২০ বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে কালজয়ী সিনেমা বীর-জারা
       
খুঁজুন                
                               
শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ়, ১৪৩২
           

২০ বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে কালজয়ী সিনেমা বীর-জারা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ
২০ বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে কালজয়ী সিনেমা বীর-জারা

বলিউডের জনপ্রিয় কালজয়ী সিনেমাগুলোর তালিকা করলে উপরের দিকেই থাকবে ‌‘বীর-জারা’ সিনেমার নাম। বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও মিষ্টি অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা জুটির প্রেমের গল্পের সিনেমাটি আজও দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বীরের সঙ্গে জারার বিরহ আজও কাঁদায়, ২২ বছর পর দুজনের এক হওয়ার আনন্দ আজও অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাকে তার ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলিত করে।

সিনেমাটি নির্মাণ করে যশ চোপড়াও নিজেকে রোমান্টিক ছবির পরিচালক হিসেবে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।

‘বীর-জারা’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০৪ সালের ১২ নভেম্বর। আজ ছবিটি মুক্তির ২০ বছর পূর্ণ হলো। এদিনে জানা গেল, আবারও মুক্তি দেয়া হয়েছে সিনেমাটি। গেল ৭ নভেম্বর ৬০০টি স্ক্রীনে আন্তর্জাতিকভাবে পুনরায় মুক্তি পেয়েছে ‘বীর-জারা’। প্রথমবারের মতো দেখা যাচ্ছে সৌদি আরব, ওমান এবং কাতারে।

পুনরায় মুক্তি পাওয়া প্রিন্টগুলোতে থাকবে বাদ দেওয়া আইকনিক গান ‘এহ হাম আ গয়ে হ্যায় কাহাঁ’। এটি গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর ও উদিত নারায়ণ। এই গানটি সিনেমায় প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এই ঘোষণা দিয়ে সিনেমার পোস্টারের একটি বিশেষ পেইন্টেড ভার্সন শেয়ার করা হয়েছে যশরাজ ফিল্মসের পক্ষ থেকে।

মজার ব্যাপার হল, সিনেমাটি প্রথমে ‘এহ কাহাঁ আ গয়ে হাম’ নামে মুক্তি পাবে বলে ঠিক করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ‘সিলসিলা’ ছবির একটি গান থেকে অনুপ্রাণিত নামটি রেখেছিলেন যশ চোপড়া। তবে পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ‘বীর-জারা’ নামেই সিনেমাটি দর্শকের কাছে নিয়ে আসবেন।

প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্ম চাইছে তাদের আইকনিক প্রেমকাহিনীটি বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সাথে উদযাপন করতে। মূল উদ্দেশ্য হলো সিনেমা, এর সঙ্গীত এবং এর নস্টালজিয়া দর্শকদের কাছে ফিরিয়ে আনা। যারা বছরের পর বছর ধরে এই সিনেমাকে ভালোবেসেছেন।

বিশেষ কিছু আয়োজন উদযাপন হবে সাতটি শহরে। যার মধ্যে রয়েছে টরন্টো, নিউ ইয়র্ক সিটি, মেলবোর্ন, ইউএইর, ইস্তাম্বুল এবং সিঙ্গাপুর। আগামী দিনগুলোতে ‘বীর-জারা’ পুনরায় মুক্তি পাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউএই, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিশ্বের অন্যান্য বাজারে।

সিনেমার ২০ বছর পূর্তি উদযাপনের জন্য একটি নতুন ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল চালু করা হয়েছে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্যানদের ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। তখন বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিল ‘বীর-জারা’। স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহরুখ খান, প্রীতি জিনতা এবং রানি মুখার্জি অভিনীত ‘বীর-জারা’ পুনরায় রিলিজের পর বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপি আয় করেছে। আর ২০০৪ সালে প্রথম মুক্তির সময় এ সিনেমা বিশ্বব্যাপী ৯৭ কোটি টাকা আয় করেছিল।

আশা করা যাচ্ছে, নতুন আয়োজনে বড় পরিসরে মুক্তির যে প্রস্তুতি নিয়েছে যশরাজ ফিল্মস তাতেও বেশ সাড়া ফেলবে বীর ও জারার প্রেমকাহিনি।

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি

সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। নবগঠিত কমিটিতে আছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির তিন নেতারা।

 

বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদ্য অনুমোদিত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও নুরুল হুদা জুনেদ। তারা জানান, পদাধিকারবলে নবগঠিত এ কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।

 

 

 

আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে ১১ সদস্যের। এতে পদাধিকারবলে সদস্যসচিব রাখা হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিলেটের উপপরিচালককে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন নয়জন। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সদস্য হিসেবে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল হুদা জুনেদ।

 

 

 

