হু হু করে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক, ১৪৩২
           

হু হু করে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ
হু হু করে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সিলেটে বন্যার শঙ্কা বাড়িয়েছে উজানের বৃষ্টিপাত। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটেও হয়েছে বৃষ্টি। ফলে তলিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পর্যটনকেন্দ্র। পাহাড়ি ঢল নামছে সাদাপাথর, জাফলং ও বিছানাকান্দি পর্যটনকেন্দ্রের সীমান্ত নদী দিয়ে। এ কারণে তিন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে স্থানীয় সচেতন মহল। সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সাথে সিলেটের নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। অন্যদিকে গতকাল শনিবার একাধারে তিন ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও কোমর পানি, আবার কোথাও হাঁটু পানি পর্যন্ত পানি ভেঙ্গে চলাচল করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।

 

 

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৯৮.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ১ মিলিমিটার, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হয়েছে ৭ মিলিমিটার, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এছাড়া শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

 

 

গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর এয়ারপোর্ট রোড, রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, ইলেক্ট্রিকসাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, উত্তর বাগবাড়ী এলাকা, মিরাবাজার, সুরমা তীরের মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, বিমানবন্দর, চৌকীদেখী, শাহপরাণ, কদমতলী ও সংলগ্ন এলাকা, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর, দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা ইত্যাদি এলাকার রাস্তাঘাটগুলো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছিল নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার চৌহাট্টা এলাকাও। বৃষ্টি কিছুটা কমলে জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে পানি নেমে গেলেও কিছু এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা ডুবে গেছে। ড্রেন ভরাট হয়ে মানুষের বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ড্রেনের ময়লা পানি উপচে ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

আমাদের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি জানান, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলে দ্রুত পানি বাড়ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব স্থানে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। দেখা গেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অস্থায়ী স্থাপনা সরানোর চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা।

জাফলং পর্যটন স্পটের টুরিস্ট পুলিশের ওসি শাহাদাৎ হোসেন জানান, জাফলংয়ে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এবং নদীর পানি বাড়ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পর্যটকদের ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, “উপজেলার গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের নিচু অংশের অংশবিশেষ প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কিছু কিছু এলাকায় পানি বাড়ছে। ঢলের এই সময় পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা বলব, পর্যটকদের পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রে যেতে।” তিনি আরো জানান, ‘উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৫৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও মাঝিসহ নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, “উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো কারো আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।” তিনি বলেন, “উজানে বৃষ্টি হচ্ছে, সাদাপাথর দিয়ে ঢল নামাটা স্বাভাবিক। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
অন্যদিকে সিলেটে ভারী বর্ষণের ফলে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে।

বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ের একটি প্রভাবিত অঞ্চল উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ৫ দিন সারাদেশে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।

আগামী নভেম্বরের মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার কার্যক্রম শেষ হবে বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া সংবাদ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এই বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোটার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে গতকাল রোববার ডিআরইউতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ‘কমিশন-প্রস্তাবিত আশু করণীয় ২৩টি সুপারিশ পর্যালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালা ও অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিছু বিষয় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সুন্দরীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না: ফয়জুল করিম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সুন্দরীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না: ফয়জুল করিম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়, ঘুমাতে পারবেন না, ব্যবসা করতে পারবেন না, সুন্দরী নারীরাও রাস্তায় বের হতে পারবে না। সচেতন হোন জনগণ, আর কত? চাঁদাবাজ, জুলুমকারী ও অত্যাচারীদের পরিবর্তন চান না?রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার’, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন’ এবং ‘সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন’-এর দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করে ফয়জুল করিম বলেন, যে চাঁদাবাজির জন্য মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছিল, সেই চাঁদাবাজি এখনো আছে, বরং বেড়েছে। ধর্ষণও কমেনি, আগের চেয়ে বেড়েছে। যে দখলদারির অভিযোগে আওয়ামী লীগকে সরানো হয়েছিল, সেই দখলদারি এখনো চলছে।বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে বিএনপি বিএনপির মধ্যে প্রকাশ্যে যত খুন হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে এতটা হয়নি। যারা এসব করছে, তারা যদি ক্ষমতায় আসে, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি আরও বাড়বে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, আপনারা যদি পিআর পদ্ধতি না মানেন, গণহত্যার বিচার না করেন, তবে জনগণের আস্থা পাবেন না। ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, কিন্তু সংখ্যালঘুরা এখনো বঞ্চিত। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যারা এ দেশ শাসন করেছে, কেউই বৈষম্য ঘোচাতে পারেনি।ইসলামী আন্দোলন উপজেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি আলহাজ মাওলানা নাছির উদ্দিন রোকন ডাকুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ঝালকাঠি-২ আসনের প্রার্থী ড. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য আলহাজ হারুন-অর-রশিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম আল-আমিন চৌধুরী ও ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুব আলম প্রমুখ।