সিলেট-১ থেকে ৩ আসনে নিলে আন্দোলনের হু ম কি বিএনপি নেতৃবৃন্দের
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

সিলেট-১ থেকে ৩ আসনে নিলে আন্দোলনের হু ম কি বিএনপি নেতৃবৃন্দের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ণ
সিলেট-১ থেকে ৩ আসনে নিলে আন্দোলনের হু ম কি বিএনপি নেতৃবৃন্দের

সিলেট-১ আসন থেকে সিলেট-৩ আসনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। তারা সরকারের এমন প্রস্তাবনাকে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন।

 

 

শুক্রবার দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে অনুষ্টিত এক সভা থেকে তারা এমন ঘোষণা দিয়েছেন।

শুধু জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দই নয়, ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডের সচেতন কোনো মনুষই সরকারের এমন প্রস্তাবনা মেনে নিতে পারছেন না। বরং এই সিদ্ধান্ত তাদের হতাশও করেছে।

 

 

 

 

কারণ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জন্মলগ্ন থেকেই এই তিন ওয়ার্ড সিলেট-১ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত। বিষয়টি এখন তাদের ঐতিহ্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেই তারা মনে করছেন।

 

কেবল ঐতিহ্যই নয় সম্মানেরও। সিলেট-১ আসনের সাথে সংযুক্ত থাকাটাকে অনেকে বিশেষ মর্যাদার বলেও মনে করেন। তাছাাড়ও আছে উন্নয়ন প্রশ্ন।

 

 

 

এই তিন ওয়ার্ডের অধিবাসীরা মনে করছেন, সিলেট-৩ এ তাদের যুক্ত করা হলে তারা কাংখিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। কারণ, সিলেট-১ আসনের চেয়ে সবসময় এ অঞ্চলের অন্যান্য আসনগুলো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে থাকে।

 

 

 

 

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দারা জনমত গঠনে মাঠে নেমেছেন।

 

 

 

 

তারই অংশ হিসাবে শুক্রবার ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ এক সভায় মিলিত হন।

 

 

 

সভায় বক্তরা বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের এই ৩টি ওয়ার্ড  সিলেট-১ আসনের সাথে আছে। আমাদের সকল ধরনের প্রয়োজনী কাগজপত্রসহ সবকিছুতে সিলেট-১ আসনের অধিনে রয়েছে। হঠাৎ করে এধরনের প্রস্তবনা সঠিক নয়।

 

 

 

 

তারা বলেন, আমরা মনে করি এটি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই স্থানীয়দের কথা চিন্তা করে এই প্রস্তাবনা আলোকে কোনো সিন্ধান্ত গ্রহণ না করতে এলাকাবাসী জোর দাবী জানাচ্ছি। যদি কোনো কারণে আমাদের সিলেট-১ থেকে ৩ সংসদীয় আসনে নেয়া হয় তা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনা করবো।

 

 

 

 

সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আফজল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ আহমদ মুকুল ও আখতার রশিদ চৌধুরী, সমাজ সেবা সম্পাদক ডা. এম এ হক বাবুল, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক দুলাল আহমদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান জুবেদ, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ফয়েজ আহমদ শিপু, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাহিদ আহমদ, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ময়নুল ইসলাম ইমন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আজহার আলী অনিক, ২৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহবায়ক হাবিব আহমদ প্রমুখ।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।