ছাত্র-জনতার উপর গু লি : সিলেটে একদিনে তিন মা ম লা
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

ছাত্র-জনতার উপর গু লি : সিলেটে একদিনে তিন মা ম লা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ
ছাত্র-জনতার উপর গু লি : সিলেটে একদিনে তিন মা ম লা

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট একদফার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা-গুলির অভিযোগে সিলেটে একদিনে পৃথক তিন ব্যক্তি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর সিলেটে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় এই মামলাগুলো দায়ের হয়। এরমধ্যে দুই মামলায় প্রধান আসামি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

 

শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।

 

 

 

মামলা বাদিরা হলেন- গোলাপগঞ্জের কদম রসুলের ধারাবহর এলাকার ইছরাব আলীর ছেলে একলিম উদ্দিন (৩৩), বটরপাড়ার রায়গড় এলাকার তাজ উদ্দিন তাজুলের ছেলে সাকিব আহমদ (২৫) ও দত্তরাইল এলাকার ছাবু আহমদের ছেলে মো. কামিল উদ্দিন (৩২)।

 

একলিম উদ্দিন মামলার এজহারে উল্লেখ্য করেন, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল গোলাপগঞ্জ উপজেলার একজন কর্মী। সরকার পতনের একদফা দাবিতে গত ৪ আগস্ট বিকেল চারটায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভা থেকে ঢাকাদক্ষিণ রোডস্থ ধারাবহর হসপিটাল রোড এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দেশী-বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে অতর্কিত গুলি করে। এসময় শত শত ছাত্র জনতা আহত হন। আমার ডান পায়ে হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হলে সাথে সাথে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। একলিম উদ্দিনের মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

 

 

 

একলিম উদ্দিন মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সিলেট ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সওয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান।

 

 

রায়গড় এলাকার সাকিব আহমদের মামলার এজহারে উল্লেখ্য করেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে ঢাকা দক্ষিণ বাজার থেকে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা চৌমুহনীতে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দেশী-বিদেশী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করতে থাকে। এসময় আমার বড় ভাই লিমন আহমদের শরীরে ১টি বুলেট, বাম পায়ে ৩টি বুলেট ও শরীরে ২টি বুলেটের আঘাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর অবস্থায় আমার ভাইকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। পরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সাইন্স ও হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা নগর হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। সেখানে অপারেশন করে মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। এ মামলায় ১৪৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৪০-৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

 

 

সাকিব আহমদের মামলা উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মন্জুর শাফি চৌধুরী এলিম, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধালন সম্পাদক রফিক উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল।

 

 

দত্তরাইল এলাকার কামিল উদ্দিন মামলার এজহারে উল্লেখ্য করেন, আমি একজন রিক্সা চালক। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সমর্থন করি। গত ৪ আগস্ট সকাল ১১ টার সময়  ছাত্র জনতা ঢাকাদক্ষিন বাজার বহুমুখী স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী এবং স্বৈরাচার বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকি। এক পর্যায়ে আসামী আলী আকবর ফখর, আব্বাছ উদ্দিন, রেজভী আহমদ, সুবেদ আহমদ (রুহেল), সেলিম উদ্দিন, শফিক উদ্দিনদের নেতৃত্বে অপরাপর আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। এমনকি এলোপাতাড়ি গুলি করে। এসময় আমার বাম পায়ে বুলেটের আঘাত লাগার কারণে আমি বর্তমানে পশু অবস্থায় চলাফেরা করছি। পরে স্থানীয় গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। পরবর্তী আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আমি পুনরায় ১০ আগস্ট গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে ১২ আগস্ট সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। চিকিৎসক আমার বাম পায়ে অপারেশন করেন আমার বাম পা থেকে ২টি বুলেট বের করা হয়। এ মামলায় ৬১ জনের নাম উল্লেখ্য করে ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

 

 

 

কামিল উদ্দিন মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সিলেটে  ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী আকবর ফখর, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।