যুবলীগের সাবেক নেতা সিজুর বাড়ীতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-আগুনের পর দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এবং শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক এমপিদের বাড়ি ও দলীয় অফিসে হামলার ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক দিনে সারা দেশে প্রায় ৭ হাজারের ও বেশি
আওমীলীগ,যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ সহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় নেতা কর্মীদের বাড়ীতে ভাংচুর এবং হামলা মামলার শিকার হন।প্রথম সারির নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা যেমন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক সেনাপ্রধান মইন আহমেদ, দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছে শুধুই বিএনপির কর্মীরা। এ সব ঘটনা বাদ পড়েনি আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়েও নেতাকর্মীরা।
গত ২০ জানুয়ারি মৌলভীবাজার সদরের চুবড়াতে স্থানীয় যুবলীগে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিজু চৌধুরীর বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটে।
এ সময় আমরা হতাহত সিজুর পরিবারে সাথে কথা বলে জানতে পারি, যে গত কয়েক দিন পূর্বে বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান মৌলভীবাজার সিটির সাবেক মেয়র এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক
ফয়জুল করিম ময়ূন।
পরে ২০ তারিখ সকাল ১১ দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বাড়ীতে ভাংচুর শুরু করে নাছির রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ছাত্রদলের সভাপতি রিপন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাবেক যুবদলের সভাপতি জাকির আহমদ,সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিতুর রহমান,সদর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খালিছুর রহমান,সাবেক পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, বিএনপির নেতা মাহবুব ইজদানী, সেলিম মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন,মতিন বক্স
সহ আনুমানিক ৩০ জনের বেশি বিএনপির সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সিজু চৌধুরীর মা সৈয়দা শাহানারা বেগম ফ্রিডম সিলেটকে বলেন, হামলা চলাকালীন সময়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় কল দিলে তারা কল রিসিভ করেনি । এমনকী, সিজু চৌধুরীর পরিবার বিকেলে মামলা করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ হারুনোর রশিদ মামলা নেননি। “উল্টো” হুমকি দিয়ে বলেন, মেয়রের সাথে আপোষ করে চলতে । তা না হলে সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হুমকি দিয়ে বসেন বলে,অভিযোগ করেন তিনি। হারুনোর রসিদ আরো বলেন, এখন আওয়ামীলীগের আমল নয়া এ বিষয় মাথায় রাখতে এবং বাড়িতে নিরাপদে কী ভাবে থাকা যায় সেই চিন্তা করতেও বলেন, পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় কল দিলে ওসি হারুনোর রশিদ ফ্রিডম সিলেটকে জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি শুনেছেন, তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি থানায়। তবে,অভিযোগ পেলে এর ব্যবস্থা নিবেন তারা।
এ সময় “ফ্রিডম সিলেট” সৈয়দা শাহানারা বেগমের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে, হারুনোর রশিদ জবাব না দিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে কল রেখে দেন ওসি।
অন্যদিকে, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সাথেএ বিষয় নিয়ে কথা বলতে কল দিলে, তিনি কল রিসিভ করেনি।
আপনার মতামত লিখুন