সিলেটে সতর্ক এক মাসে ২৬ কোটি টাকা সহ ভারতীয় পণ্য জব্দ
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

সিলেটে সতর্ক এক মাসে ২৬ কোটি টাকা সহ ভারতীয় পণ্য জব্দ

কামরান আহমেদ
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
সিলেটে সতর্ক এক মাসে ২৬ কোটি টাকা সহ ভারতীয় পণ্য জব্দ

সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নানা ধরণের মাদক, বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার, গরু, কাপড়সহ বিভিন্ন পণ্যেরে চোরাচালান কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। বরং অনেকটা ওপেন সিক্রেটের মতোই চলছে এসব কাজ। সীমান্তে অবৈধপথে আসছে কোটি কোটি টাকার চোরাচালান মালামাল।

চোরাইপথের এই অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। প্রতিদিনই সীমান্তে জব্দ হচ্ছে  কোটি কোটি টাকার বড় বড় ভারতীয় চালান। তবে চোরাচালান ঠেকাতে মরিয়া সিলেটের বিজিবি।

আমরা  বিশ্লেষণ করে দেখা পাই যে , গত অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে চলতি নভেম্বর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত এই ৩৬ দিনে অন্তত ২৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার ভাতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংবাদমাধ্যমে অপ্রকাশিত ঘটনা তথ্যগুলো গণনায় নিয়ে আসলে এই সংখ্যা আরো বেশী হবে।

তবে, বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি’র আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে তাদের ।

গত সর্বশেষ সোমবার (৫ নভেম্বর) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সীমান্তের রাধানগর ও ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবি এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. নূরুল হুদা নেতৃত্বে, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ১৫০ টাকা।

অন্যদিকে, ১ নভেম্বর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর, সংগ্রাম বিওপিসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। অভিযানে ভারতীয় শাড়ি, কাশ্মীরি শাল, থ্রি পিস, কসমেটিক সামগ্রী, মখমল সোফার কভার এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী নৌকা পণ্য আটক হয়।

এমনকী, ৩০ অক্টোবর ও ৩১ অক্টোবর সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন  সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। ২৭ অক্টোবর ও  ২৯ অক্টোবর সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৭৩ লাখ টাকার মদ ও চোরাই পন্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

২৫ অক্টোবর ও ২৬ অক্টোবর সিলেট ও সুনামগঞ্জের পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বর্ডার বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ এর পৃথক অভিযানে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়। ২৩ ও ২৪ অক্টোবর সিলেট এবং সুনামগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকায় সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবি’র অভিযানে পৃথক অভিযানে ভারতীয় ও বাংলাদেশি রসুনসহ বিভিন্ন ধরণের ১ কোটি ২০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করে বিজিবি।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ২১ ও ২২ অক্টোবর সিলেটে পৃথক অভিযানে ভারতীয় শাড়ি ও বাংলাদেশী রসুনসহ ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।

আরো জানা যায় যে গত, ১১ অক্টোবর সুনামগঞ্জ থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) থেকে সাড়ে ৬৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় আপেল জব্দ হয়। ১০ অক্টোবর কানাইঘাট উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায় একটি ট্রাকে তল্লাশি করে বালু সরিয়ে জব্দ করেছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার চিনি। ১৩ অক্টোবর সিলেট জেলা এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির অভিযানে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ কোটি টাকার মালামাল জব্দ করা হয়।

এরপর ১৩ অক্টোবর সুনামগঞ্জ সীমান্তে জব্দ সাড়ে ২২ হাজার কেজি ভারতীয় আপেল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ১৬ অক্টোবর সিলেটের সীমান্ত এলাকায় ৪২ লক্ষ ১৫ হাজার ২৪০ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ হয়। ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে সিলেটের কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরের কয়েকটি সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি’র হাতে মোটরসাইকেলসহ ৩৪ লাখ টাকার চো রা ই মালামাল জব্দ হয়। ২০ অক্টোবর সিলেটে সোয়া ২ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ হয়।

২ অক্টোবর গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাটিলা ও প্রতাপপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ভারতীয় চিনি ও বিভিন্ন ধরণের পণ্যসামগ্রী জব্দ করে বিজিবি।

৭ অক্টোবর সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪৮ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ হয়। একই দিন সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য ও পশু জব্দ করা হয়।

৭ থেকে ৯ অক্টোবর সিলেট সীমান্তে পৃথক ৫ অভিযানে ৬৪ লক্ষ টাকার ভারতীয় চোরাই চিনি ও গরু জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের কয়েকটি টিম ৭ থেকে ৯ অক্টোবর- এই দুই দিনে অভিযানগুলো পরিচালনা করে। অভিযানে ট্রাকে বালুর নিচ থেকে ৫০ লাখ টাকার চিনি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ২৮০০ কেজি চিনি ও সীমান্ত থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকার ৭টি গরু এবং একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

সর্বশেষ আমাদের গোপন তথ্য বলছে, ৯ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পৃথক দুটি অভিযানে সিলেটে অবৈধভাবে আনা পৌনে ১ কোটি টাকার ভারতীয় চিনি জব্দের খবর পাওয়া যায়।

প্রশ্ন হচ্ছে এত সব পন্য সামগ্রিই ভারত এবং বাংলাদেশর বর্ডার বেদ করে বাংলাদেশে ঢুকানোর পিছনে কাদের হাত রয়েছে বন্ধ হচ্ছে না কেন চুরাইবাজার। নাকি আইনের রক্ষকদের হাত রয়েছে এখানে?

সকল হাজারো প্রশ্ন রয়েছে জনমনে।

 

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।