শাবির ওয়েবসাইট উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছে ‘স্বপ্নলোক’প্রতিষ্টান
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
           

শাবির ওয়েবসাইট উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছে ‘স্বপ্নলোক’প্রতিষ্টান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
শাবির ওয়েবসাইট উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছে ‘স্বপ্নলোক’প্রতিষ্টান

দীর্ঘদিন যাবত অব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবির) নিজস্ব ওয়েবসাইট। ফলে এটি থেকে পাওয়া জরুরী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ সেবা গ্রহীতাদের। তারা বলছেন কিছুদিন পরপর ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ সেবা পেতে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.sust.edu। যেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন, ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট উত্তোলন, নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি, একাডেমিক বিবরণী, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের যাবতীয় তথ্যাবলীসহ বিভিন্ন ধরণের সেবা নিয়ে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

 

 

 

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সহ দেশের প্রথম সারির অন্তত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বা কম্পিউটার সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে শাবিতে আইসিটি সেল ও কম্পিউটার ইনফরমেশন সেন্টার নামে দুইটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও ওয়েবসাইট উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করছে বাইরের একটি প্রতিষ্ঠান। এ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ জনবল না থাকায় উন্নয়নের কাজ করতে পারছেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান।

 

 

 

 

 

জানা যায়, শাবির ওয়েবসাইটের উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছে ‘স্বপ্নলোক’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলো ডেভেলপমেন্টের কাজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রতিষ্ঠান করে থাকলেও দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটের ডেভেলপমেন্টের কাজ করছে বাইরের এই প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অসন্তুষ্টি দেখা গেছে।

 

 

 

 

 

শাবির ওয়েবসাইট www.sust.edu ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, ‘কয়েকদিন পর পরই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন না। এছাড়া এটিতে প্রবেশ করতে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে এক পেজ থেকে অন্য পেজে প্রবেশে বিলম্ব, পেজ সঠিকভাবে কাজ না করা, সার্ভারে ত্রুটি, হিউমান ভেরিফিকেশন চাওয়া ইত্যাদি লেখা ভেসে উঠা। যা আগে লক্ষ্য করা যেত না’

 

 

 

ওয়েবসাইট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবেদনকারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘গত ৫জানুয়ারি শুরু হয় শাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন। তবে নির্ধারিত তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট admission.sust.edu.bd তে ৭২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে আবেদন করতে পারেন নি তিনি।’

 

 

 

এদিকে গত ২৫ জানুয়ারি ভর্তি আবেদন শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে অনেক শিক্ষার্থী আবেদন করতে না পারার ফলে আবেদনের সময়সীমাকে ৬দিন বৃদ্ধি করে ৩১ জানুয়ারি করার সিদ্ধান্ত নেয় ভর্তি কমিটি।

 

 

 

ওয়েবসাইট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, ‘ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় আবেদনকারীদের অনেকে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকেন। অনেক শিক্ষার্থী একসাথে প্রবেশের চেষ্টার ফলে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ওয়েবসাইটের ধীরগতি ও প্রবেশ করতে না পারার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে হ্যাকাররা ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করার ফলে এ ধরণের সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় বলে জানান এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।’

 

 

 

রসায়ন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জীবন সরকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহারে বরাবরই শিক্ষার্থীরা নানাবিদ সমস্যায় পড়ে থাকেন। কিছুদিন আগেও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা আবেদন শুরু হওয়ার তিনদিন পর্যন্ত আবেদন করতে পারেননি। প্রতি সেমিস্টারে আমরা ক্রেডিট ও সেমিস্টার ফি দিতে সমস্যায় পড়ে থাকি। এছাড়া জরুরী মূহুর্তে ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়।’

 

 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিক কুমার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে অনেকে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকেন। তবে কিছুদিন পরপর এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তাৎক্ষণিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সবাই যাতে সঠিক সময়ে সেবা নিতে পারেন এজন্য কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।’

 

 

 

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুর রহমান বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই স্বপ্নোলোককে ওয়েবসাইটটের কাজ দেওয়া ছিল। ‘কম্পিউটার ইনফরমেশন সেন্টার’ নেটওয়ার্ক ও ‘আইসিটি সেল’ সফটওয়্যার এবং সাপোর্ট সাভির্স নিয়ে কাজ করে থাকে তবে ডেভেলপমেন্টের কাজ করে স্বপ্নোলোক। ওয়েবসাইট নিয়ে অনেক সমস্যার অভিযোগ আসছে এর জন্য আমাদেরকে ওয়েবসাইট নতুন করে করতে হবে যাতে ফান্ড প্রয়োজন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা ১০ লক্ষ টাকার মতো ফান্ড চেয়েছি।

 

 

 

তিনি বলেন ‘আইসিটি সেলে আমাদের লোকবল খুবই কম কম্পিউটার প্রোগ্রামার আছে মাত্র ২জন, যার ফলে ওয়েবসাইটের ডেভেলপমেন্টের মতো কাজ করা কঠিন। এখানে ( সেলে) যে বেতন দেওয়া হয় তাতে কোয়ালিফাইড লোকও ধরে রাখা যায়না। গত কিছুদিন আগে দুইটা ছেলে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে কারণ একটায় বেতন খুবই কম। সিস্টেম ডেভেলপ করার মতো ম্যান পাওয়ার আমাদের নেই, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

 

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, অভিযোগগুলো সত্য আমি ওয়েবসাইট আপডেট করার জন্য ‘আইসিটি সেল’কে বলেছি। জনবল বাড়াতে আমরা ইউজিসির কাছে আবেদন করেছি, আর্থিক অনুমোদন পেলে জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা হবে। দক্ষ জনবল নিয়োগের পর ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের কাজযাতে নিজেরাই করতে পারি সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।

 

সিলেটে ফাহিম হ ত্যা কা ণ্ড নিয়ে যা জানালেন ভাই কামরান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
সিলেটে ফাহিম হ ত্যা কা ণ্ড নিয়ে যা জানালেন ভাই কামরান

সিলেটে ফাহিম হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন তার ভাই মো. মহসিন কামরান, পিতা মাওলানা আব্দুল আলীম ও চাচা আব্দুল হান্নান। এসময় গ্রামের সচেতন মহলের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সিলেট মহানগরীতে নিজের কাজকর্ম সেরে ক্লান্ত ফাহিম আহমদ (২৭) বাড়ি ফিরেছিলেন। তার মা বাড়ি ছিলেন না। মাকে ডাকছিলেন তিনি। কিন্তু তখন পূর্ব শত্রুতার জেরে আপন ফুফু একই বাড়ির মো. জিলাল উদ্দিনের স্ত্রী কুলসুমা বেগম ও তার দুই ছেলে সাইদ আহমদ (২৩) ও মাহিদ আহমদ (১৯) তার সঙ্গে ব্যাঙ-বিদ্রুপ শুরু করে। ফাহিম প্রতিবাদ করলে তারা আরও ক্ষেপে যান এবং গালাগাল করতে করতে ছুটে এসে কুলসুমা বেগম ও মাহিদ তার দুই হাত চেপে ধরেন। তখন সাঈদ তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। পরে বাড়ির অন্যান্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ডাক্তার অবস্থা বেগতিক দেখে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাকে ভর্তি করা হলেও পরদিন ১ মে সকাল ৮টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ফাহিম। পরদিন তার পিতা মাওলানা আব্দুল আলীম বাদী হয়ে কুলসুমা, সাঈদ ও মাহিদকে আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং ৩/০২/০৫/২৫)। উপরের বিবরণটি তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

ঘটনার ৯দিন পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাম্মনবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে এক কলোনি থেকে কুলসুমা, সাঈদ ও মাহিদকে গ্রেফতার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে।

তবে কুলসুমা বেগমের অপর ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী জাকির হোসাইন এখনো তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি মামলা প্রত্যাহার না করলে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটানোর হুমকি দেয়ায় এখন গোটা পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। যখন তখন জাহিদের লোকজন তাদের উপর হামলা করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে মহসিন কামরান বলেন, আমরা হুমকির প্রেক্ষিতে একটি জিডি দায়ের করেছি। তবে জাকির বিদেশে। তার কাছে প্রচুর টাকা-পয়সাও আছে। যখন তখন তার পক্ষ থেকে হামলার আশঙ্কায় আমরা শঙ্কিত। বিশেষ করে আমার বৃদ্ধ বাবা মা অসুস্থ। তাছাড়া এখন ফাহিমের শোকে গোটা পরিবারই মুহ্যমান। এ অবস্থায়  আমরা নিরাপত্তাহীন। আমি এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাই।

তিনি বলেন, আমার নির্দোষ ভাইকে তারা হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাঁসির দাবি জানাই। পাশাপাশি এর নেপথ্যে অন্য কেই আছে কি না আমরা জানিনা। গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে অন্য কেউ থাকলে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।

ফাহিমের পিতা মাওলানা আব্দুল আলীম বলেন, আমি ন্যায় বিচার চাই। জায়গা জমির মধ্যে বোনের প্রাপ্য অংশ আমরা অনেক আগেই তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। এরপর তারা অযৌক্তিকভাবে আমাদের সঙ্গে বিরোধে লেগে থাকে। অযৌক্তিক দাবি করতে থাকে। পঞ্চায়েত মানেনা। এখন আমার যুবক ছেলেটাকে মেরেই ফেলেছে। আমার বোন কুলসুমা এবং তার দুই ছেলে সাঈদ ও মাহিদের ফাঁসি চাই। আমার স্ত্রীও আজ পুত্রশোকে কাতর। তারও একই দাবি।

ফাহিমের চাচা আব্দুল হান্নান বলেন, বোন ভাগ্নাদের নিয়ে কলোনিতে থাকতো ভাড়াটিয়া হিসাবে। তার শ্বশুর স্বামী জিলাল উদ্দিন ও তার সন্তানদের ত্যাজ্য করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। দেখে আমাদের কষ্ট হয়েছিল বলে বাড়িতে এনে আশ্রয় দিয়েছিলাম। পৈতৃক জায়গা থেকে বোনের অংশ বুঝিয়েও দিয়েছিলাম। তবু তারা সন্তোষ্ট হয়নি। নানাভাবে আমাদের হয়রানি করেছে এবং অবশেষে আমাদের সবার প্রিয় ভালোবাসার ফাহিমকে তারা ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্য গ্রামবাসীরাও খুনীদের ফাঁসির দাবি ও মাওলানা আব্দুল আলীমের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

আজ টিভিতে দেখা যাবে যেসব খেলা (২ মে)

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ণ
আজ টিভিতে দেখা যাবে যেসব খেলা (২ মে)

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে আজ মাঠে নামছে আবাহনী। আইপিএলে মুখোমুখি হবে গুজরাট ও হায়দরাবাদ। আছে পিএসএল, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও জার্মান বুন্দেসলিগার ম্যাচও।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

বসুন্ধরা কিংস–আবাহনী

বিকেল ৫–৩০ মি., টি স্পোর্টস

আইপিএল

গুজরাট–হায়দরাবাদ

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস

পিএসএল

পেশোয়ার–ইসলামাবাদ

রাত ৯টা, নাগরিক টিভি

জার্মান বুন্দেসলিগা

হাইডেনহাইম–বোখুম

রাত ১২–৩০ মি., সনি স্পোর্টস টেন ২

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ম্যানচেস্টার সিটি–উলভারহ্যাম্পটন

রাত ১টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত সিলেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত সিলেট

মহান মে দিবস ও দু’দিন সপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটিতে ভীড় জমেছে সিলেটের পযর্টন কেন্দ্রগুলোতে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন ভ্রমন বিলাসীরা। আবাসিক হোটেলগুলোতে কিছুটা রুম সঙ্কট ও ভীড় চোখে পড়ার মতো। এতে কিছুটা ভোগান্তিতেও পড়েছেন অনেক পর্যটক।

সিলেট, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি মনোরম জেলা। ঐতিহ্যবাহী সিলেট সবুজ চা বাগান, টিলাটালা, আদিম নদী, মহিমান্বিত জলপ্রপাত এবং পবিত্র স্থানগুলোর জন্য বিশ্বমণ্ডলে খুব পরিচিত। সিলেটকে বলা হয় পর্যটন নগরী। সিলেটে রয়েছে মন মাতানো অনেক পর্যটন স্থান। সবুজের সমারোহ আর টিলা বেষ্টিত পাহাড়, শীতল জল কোনো কিছুরই কমতি নেই সিলেটে।প্রকৃতিপ্রেমী ও ইতিহাসপ্রেমী কিংবা আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার অধিকারীরা সময়-সুযোগ পেলেই চলে আসেন সিলেটের বাতাস গায়ে মাখতে। এ অঞ্চলের রোমাঞ্চকর প্রাকৃতিক পরিবেশও দারুন উপভোগ্য।

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জাফলং চা বাগান, জাফলং আগুন পাহাড়, রাতারগুল, বিছানাকান্দি, পাঙথুমাই জলপ্রপাত, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, লালাখাল, ডিবির হাওর, সংগ্রাম পুঞ্জি, লক্ষণছড়া, লোভাছড়া, অ্যালভিনা গার্ডেন, সোনাতলা পুরাতন জামে মসজিদ, মিউজিয়াম অব রাজাস, হাছন রাজার বাড়ি, নাজিমগড় রিসোর্ট, জকিগঞ্জ ত্রি-নদীর মোহনাসহ আরও বিভিন্ন মনোলোভা স্থান। এরমধ্যে সিলেট নগরী ও শহরতলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ওলিকুল শিরোমনী হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) এর মাজার, এমএজি ওসমানী মিউজিয়াম, লাক্কাতুরা চা বাগান, ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ, সুরমা পারে অবস্থিত ঐহিত্যবাহী আলী আমজদের ঘড়ি, কিনব্রিজ, জিতু মিয়ার বাড়িসহ এমন অনেক দর্শনীয় ঐতিহ্যের নিদর্শন রয়েছে।

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর পার্শ্ববর্তী লাক্কাতুরা, মালনিছড়া, তারাপুর ও দলদলি চা বাগানে ছিল উপছে পড়া ভীড়। কেউ কেউ প্রথমবারের দেখায় প্রেমে পড়েছেন চা বাগানের সৌন্দর্যের। কেউ কেউ প্রকৃতির ভালোবাসায় দুর-দূরান্ত থেকে বারবার ছুটে আসেন এই বাগানগুলোর সবুজে মিশে যেতে।

শ্রমিক দিবস ও সপ্তাহিক ছুটি ঘিরে সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনালে সকাল থেকেই মানুষের উপছে পড়া ভিড় দেখা গেছে। টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিলেটে আসছেন ভ্রমণপিপাসুরা।

পরিবহন কর্তৃপক্ষরা বলছেন, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছে এবং বাস টার্মিনালে নিয়মিত মনিটরিংও করা হচ্ছে। সবরকমের বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। সিলেটের বাইরে থেকে ঘুরতে আসা লোকজন যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন সেই ব্যাপারেও সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

সিলেটের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিলেট বিভাগে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই পর্যটক নির্ভর। মে দিবসের ছুটি ও সপ্তাহিক ছুটিতে সিলেটের বিভিন্ন হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্টগুলো পর্যটকে ভরপুর। সিলেটের বাইরের লোকজন আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখছেন। বিশেষত বড় হোটেল ও রিসোর্টগুলোর কোনো কক্ষই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আর ফাঁকা পাওয়া যায়নি।

সুদূর ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে সিলেটে ঘুরতে আসা সাব্বির আহমদ বলেন, আমি আসলে সরকারি চাকরি করি। সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় দেখে আমি সিলেটের প্রেমে পড়ে যাই। তাই সংক্ষিপ্ত এই ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমি প্রথমবার চা বাগানে এসেছি। এর আগে ছবিতে, ভিডিওতে যেরকম দেখেছি কিন্তু বাস্তবে এর রোমাঞ্চ আরো দ্বিগুণ। চা বাগানগুলো অত্যান্ত সুন্দর। সত্যিই চা বাগানের প্রকৃতি আমাকে মুগ্ধ করেছে।

মে দিবসের ছুটিতে নাজির বাজার থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে আসা শামিম আহমদ বলেন, আমি সিলেটেরই বাসিন্দা। সিলেটের প্রকৃতি ও পরিবেশ আমার অনেক ভালো লাগে। সর্বাবস্থায় নিরাপদ ভ্রমণের জন্য মানুষ সিলেটকে বেছে নেয়। আমি যখনই ছুটি পাই কিংবা সুযোগ পাই আমার পরিবার নিয়ে সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান উপভোগ করতে চলে আসি।

নারায়নগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা পারভীন বেগম বলেন, সিলেটে আমি ভাইয়ের বাসায় পরিবার নিয়ে এসেছি। এসেই লাক্কাতুরা চা বাগানে চলে এসেছি। আমার বিয়ের আগে এখানে একবার এসেছিলাম। বিয়ের পর স্বামী বা সন্তানরা এবারই প্রথম এসেছে এই বাগানে। তারাও উপভোগ করছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। নজরদারি ও টহল পুলিশিং জারি রয়েছে। বিনোদন কেন্দ্রের ভেতরে না থাকলেও কেন্দ্রগুলোর বাইরে আমাদের পুলিশের টহল সবসময় আছে। কারো কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে অবহিত করলে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।