প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত হয়েছি: ফখরুল
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত হয়েছি: ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২:০০ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত হয়েছি: ফখরুল

জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা না দেয়ায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আশাহত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কার দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়েছেন ফখরুল।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

মির্জা ফখরুর বলেন, ‘আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আমি আশাহত হয়েছি। ধারণা করেছিলাম, তিনি তার প্রজ্ঞা দিয়ে একটা নির্বাচনের রূপরেখা দেবেন। আমরা এখন পর্যন্ত আপনাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসররা সচিবালয়ে বসে আছেন। তারা তো আপনাকে সংস্কার করতে দেবেন না। তাই সংস্কার দৃশ্যমান করুন। তবুও মানুষ মেনে নিচ্ছে। তারা ভাবছে, আপনি একটা সুন্দর জিনিস দেবেন।’

 

তিনি বলেন,

আমরা অবশ্যই সংস্কার চাই। তবে এমন সময় যেনো না নেয়া হয়, যাতে জনগণের ভেতর ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়। আমরা বলেছি, একজন দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। পার্লামেন্ট হতে হবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট। বিচার বিভাগের সংস্কারের কথা আগেও বলেছি আমরা। তারেক রহমানের কথা দেশবাসী ও তরুণরা গ্রহণ করছেন।

ফখরুল বলেন, ‘আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শেষ বর্ষের ছাত্র, তখন পল্টনে মাওলানা ভাসানী ডাক দিয়েছিলেন। সমাবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু হাজার হাজার লোক হয়েছিল। আমরা কী করে তাকে ভুলবো? তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পিজিতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, সে সময় তিনি জিয়াউর রহমানকে বলেছিলেন তুমি তরুণ; তুমি সৎ; তুমি পারবে।’

 

‘তাই আসুন আমরা মাওলানা সাহেবের আদর্শ ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। আমরা বিশ্বাস করি, এ সরকার পারবে, এ দেশের মানুষ পারবে’, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনীতি যদি ভুল হয়, তাহলে সে দলের ভরাডুবি হয়। যেমন এখন একটা পরিবর্তন এসেছে, এটাকে বুঝতে হবে যে ছেলেরা কী বলছে। ছাত্ররা অনেক কথা বলছে, তাদের অধিকারও আছে। আমরা ১৫ বছর ধরে জান দিয়েছি, প্রাণ দিয়েছি। যখন বিভাগীয় সমাবেশ করতাম তখন আমরা বলতাম তরুণরা না আসলে বুক পেতে গুলি নেবে কে? আমরা বয়স্করা চিন্তা করি, আমার কী হবে? আমার পরিবারের কী হবে? কাজেই ছাত্রদের সঙ্গে কোনো দূরত্ব তৈরি করা যাবে না।’

 

‘আমরা আবার একটু হিসাবি। সেজন্যই আমরা বলছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দেশের জন্য মঙ্গল। এই সরকার যত বেশি দিন থাকবে ততই সমস্যা বাড়বে। কারণ এই সরকারের কোনো মেন্ডেড নেই। হাসিনা পালিয়েছেন কেন? কারণ তিনি বুঝতে ভুল করেছেন। তিনি আমাদের কথা শোনেননি। আবারও বলতে চাই, এমন কাজ না করি, যাতে দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যায়’, যোগ করেন ফখরুল।

 

মাওলানা ভাসানী ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক নেতা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,

ভাসানী কিংবদন্তি, তিনি বিরাট বটগাছ। তার অভ্যুত্থান একদম সাধারণ পরিবার থেকে। তার ভেতরে একটা আগুন আছে। সমগ্র ভারতবর্ষে পাকিস্তান আন্দোলনের জন্য তিনি কাজ করেছেন। সর্বত্র তার বিচরণ ছিল। তার আদর্শ আজকের রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। চাপিয়ে দেয়া বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছিল তার আন্দোলন।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।