকির বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যায় আফগানিস্তান।

শেষদিকে নানগেয়ালিয়া খারোতে ২৮ বলে হার না মানা ২৭ রান করে আফগানিস্তানকে ২৩৫ পর্যন্ত নিয়ে যান। তাসকিন আহমেদ ৫৩ এবং মোস্তাফিজুর রহমান ৫৮ রান দিয়ে নেন ৪টি করে উইকেট। একটি উইকেট শরিফুল ইসলামের।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।