৩০ ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, সিলেটে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু


সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ, সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় ক্রাশার মেইলগুলো আছে সবই অবৈধ। ২০১৫ সালের পর থেকে এদের কারও লাইসেন্স নেই। একাধিকবার ডেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং অবৈধ পাথরসহ অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়।
তিনি বলেন, গত শনিবার (১৪ জুন) জ্বালানি উপদেষ্টা সিলেটে এসেছিলেন। ওনি এসে পরিস্থিতি জেনে তাদের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পরিদর্শনে এসেছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে জাফলং ও এর আশপাশের এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে। জাফলংয়ের অবৈধ পাথর ক্রাশারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিকে বলা হয়েছে।
ওই সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সিলেটের আর কোনো পাথর কোয়ারি খুলে দেবে না সরকার। জাফলং পর্যটন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনটি হলে এ অঞ্চলের পাথর শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
এর আগে সিলেটের পরিবেশবান্ধব পর্যটন বিকাশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার নির্দেশ দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা দেবনাথের নেতৃত্বে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ সড়কের দুপাগল এলাকায় ধোপাগুল এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন