গাজায় কান্নার রোল যেন আর শেষ হচ্ছে না, চারিদিকে শুধু হাহাকার।


ফ্লোরিন বো/মায় গা/জাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্বিচারে হ./ত্যা করা হচ্ছে নারী, শিশু, হা/ম/লায় আহত হাসপাতালে আসা রোগি, মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের। ধ্বংসস্তুপের নিচে গলিত, পচা মৃ/ত/দেহ। তাদের উদ্ধারের কেউ নেই।গা/জার শহরগুলো বিস্তীর্ণ এক একটা শশ্মান যেন। পথে পথে পড়ে আছে মরা মানুষ, বো/মায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, ধ্বংসস্তূপের সাথে ধূমায়িত কালচে র/ক্তের দাগ।
এখানে সকালের সূর্য ওঠে গভীর বিষন্নতায়। এখানে ভোরে মসজিদে মসজিদে ফজরের আযানে কান্নার রোল। বাতাসে বেজে উঠে সন্তানহারা মায়ের বেদনার করুণ আর্তি।
নিজেদের নিরাপত্তার কথা বলে, হা/মা/সের হঠকারিতার সুযোগ নিয়ে কী সহসায় অবরোধ, হ/ত্যা, বো/মা মেরে অল্পদিনেই একটা জাতিকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেললো ই/স/রা/ইল। অথচ চোখ বন্ধ করে থাকলো গোটা দুনিয়া। তাতে সমর্থন যোগালো দুনিয়ার শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর অনেকে। এ কাজে অর্থ, অস্ত্র দেওয়া হলো।
অথচ আমরা নিজেদের সভ্য দুনিয়ার বাসিন্দা ভাবি। এখানে আছে জাতিসংঘ, সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, মানবাধিকার সংস্থা। আছে গির্জা, প্যাগোডা, উপাসনালয়। আছে গীতা, বাইবেল, বিস্তা, কোরান, ত্রিপিটক। আছে পুরোহিতদের মুখে পাপ-পুণ্যের সুললিত বাণী। আছে ডেমোক্রেট, রিপাবলিকান, টরি, কংগ্রেস, ব্রাদারহুড, জয়বাংলা, জিন্দাবাদ।
সবই আছে। তবে ওরা কেউ গা/জাবাসীর কাজে আসে না। ওদের কেউ নেই। ওদের পাশে আছে কেবল নিজের ছায়ার সাথে চলা এক একটা যমদূত।
এই যমদূতের হাত হতে আর মুক্তির কোনো উপায় নেই ওদের। মৃ/ত্যু/তেই যেন তাদের শেষরক্ষা। মৃ/ত্যু/র জন্যই ওদের অপেক্ষা। ফিলি/স্তিনি এক কবির ভাষায়,
“”মৃত্যু হলে প’রে শিশুদের এক একটা ডানা গজিয়ে যাচ্ছে
আর তারা উড়ে যাচ্ছে স্বর্গের দিকে।”
আপনার মতামত লিখুন