ময়মনসিংহে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা জোরদারে সেমিনার
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

 ময়মনসিংহে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা জোরদারে সেমিনার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ণ
 ময়মনসিংহে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা জোরদারে সেমিনার

ময়মনসিংহে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম আরও জোরদারের লক্ষ্যে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (৩০ আগষ্ট) ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ও জেলা মেজিস্ট্রেট মুফিদুর আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী।

উক্ত অনুষ্ঠানে ৬৫ জন কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার, উপজেলা প্রশাসন, ও উপজেলা হেলথ সেক্টর, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ সংবাদিক ও সূধীজন মিলিয়ে প্রায় ১৬০ জন এই সেমিনারে অংশ গ্রহন করেন। প্রানবন্ত এই সেমিনারে কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে আগতরা নানা রকম প্রশ্ন, মন্তব্য, মতামত ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানিয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোকে সকল ধরনের সহায়তা দেয়া হবে এবং এই নির্দেশনা সংস্লিষ্ট সকলকে দেন। তিনি বলেন, যেখানে ট্রাস্ট বা সরকার আটকে যাবে সেখানে স্থানীয় সরকার বিভাগ তাদের হাত প্রসারিত করবে। সিসির সেবায় রাস্তা, ফেন্সিং, মেরামত, রং করা, ডায়াবেটিক বা প্রেশার মাপার মেশিন ক্রয় করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো: আক্তারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে স্বাস্থ্য খাতের যুগান্তকারী সংস্কার হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। ওয়ার্ড লেভেলে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রান্তিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়ে যাওয়া একটি বড় সংস্কার। আরো একটি বড় সংস্কার হলো অধিদ্প্তরের ন্যায় ট্রাস্ট গঠন। ৭০ টি দেশে এই কমিউনিটি ক্লিনিক সমাদৃত হয়েছে, বান কি মুন এদেশে এসেছিলেন প্রান্তিক এই স্বাস্থ্য কাঠামো দেখতে। তিনি বলেন, এই সরকারের বড় একটি সাফল্য হলো ১৪ হাজার সিএইচসিপির চাকরী সরকারী করা হয়েছে। তাদের বেতন Ibass ++ এ দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য ভাতাদি বিকাশের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে।

দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ৪৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে, আরোও ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। একটি ক্লিনিকে দৈনিক গড়ে ৩৫ জন মানুষ সেবা নিতে আসে। সেই হিসাবে দৈনিক পাঁচ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে এসব ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে এখন ২২ ধরনের ওষুধ মানুষকে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ তালিকায় কোনো অ্যান্টিবায়োটিক নেই।

তিনি আরোও বলেন, ডায়াবেটিক মাপা, প্রেশার মাপা বা জ্বর সর্দি কাশী চুলকানীর মতো রোগের চিকিৎসা, মা ও শিশুর পরিচর্যা, বয়ষ্কদের চিকিৎসা, ২২ ধরনের ফ্রী ঔষধ সরবরাহ এবং উপজেলা হাসপাতালে রেফার করার ক্ষেত্রে ময়মনসিংহের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো ১০০% সচল হবে।

অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার, পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. প্রদীপ কুমার সাহা সহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ, জেলার অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, ময়মনসিংহ জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ-সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম ভরসা। সরকারের এ অনন্য উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। তারা সেবার মান উন্নয়ন, পরিকাঠামোগত সহায়তা, জনবল প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন।

 

 

 

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।