আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত: প্রধান উপদেষ্টা
       
খুঁজুন                
                               
সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ়, ১৪৩২
           

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৫:৩৯ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের রাজনীতি, সংস্কার, নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।

যুক্তরাজ্য সফরে গত ১২ই জুন তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড নিয়েছেন, এই পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে বিবিসির সাংবাদিক রাজিনি বৈদ্যনাথন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেন।

ইংরেজিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারটির কিছু অংশ বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা হলো…

বিবিসি: আপনার দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলি। আপনি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনি দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতা। আপনি বলেছেন, এই নির্বাচন যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক হয়। কিন্তু একটা সমালোচনা হচ্ছে যে, আপনি আওয়ামী লীগকে, অর্থাৎ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে দিচ্ছেন না। কেন?

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস: আমরা বহুবার এটা ব্যাখ্যা করেছি, আবারও বলছি। প্রথমত, আওয়ামী লীগ না থাকলেও নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে কি না; সম্প্রতি ঢাকায় জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর খুব ভালোভাবে এটা ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক মানে কোনো নির্দিষ্ট দল নয়, সব মানুষের অংশগ্রহণ। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ ভোট দিতে পারছে, ততক্ষণ এটা অন্তর্ভুক্তিমূলক। বিবিসি: দেশের অনেক মানুষ এখনো আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে।

অধ্যাপক ইউনূস: তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন তারা ভোট দিতে চায় কি না…

বিবিসি: তারা আওয়ামী লীগকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে না।

অধ্যাপক ইউনূস: যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ভোটার — তাদের ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা আছে।

বিবিসি: কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নয়, যদি না আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ইউনূস: আমরা এখনো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি।

বিবিসি: তাহলে আপনি বলছেন, তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে…

অধ্যাপক ইউনূস: না, আগে একটা বিষয় পরিষ্কার করি — আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিবিসি: যার মধ্যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত?

অধ্যাপক ইউনূস: সাময়িকভাবে। নির্বাচনে তারা থাকবে কি না, সেটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

বিবিসি: তাহলে আগামী নির্বাচনের ব্যালটে তাদের থাকার সম্ভাবনা আছে?

অধ্যাপক ইউনূস: আবারও বলছি, এটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়।

বিবিসি: আচ্ছা, যেহেতু আমরা আওয়ামী লীগ নিয়ে কথা বলছি, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আপনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ততো আপনি তাকে ফেরত আনতে চান, তাই না? তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে, তা নিয়ে আপনি তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চান?

অধ্যাপক ইউনূস: বিচার ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, এটা চলমান একটা প্রক্রিয়া। পুরোপুরি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচার হবে। আমরা চাই তিনি বিচারের মুখোমুখি হোন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করব — যেভাবে একজন অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটাই করব। এটা সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া।

বিবিসি: কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনবেন? মানে, আপনারতো মোদির সঙ্গে অনেক দেখা হয়।

অধ্যাপক ইউনূস: আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে। তাকে ধরে আনার কোনো ক্ষমতাতো আমাদের নেই।

বিবিসি: কিন্তু আপনি যেসব অভিযোগ করেছেন, শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, তার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও, যাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতিসহ আরও অনেক অভিযোগ আছে — এসব সত্ত্বেও তিনি তাকে এতদিন থাকতে দেওয়ায় আপনি কি মোদির ওপর বিরক্ত নন?

অধ্যাপক ইউনূস: তার ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য তেমন কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে তার কণ্ঠস্বর, তিনি নিয়মিত বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেন, মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করেন।

বিবিসি: তাহলে আপনি মনে করেন ভারতকে আরও কিছু করা উচিত, যেন তিনি এই ভাষণগুলো না দিতে পারেন?

অধ্যাপক ইউনূস: সেটা আপনি বলছেন।

ইরানে হামলার পর লেবানন থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
ইরানে হামলার পর লেবানন থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।

লেবানন থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। আজ রোববার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর দেশটিতে কর্মরত মার্কিন নাগরিকদের পরিবারের সদস্য এবং জরুরি নয় এমন সরকারি কর্মীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের কাছে ই-মেইল করে এ নির্দেশনা জানানো হয় বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।

এর আগে, গত বছর লেবানন-ইসরায়েল সংঘাতের সময় নিজ দেশের নাগরিকদের পরিবারের সদস্য এবং অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। যদিও পরে সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে মার্কিন বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। যার প্রেক্ষিতে এই অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি এবং অ্যাম্বাসিগুলোতে হামলার আশঙ্কা করছে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তাই নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারি কর্মীদের পরিবারের সদস্য এবং খুব প্রয়োজনীয় নয় এমন নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

তিন ধর্মীয় নেতাকে উত্তরসূরি নির্ধারণ করেছেন খামেনি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
তিন ধর্মীয় নেতাকে উত্তরসূরি নির্ধারণ করেছেন খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তার উত্তরসূরি হিসেবে তিনজন জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতাকে নির্বাচন করেছেন বলে এক প্রতিবেতনে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

 

ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বোচ্চ নেতা জানেন যে ইসরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি একটি অস্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগের দায়িত্বে থাকা ধর্মীয় সংস্থা, অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টসকে প্রস্তাবিত তিনটি নাম থেকে দ্রুত তার উত্তরসূরি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

 

ইরানে একজন নতুন সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সাধারণত কয়েক মাস ধরে চলে। ধর্মগুরুরা তাদের নিজস্ব তালিকা থেকে নাম বেছে নেন।

 

কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু দেশটি এখন যুদ্ধে লিপ্ত, তাই খামেনি চান ‘তার উত্তরাধিকার ঠিক রাখতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দ্রুত এবং সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করতে’।

 

তবে তারা জোর দিয়ে বলেছেন, সর্বোচ্চ নেতার সম্ভাব্য উত্তরসূরি প্রার্থীদের মধ্যে খামেনির ছেলে মোজতাবা নেই।

আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ
আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, তবে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরকালে বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার (২১ জুন) বিবিসি বাংলা সাক্ষাৎকারটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রকাশ করে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, যার মধ্যে নির্বাচনও অন্তর্ভুক্ত। দলটি নির্বাচনে থাকবে কি না, সেটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এটা সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার।

শেখ হাসিনার দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর খুব সুন্দরভাবে এটি ব্যাখ্যা করেছেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থ কোনো নির্দিষ্ট দল নয়, বরং সব মানুষের অংশগ্রহণ। মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে সেটাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন।

তিনি আরও বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে চায় কিনা, আগে তা দেখা উচিত। যদি তারা ভোট দিতে চায়, ভোটার হিসেবে তাদের ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা আছে।

শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে কীভাবে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, বিচার শুরু হয়ে গেছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাই তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের মুখোমুখি হোন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। যেভাবে অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনা হয়, সেভাবেই হবে। এটা সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া। তাকে ধরে আনার কোনো ক্ষমতা তো আমাদের নেই।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের শত শত সমর্থক বা সহানুভূতিশীলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, আপনি কি তাহলে ঠিক তাদের মতোই সমালোচকদের দমন করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা বলা লজ্জাজনক হবে। আপনি যদি অন্তর্বর্তী সরকারকে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি বাংলাদেশকে বোঝেন না, বাংলাদেশের বাস্তবতাকে বোঝেন না। আপনি বোঝেন না আওয়ামী লীগ কী, আর অন্তর্বর্তী সরকার কী।