পর্যটকদের মাধবপুর লেকে ঢুকতে চা শ্রমিকদের বাধা
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক, ১৪৩২
           

পর্যটকদের মাধবপুর লেকে ঢুকতে চা শ্রমিকদের বাধা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ
পর্যটকদের মাধবপুর লেকে ঢুকতে চা শ্রমিকদের বাধা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানের ভেতরে থাকা মাধবপুর লেকে পর্যটকদের ঢুকতে দিচ্ছেন না রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চা বাগান এনটিসির শ্রমিকরা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল থেকে পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনকে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন তারা। চা বাগানে ঢুকতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বকেয়া মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চা শ্রমিকরা। এনটিসির ফাঁড়ি বাগানসহ ১৬টি চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাদের প্রাপ্য মজুরি না পেলে কাজে যোগদান করবেন না। পাশাপাশি মাধবপুর লেকও বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালি কমিটির সভাপতি ধনা বাউরি বলেন, ‘শ্রমিকদের আড়াই মাসের মজুরি বকেয়া আছে। আমাদের শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই। তারা অনেক কষ্ট করে চলছেন। এখন পেটে ক্ষুধা নিয়ে শ্রমিকরা কাজ করবেন কীভাবে? মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তারা কাজে ফিরবেন না। আন্দোনের অংশ হিসেবে শ্রমিকরা মাধবপুর লেকে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে এনটিসির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক বলেন, শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণাঙ্গভাবে পুনর্গঠন না হওয়ায় কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি শিগগির পরিচালনা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ গঠন হবে।

চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫০ অপরাহ্ণ
চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকরা

সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বিচ্ছিন্নকৃত বিদ্যুৎ লাইন পুনঃসংযোগসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন, সিলেট জেলা।

 

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর আম্বরখানা থেকে মিছিলসহকারে শ্রমিকরা সমাবেশস্থলে যান। তারা “রিকশা ফিরিয়ে দাও”, “লাইসেন্স দাও”, “কর্মসংস্থান সৃষ্টি করো” — এসব স্লোগান দিতে দিতে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে পৌঁছান।

 

 

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত অন্যায় ও অমানবিক। এটি প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। বক্তারা জানান, এই বাহন পরিবেশবান্ধব ও নিম্নআয়ের হাজারো মানুষের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক পরিবার অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

 

 

 

এর আগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি তুলে ধরেছিলেন সংগঠনের আহবায়ক মাসরুখ জলিল। তিনি বলেন, ‘ব্যাটারি চালিত রিকশা শুধু পরিবেশবান্ধবই নয়, এটি আন্দোলনের সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে। এমনকি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২৪ জন রিকশাচালক জীবন দিয়েছেন।’

 

 

 

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই বাহনকে অপপ্রচার চালিয়ে অবৈধ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসনের উচিত ছিল বিআরটিএর মাধ্যমে নীতিমালা প্রণয়ন ও লাইসেন্স প্রদান।’

 

 

 

সংগঠনের ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, আটক যানবাহন ফেরত দেওয়া, চার্জিং গ্যারেজে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন, লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা, শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করা এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়া।

 

 

 

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে বহু রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সিলেট বিভাগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে তারেক রহমানের বৈঠক, ‘সিগন্যাল পাননি কেউ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ
সিলেট বিভাগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে তারেক রহমানের বৈঠক, ‘সিগন্যাল পাননি কেউ’

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার বিকেলে সিলটে বিভাগের নেতারা বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে জড়ো হন। লন্ডন থেকে ভিডিও কলে তাদের সাথে যুক্ত হন তারেক রহমান। বৈঠকে তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিলেও কাউকে গ্রিন সিগন্যাল দেননি বলে জানা গেছে।

এরআগে গত ১৯ অক্টোবর সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই বৈঠকেও একক প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়নি।

তবে মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠকে ১২৯ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী অংশ নিলেও সোমবারের বৈঠকে আর কম সংখ্যক নেতা অংশ নেন বলে জানা গেছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের বাইরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ভীড় করলেও তারেক রহমানের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সীমিত সংখ্যক নেতা। শুধুমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশীরাই এতে অংশ নেন। সেখানে উপস্থিথ নেতাদের কেউ বক্তব্য দেননি, শুধু তারেক রহমান বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া সিলেট জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন প্রতাশী আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, বৈঠকে তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেছেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলেল পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি এলাকায় কোন আনন্দ মিছিল করতে পারবেন না। যারা মনোনয়ন পাবেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। আর যারা মনোয়নবঞ্চিত হবেন তাদেরকে দলে মূল্যায়ন করা হবে।

এই বৈঠকে কাউকেই গ্রিণ সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শীঘ্রই বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে, সবাই আনন্দঘন পরিবেশে ফরম সংগ্রহ করবেন। এরপর তারেক রহমান চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবেন কে পাবেন ধানের শীষ প্রতীক।

জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো ভার্চুয়ালি বৈঠক করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার বিকাল চারটায় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠক শুরু হয়। পরে বিকেল ৬টায় খুলনা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বৈঠকে অংশ নেন। রাত ৮টায় ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। পাশাপাশি ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান উপস্থিত রয়েছেন।

বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ের একটি প্রভাবিত অঞ্চল উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ৫ দিন সারাদেশে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।