উপদেষ্টার গাড়ি আটকিয়ে আন্দোলন করায় বিএনপি নেতা সহ ১৫৯ জন উপর মামলা।
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

উপদেষ্টার গাড়ি আটকিয়ে আন্দোলন করায় বিএনপি নেতা সহ ১৫৯ জন উপর মামলা।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
উপদেষ্টার গাড়ি আটকিয়ে আন্দোলন করায় বিএনপি নেতা  সহ ১৫৯ জন উপর মামলা।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পরিদর্শনে যাওয়া দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

রোববার রাত ১১টার দিকে গোয়ানঘাট থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়েদ উল্লাহ। মামলায় সরকারি কাজে বাধাদান, গাড়ি আটক ও অবরোধের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ। তিনি জানান, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা করছে।

এদিকে, এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এবার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক চিঠিতে আজিরকে কারণ দর্শাতে বলা হয় জানান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

আজির উদ্দিন গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি পদে আছেন। পাশাপাশি তিনি ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায় জাফলং এলাকায় বালু-পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের দাবিতে এর আগে বিভিন্ন বিক্ষোভেও আজির নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আজিরকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, ‘ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে রোববার সকালে জাফলংয়ে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

শনিবার সকালে জাফলং পর্যটন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাফলং থেকে ফেরার পথে গোয়াইনঘাটের বল্লাঘাট এলাকায় তাদের গাড়িবহর আটকে দেন বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে তারা বন্ধ থাকা জাফলংসহ সিলেটের পাথরকোয়ারিগুলো চালুর দাবি জানান। পরে পুলিশের সহয়তায় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে সে জায়গা থেকে ফিরে আসেন দুই উপদেষ্টা।

উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ভিডিওতে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের কয়েকজন স্থানীয় নেতাকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।

তাদের একজন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজিজ উদ্দিন। উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে তাকে ‘ভূয়া, ভূয়া’ শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

 

এছাড়া ইয়নিয়ন ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সুমন শিকদার, জেলা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল জলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রমজান মোল্লা ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খান এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন। এদের মধ্যে জাহিদ খানকে দল থেকে বহিস্কার করেছে যুবদল।

 

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।