সিলেটে এবার গ্রেফতার আ ত ঙ্কে জাপা নেতারা
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২
           

সিলেটে এবার গ্রেফতার আ ত ঙ্কে জাপা নেতারা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
সিলেটে এবার গ্রেফতার আ ত ঙ্কে জাপা নেতারা

সিলেটে আওয়ামী লীগের পর এবার গ্রেফতার আতঙ্কে আছে জাতীয় পার্টি। টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের বড় সহযোগী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি পরিচিতি পায়। তাই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধেও মামলা হচ্ছে এবং গ্রেফতারও হচ্ছেন তারা।

 

সিলেটে একদিনে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্রীয় এক নেতা ও জেলা জাপা’র এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জানা যায়, জাতীয় পার্টির সাবেক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়াকে সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে র‍‍্যাব। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলার অভিযোগে গত ২ অক্টোবর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয় সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

 

গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 

ইয়াহিয়া চৌধুরী ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙল প্রতীক নিয়ে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানের কাছে তিনি পরাজিত হন।

 

তিনি গত সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া গত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রকাশ্য সমর্থন করেন তিনি। এসময় তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় দল। পরবর্তীতে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোদ দলেরই সমালোচনা করেন বসেন ইয়াহিয়া। পরে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

 

 

এছাড়া সোমবার বিকালে র‍‍্যাব-৯ এর একটি টিম সিলেটের গোলাপগঞ্জের ৭ নং লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলকুর রহমান (৪৫)-কে উপজেলা কার্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তিনি জেলা জাতীয় পার্টি নেতা। দলীয় প্রতীকে তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লক্ষনাবন্দে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।

 

 

৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে খলকুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালি ও দক্ষিণ সুরমা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

পরে মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 

সিলেট জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের কয়েকজন নেতা জানান- এই দুজনের গ্রেফতারের পর তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই বাড়িছাড়া। আছেন আত্মগোপনে। তবে এ বিষয়ে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির শীর্ষ কোনো নেতার বক্তব্য মিলেনি, তাদের সবারই ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলার এক নেতা বলেন- ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে ৫ আগস্টের পরে সারা দেশে জাপার বেশ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা ও নাশকতা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এসব মামলা মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। কারণ- আমাদের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার পর্যন্ত হয়েছেন। ছাত্র-আন্দোলনে যখন গুলি চালানো হলো, জাতীয় পার্টি এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এরপরও ৫ আগস্টের পর আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’

গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের কাজ শুরু ।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জের ১০ নং উত্তর বাদপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী স্কুলের  কাজ শুরু ।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী মফজ্জিল আলী দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ চলিতেছে।

নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না: আখতার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

এসময়, আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কেউ সনদ থেকে স্বাক্ষর মুছে ফেলার চেষ্টা করছে আবার কেউ জুলাই সনদ যেন বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে বলেন, এই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হলেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। একইসাথে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে ২০২৬ সালে সংশোধিত সংবিধান প্রণয়ন করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, আমরা এই সংশোধনী প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বাস্তবায়ন না করতে আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দিয়েছে।

যদি কোনো দলের কারণে প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ের গতিপথ পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা ধরে নিবো, লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠক অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে তখন আমরা ভেবে দেখবো। এখনো কোনো দলের সাথে জোট যায়নি এনসিপি।

সংস্কার কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট সম্পর্কে বলেন, নোট ডিসেন্টকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার কোনো গুরুত্বই থাকবে না। ঐক্যমত্য কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে, নোট অব ডিসেন্টকে বাস্তবায়ন করার প্রশ্নই আসে না।

আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ, শাহবাগে এনসিপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় সভা চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলের দ্বিতীয় তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন হলের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ইউসুফ নামে বংশাল থানার এক কর্মী আহত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন।

বংশাল থানা এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় দাবি করে সৌরভ নামের একজন বলেন, দুই মাস আগে আমরা ব্যবসার একটি কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের থানা এনসিপির নেতা ইমতিয়াজ ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুর এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আগেই জানিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানকে দেখতে পেয়ে আমরা টাকা চাই। কিন্তু সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরাও পাল্টা হামলা করি।