কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে অনেক বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়ে গেছে
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক, ১৪৩২
           

কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে অনেক বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়ে গেছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৪:০৪ অপরাহ্ণ
কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে অনেক বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়ে গেছে

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ কয়েকটি স্থানে ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। রোববার রাত আড়াইটার দিকে সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রাম, ভোর রাতের দিকে বাখরশাল গ্রাম এবং সোমবার সকাল ৮টার দিকে খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল গ্রামের বাঁধ (স্থানীয়ভাবে ‘ডাইক’ নামে পরিচিত) ভেঙে গেছে।

 

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার দুই মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই ডাইকের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করতেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডাইকের উপর বস্তা ফেলতেছে। কয়টি ডাইক ভেঙেছে সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ড বলতে পারবে।

 

কতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সঠিক তথ্য এখনই বলা যাবে না। প্রশাসন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।”

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী ‘ডাইকের’ তিনটি স্থানের আশপাশের প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া পৌর শহরের নিকটবর্তী কেছরী গ্রামের ‘ডাইকের’ উপর দিয়ে শহরে ঢুকছে কুশিয়ারা নদীর পানি। মাইজকান্দী গ্রামের ‘ডাইকের’ অংশ ধসে পড়েছে নদীতে।

 

জকিগঞ্জ ইউনিয়নের ছবড়িয়া, সেনাপতিরচক, সুলতানপুর ইউনিয়নের ইছাপুর, খলাছড়া ইউনিয়নের একাধিক স্থান, বারঠাকুরী ইউনিয়নের পিল্লাকান্দী, আমলশীদসহ অর্ধশতাধিক জায়গায় ‘ডাইকের’ উপর দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। স্থানীয়রা বালু ভর্তি বস্তা ফেলে ‘ডাইক’ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

 

নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় জকিগঞ্জ বার বার প্লাবিত হচ্ছে। রোববার থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন না। বার বার বস্তার চাহিদা জানানো হলেও বস্তা পাওয়া যাচ্ছে না।

 

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তবে অন্য নদ-নদীর পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

 

জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার দুই মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে নদী তীরবর্তী সাত থেকে আট কিলোমিটার এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘ডাইকের’ ওপর বস্তা ফেলে পানির প্রবেশ বন্ধে চেষ্টা করছে বলে জানান প্রকৌশলী।

 

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা ছিল চলতি বছরের সর্ব্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। তবে আরও বৃষ্টি হতে পারে।

বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ের একটি প্রভাবিত অঞ্চল উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ৫ দিন সারাদেশে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।

আগামী নভেম্বরের মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার কার্যক্রম শেষ হবে বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া সংবাদ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এই বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোটার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে গতকাল রোববার ডিআরইউতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ‘কমিশন-প্রস্তাবিত আশু করণীয় ২৩টি সুপারিশ পর্যালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালা ও অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিছু বিষয় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সুন্দরীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না: ফয়জুল করিম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সুন্দরীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না: ফয়জুল করিম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়, ঘুমাতে পারবেন না, ব্যবসা করতে পারবেন না, সুন্দরী নারীরাও রাস্তায় বের হতে পারবে না। সচেতন হোন জনগণ, আর কত? চাঁদাবাজ, জুলুমকারী ও অত্যাচারীদের পরিবর্তন চান না?রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার’, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন’ এবং ‘সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন’-এর দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করে ফয়জুল করিম বলেন, যে চাঁদাবাজির জন্য মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছিল, সেই চাঁদাবাজি এখনো আছে, বরং বেড়েছে। ধর্ষণও কমেনি, আগের চেয়ে বেড়েছে। যে দখলদারির অভিযোগে আওয়ামী লীগকে সরানো হয়েছিল, সেই দখলদারি এখনো চলছে।বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে বিএনপি বিএনপির মধ্যে প্রকাশ্যে যত খুন হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে এতটা হয়নি। যারা এসব করছে, তারা যদি ক্ষমতায় আসে, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি আরও বাড়বে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, আপনারা যদি পিআর পদ্ধতি না মানেন, গণহত্যার বিচার না করেন, তবে জনগণের আস্থা পাবেন না। ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, কিন্তু সংখ্যালঘুরা এখনো বঞ্চিত। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যারা এ দেশ শাসন করেছে, কেউই বৈষম্য ঘোচাতে পারেনি।ইসলামী আন্দোলন উপজেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি আলহাজ মাওলানা নাছির উদ্দিন রোকন ডাকুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ঝালকাঠি-২ আসনের প্রার্থী ড. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য আলহাজ হারুন-অর-রশিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম আল-আমিন চৌধুরী ও ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুব আলম প্রমুখ।