মৌলভীবাজারে ৭ উপজেলা ও ৫ পৌর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা বিএনপির
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

মৌলভীবাজারে ৭ উপজেলা ও ৫ পৌর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা বিএনপির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ
মৌলভীবাজারে ৭ উপজেলা ও ৫ পৌর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা বিএনপির

মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভায় বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে শহরের রেস্ট ইন হোটেল কনফারেন্স হল রুমে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউস।

তিনি বলেন, আজ থেকে মৌলভীবাজার জেলার সকল উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরবর্তীতে আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার সকল উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠন করা হবে। আহবায়ক কমিটির দায়িত্ব তাদেরকেই দেওয়া হবে যারা বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

 

দল ও তৃণমূল নেতৃত্বকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে অবশ্যই মৌলভীবাজার জেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজানো হবে। অপশক্তি ও ফ্যাসিবাদের সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে জনগণের ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশ গঠনে বিএনপি কাজ করে যাবে। উপস্থিত নেতারা আগামীতে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছেন।

বিএনপি মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান।

 

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, আব্দুর রহিম রিপন, মোশাররফ হোসেন বাদশা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মৌলভী আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকি, নাছির উদ্দিন মিঠু, আশিক মোশারফ, আব্দুল মুকিত, ফখরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, আব্দুল হাফিজ, মাহমুদুর রহমান, হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, বকশী মিছবাউর রহমান, মতিন বক্স, মাহাবুব ইজদানী ইমরান, অ্যাডভোকেট বকশী জুবায়ের আহমেদ, আবুল কালাম বেলাল, জিতু মিয়া, স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, গাজী মারুফ আহমেদ, আব্দুল হক, দুরুদ আহম্মদ, আশরাফুজ্জামান খাঁন নাহাজ, সেলিম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আনিসুজ্জামান বায়েছ।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।