কমিটিতে এনামুল ও শাহজাহান ‘ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ক্রীড়া অনুরাগী ও সংগঠক’ হিসেবে স্থান পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে নুরুল ‘ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক’ হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

 

 

 

 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়র, সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রাহাত শামস, ক্রীড়া অনুরাগী ও সংগঠক মো. মোকাম্মেল হক এবং সাবেক ফুটবলার আবিবুল বারি আয়হান। এ ছাড়া ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নাইম শেহজাদ ও ক্রীড়া সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের অন্তর্ভুক্ত হন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. আমিনুল ইসলামের সই করা অনুমোদনপত্রে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ধারা ২(১৫)-এ উল্লেখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে কমিটি হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ২ (৪) ও ৮-এ বর্ণিত পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক এ কমিটি অনুমোদিত হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ সিদ্ধান্তে অনিশ্চিত ট্রাম্প, চাপে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ সিদ্ধান্তে অনিশ্চিত ট্রাম্প, চাপে ইসরায়েল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের বিষয়ে যুদ্ধ জড়িয়ে পড়া নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি। তার ‘কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে’—এমন ইঙ্গিতেই গভীর হতাশায় পড়েছে ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলি বিশ্লেষক গিডিওন লেভি।

লেভি বলেন, ট্রাম্পের কাছে ‘দুই সপ্তাহ’ মানে হচ্ছে অনিশ্চয়তার অন্তহীন সময়। যদি এটি কেবল কৌশলগত কোনো প্রতারণা না হয়ে থাকে, তবে স্পষ্ট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে।

আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেভি আরও বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস বা ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতায় আঘাত হানলেও নিরাপত্তার স্থায়ী সমাধান মিলবে না। কারণ, ইরান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় নিজের সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলবে।

তার মন্তব্য, “ইসরায়েলের সামনে গাজা ও অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত জটিলতা রয়েছে, যা সহজে দূর হওয়ার নয়।”

সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক: ছয় লেন আর চার লেনে উন্নীতের কাজে ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক: ছয় লেন আর চার লেনে উন্নীতের কাজে ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

ঈদের ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে শনিবার (১৪ জুন) রাতে বাসে করে ঢাকায় রওয়ানা দেন আব্দুল কাইয়ুম। সিলেটের জকিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কাইয়ুমস ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।২৩৫ কিলোমিটার দুরত্বের সিলেট থেকে বাসে করে ঢাকা যেতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘন্টা। সে হিসেবে ভোরের আগেই সাইফুল ইসলামের ঢাকায় পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তিন গিয়ে পৌঁছান পরদিন সকাল ১১টায়। ঢাকা যেতে তার সময় লাগে প্রায় ১১ ঘন্টা।

বিরক্তকর এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে কাইয়ুম বলেন, এই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তাই সড়কের অনেকটা জুড়ে মাটি, বালু, পাথরসহ বিভিন্ন সামগ্রী পড়ে আছে। বৃষ্টির কারণে মাটি ছড়িয়ে পুরো সড়ক কাদাময় হয়ে পড়ে। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে যানবহানের গতি কমিয়ে আনতে হয়।

তিনি বলেন, সিলেট থেকে মাধবপুর পর্যন্ত তবু মোটামুটি গতিতে গাড়ি চলেছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢুকার পর থেকেই দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয়। এই যানজট একেবারে ঢাকা পর্যন্ত ছিলো। ফলে ৫ মিনিট গাড়ি চলে তো আধাঘন্টা থেমে থাকে- এভাবেই আসতে হয়েছে।

এই অভিজ্ঞতা সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট-ঢাকা সড়কে চলাচলকারী প্রায় সব যাত্রীদেরই। ভাঙাচোরা এই সড়কে সবসময়ই লেগে থাকে যানজট। সবচেয়ে বেশি যানজট হয় ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড থেকে নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত অংশে। এতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দিগুণ সময় লাগে গন্তব্যে পৌছতে। ঈদের মতো উপলক্ষ্যে সড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বাড়লে তো পরিস্থিতি আরও নাজুক আকার ধারণ করে। ৫/৬ ঘন্টার পথ পেরোতে ১৬/১৭ ঘন্টাও লেগে যায়। এতে করে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সড়কে দুটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীকরণের কাজ চলছে। প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। অপরদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এই দুই প্রকল্পের কাজই চলছে একেবারে ধীরগতিতে। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেনের কাজ মাঝখানে কিছুদিন বন্ধু ছিলো। এদিকে, বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এই সড়কে এখন জরুরী সংস্কার কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে ভাঙাচোরা সড়ক দিয়েই যান চলাচল করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অংশের চলমান কাজের কারণে দীঢ়র্ঘদিন ধরে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। ফলে এই অংশে সবসময়ই লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট।