উপদেষ্টার গাড়ি আটকিয়ে আন্দোলন করায় বিএনপি নেতা সহ ১৫৯ জন উপর মামলা।
       
খুঁজুন                
                               
শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ়, ১৪৩২
           

উপদেষ্টার গাড়ি আটকিয়ে আন্দোলন করায় বিএনপি নেতা সহ ১৫৯ জন উপর মামলা।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
উপদেষ্টার গাড়ি আটকিয়ে আন্দোলন করায় বিএনপি নেতা  সহ ১৫৯ জন উপর মামলা।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পরিদর্শনে যাওয়া দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

রোববার রাত ১১টার দিকে গোয়ানঘাট থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়েদ উল্লাহ। মামলায় সরকারি কাজে বাধাদান, গাড়ি আটক ও অবরোধের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ। তিনি জানান, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা করছে।

এদিকে, এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এবার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক চিঠিতে আজিরকে কারণ দর্শাতে বলা হয় জানান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

আজির উদ্দিন গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি পদে আছেন। পাশাপাশি তিনি ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায় জাফলং এলাকায় বালু-পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের দাবিতে এর আগে বিভিন্ন বিক্ষোভেও আজির নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আজিরকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, ‘ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে রোববার সকালে জাফলংয়ে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

শনিবার সকালে জাফলং পর্যটন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাফলং থেকে ফেরার পথে গোয়াইনঘাটের বল্লাঘাট এলাকায় তাদের গাড়িবহর আটকে দেন বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে তারা বন্ধ থাকা জাফলংসহ সিলেটের পাথরকোয়ারিগুলো চালুর দাবি জানান। পরে পুলিশের সহয়তায় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে সে জায়গা থেকে ফিরে আসেন দুই উপদেষ্টা।

উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ভিডিওতে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের কয়েকজন স্থানীয় নেতাকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।

তাদের একজন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজিজ উদ্দিন। উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে তাকে ‘ভূয়া, ভূয়া’ শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

 

এছাড়া ইয়নিয়ন ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সুমন শিকদার, জেলা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল জলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রমজান মোল্লা ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খান এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন। এদের মধ্যে জাহিদ খানকে দল থেকে বহিস্কার করেছে যুবদল।

 

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি

সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। নবগঠিত কমিটিতে আছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির তিন নেতারা।

 

বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদ্য অনুমোদিত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও নুরুল হুদা জুনেদ। তারা জানান, পদাধিকারবলে নবগঠিত এ কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।

 

 

 

আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে ১১ সদস্যের। এতে পদাধিকারবলে সদস্যসচিব রাখা হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিলেটের উপপরিচালককে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন নয়জন। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সদস্য হিসেবে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল হুদা জুনেদ।

 

 

 

কমিটিতে এনামুল ও শাহজাহান ‘ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ক্রীড়া অনুরাগী ও সংগঠক’ হিসেবে স্থান পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে নুরুল ‘ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক’ হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

 

 

 

 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়র, সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রাহাত শামস, ক্রীড়া অনুরাগী ও সংগঠক মো. মোকাম্মেল হক এবং সাবেক ফুটবলার আবিবুল বারি আয়হান। এ ছাড়া ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নাইম শেহজাদ ও ক্রীড়া সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের অন্তর্ভুক্ত হন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. আমিনুল ইসলামের সই করা অনুমোদনপত্রে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ধারা ২(১৫)-এ উল্লেখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে কমিটি হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ২ (৪) ও ৮-এ বর্ণিত পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক এ কমিটি অনুমোদিত হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ সিদ্ধান্তে অনিশ্চিত ট্রাম্প, চাপে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ সিদ্ধান্তে অনিশ্চিত ট্রাম্প, চাপে ইসরায়েল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের বিষয়ে যুদ্ধ জড়িয়ে পড়া নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি। তার ‘কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে’—এমন ইঙ্গিতেই গভীর হতাশায় পড়েছে ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলি বিশ্লেষক গিডিওন লেভি।

লেভি বলেন, ট্রাম্পের কাছে ‘দুই সপ্তাহ’ মানে হচ্ছে অনিশ্চয়তার অন্তহীন সময়। যদি এটি কেবল কৌশলগত কোনো প্রতারণা না হয়ে থাকে, তবে স্পষ্ট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে।

আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেভি আরও বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস বা ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতায় আঘাত হানলেও নিরাপত্তার স্থায়ী সমাধান মিলবে না। কারণ, ইরান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় নিজের সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলবে।

তার মন্তব্য, “ইসরায়েলের সামনে গাজা ও অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত জটিলতা রয়েছে, যা সহজে দূর হওয়ার নয়।”

সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক: ছয় লেন আর চার লেনে উন্নীতের কাজে ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক: ছয় লেন আর চার লেনে উন্নীতের কাজে ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

ঈদের ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে শনিবার (১৪ জুন) রাতে বাসে করে ঢাকায় রওয়ানা দেন আব্দুল কাইয়ুম। সিলেটের জকিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কাইয়ুমস ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।২৩৫ কিলোমিটার দুরত্বের সিলেট থেকে বাসে করে ঢাকা যেতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘন্টা। সে হিসেবে ভোরের আগেই সাইফুল ইসলামের ঢাকায় পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তিন গিয়ে পৌঁছান পরদিন সকাল ১১টায়। ঢাকা যেতে তার সময় লাগে প্রায় ১১ ঘন্টা।

বিরক্তকর এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে কাইয়ুম বলেন, এই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তাই সড়কের অনেকটা জুড়ে মাটি, বালু, পাথরসহ বিভিন্ন সামগ্রী পড়ে আছে। বৃষ্টির কারণে মাটি ছড়িয়ে পুরো সড়ক কাদাময় হয়ে পড়ে। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে যানবহানের গতি কমিয়ে আনতে হয়।

তিনি বলেন, সিলেট থেকে মাধবপুর পর্যন্ত তবু মোটামুটি গতিতে গাড়ি চলেছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢুকার পর থেকেই দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয়। এই যানজট একেবারে ঢাকা পর্যন্ত ছিলো। ফলে ৫ মিনিট গাড়ি চলে তো আধাঘন্টা থেমে থাকে- এভাবেই আসতে হয়েছে।

এই অভিজ্ঞতা সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট-ঢাকা সড়কে চলাচলকারী প্রায় সব যাত্রীদেরই। ভাঙাচোরা এই সড়কে সবসময়ই লেগে থাকে যানজট। সবচেয়ে বেশি যানজট হয় ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড থেকে নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত অংশে। এতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দিগুণ সময় লাগে গন্তব্যে পৌছতে। ঈদের মতো উপলক্ষ্যে সড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বাড়লে তো পরিস্থিতি আরও নাজুক আকার ধারণ করে। ৫/৬ ঘন্টার পথ পেরোতে ১৬/১৭ ঘন্টাও লেগে যায়। এতে করে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সড়কে দুটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীকরণের কাজ চলছে। প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। অপরদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এই দুই প্রকল্পের কাজই চলছে একেবারে ধীরগতিতে। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেনের কাজ মাঝখানে কিছুদিন বন্ধু ছিলো। এদিকে, বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এই সড়কে এখন জরুরী সংস্কার কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে ভাঙাচোরা সড়ক দিয়েই যান চলাচল করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অংশের চলমান কাজের কারণে দীঢ়র্ঘদিন ধরে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। ফলে এই অংশে সবসময়ই লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট।