মসজিদে ঢুকে বিএনপি নেতাদের বেধড়ক পে টা লে ন আ.লীগকর্মীরা
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

মসজিদে ঢুকে বিএনপি নেতাদের বেধড়ক পে টা লে ন আ.লীগকর্মীরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:১২ পূর্বাহ্ণ
মসজিদে ঢুকে বিএনপি নেতাদের বেধড়ক পে টা লে ন আ.লীগকর্মীরা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গোসল করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে ঢুকে বিএনপি নেতাদের বেধড়ক পিটিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আসাদুজ্জামান নোমান ঘারুয়া ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। বুধবার (১৩ নভেম্বর) ফজরের নামাজের সময় উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাজরাকান্দা গ্রাম দুটি দলে বিভক্ত। দুটি দলই নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক। একটি দলের নেতৃত্ব দেন জব্বার মাস্টার, অন্য দলের নেতৃত্ব দেন জুলহাস মেম্বার। মঙ্গলবার দুপুরে জুলহাস মেম্বার দলের পান্নু খালাসির সঙ্গে জব্বার মাস্টারের দলের দুলাল খালাসির গোসল করা নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় উভয়ের মাঝে সালিশ বৈঠকে বসার সময়ও নির্ধারণ হয়। পরে বুধবার জব্বার মাস্টারের দলের আসাদুজ্জামান নোমানসহ আরও ৫-৬ জন ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে রওনা দেন।

 

এ সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা জুলহাস মেম্বারের দলের লোকজন আনোয়ার খালাসী, বালা খালাসী, মন্নু খালাসী, সোহেল খালাসী, মিরাজ মাতুব্বর, অন্তর, শীতল, নিলু পেছন থেকে ধাওয়া করে। তখন বিএনপি নেতা ও তার লোকজন দৌড়ে মসজিদের ভেতর আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে প্রতিপক্ষরা মসজিদের ভেতরে গিয়ে হামলা চালায়।

 

এ সময় আসাদুজ্জামান নোমান (৫০), আক্কেল আলী (৫৩), আওলাদ আলী (৫৮) ও দুলাল খালাসী (৪৫) গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

 

এ ঘটনায় দলনেতা জুলহাস মেম্বার জানান, জব্বার মাস্টারের লোকজনরা পান্নুর বউকে মারধর করে। সে হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে আমাকে না জানিয়ে ওরা মসজিদে হামলা চালিয়েছে।

অন্যদিকে আরেক দলের নেতা জব্বার মাস্টার জানান, আগের দিন একটা ঘটনা ঘটলে রাতেই মীমাংসা হয়ে যায়। তারপরেও আমার লোকজন ফজরের নামাজ পড়তে গেলে ওই গ্রুপটি মারধর করে। আহতরা সবাই বিএনপির লোকজন।

 

ভাঙ্গা থানার ওসি মোকছেদুর রহমান জানান, মারামারির এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।