ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে তালা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী


এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে তালা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে তারা হাসপাতালের আউটডোরে তালা দেন।
এসময় আন্দোলনকারত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে মিড লেভেলের চিকিৎসকদের আহ্বান জানান তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষনের জন্য। পূর্বঘোষিত ৫ দফা দাবিতে সকাল থেকেই শুধুমাত্র জরুরী বিভাগ ছাড়া সকল ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এতে করে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। চিকিৎসকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা জানিয়ে দুপুরে বিক্ষোভে অংশ নেন হাসপাতালের মিড লেভেলের চিকিৎসকরা।
রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলছেন-তাদের দাবি দাওয়া জন্য আমাদের এভাবে ভোগান্তিতে ফেলা ঠিক হচ্ছে না। দুরদুরান্ত চিকিৎসা নিতে এসে চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন কর্মসূচিতে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়। চিকিৎসকদের আন্দোলন যৌক্তিক হলে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডাক্তার পদবি শুধুমাত্র এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য সীমিত রাখতে হবে। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী এমবিবিএস অথবা বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক পরিচয় দিতে পারবে না। দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং বিসিএসের চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত বাড়ানো। মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। বিএমডিসি অ্যাক্ট-২০১০-কে চ্যালেঞ্জ করে যে রিট করা হয়েছে, যার রায় আগামী ১২ মার্চ হওয়ার কথা তা যাতে বিলম্ব না করা হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আদনান মাহমুদ তানিম বলেন, জরুরী বিভাগ, আইসিইউ যেগুলোতে রোগীদের সব সময় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয় তাদের চিকিৎসা কিন্তু আমরা বন্ধ করিনি। আমরা চিকিৎসক, আমাদের সেই মানবতা আছে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শুধু হাসপাতালের বর্হিবিভাগ বন্ধ করেছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বৈষম্য বিরোধী মিডলেভেল ডর্ক্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক ডা.মুহাম্মদ জামিল আহমেদ বলেন, এই দাবির সাথে আমাদের সমর্থন আছে। আশা করবো সরকার এই বিষয়টির সুন্দর সমাধান দেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত লিখুন