ফের ব্যাটারদের ব্যর্থতা প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক, ১৪৩২
           

ফের ব্যাটারদের ব্যর্থতা প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ
ফের ব্যাটারদের ব্যর্থতা প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের
রেজাউল    করিম       সুবেদ :

নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকারের জুটিটা যা একটু আশা জুগিয়েছিল। এছাড়া ব্যাটিংয়ের পুরো সময়টাতে আফগান বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাদের নিদারুণ ব্যর্থতায় আরও একটি ম্যাচ হারতে হলো বাংলাদেশকে।

আরব আমিরাতের শারজায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের কাছে ৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের লজ্জায় ডুবতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। ২ উইকেটে ১২০ রান থেকে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৩ রানে। অর্থ্যাৎ, শেষ ২৩ রানে ৮টি উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। আর শেষ ১১ রানে হারিয়েছে ৭ উইকেট।

 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান সংগ্রহ করেছিল ২৩৫ রান। ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৩ রানে। মূলত আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফারের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হতে হয়েছে টাইগার ব্যাটারদের। ২৬ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেটে নিয়েছে ১৮ বছর বয়সী এই তরুণ।

ক্যারিয়ারে মাত্র ষষ্ঠ ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলেন গজনফার। আগের ৫ ম্যাচে উইকেট শিকারের সংখ্যা মাত্র ৪টি। আর আজ একাই তিনি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য। তানজিদ হাসান তামিমকে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ফিরিয়ে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার এবং লেট অর্ডারের উইকেটগুলো তুলে নেন তিনি।

গজনফার ছাড়াও বাংলাদেশ শিবিরে আতঙ্ক ছড়ান রশিদ খান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তাওহিদ হৃদয় যেভাবে রশিদ খানের বলে বোল্ড হলেন, তাতে মনে হলো, জীবনে এই প্রথম লেগ স্পিনের মোকাবিলা করতে নেমেছিলেন তারা। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বোকার মতো বোল্ড হলেন তিনি। তার এই আউট দেখে বোঝা হয়ে গেছে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের যা দেওয়ার দলকে দিয়ে ফেলেছেন। এর আর দেওয়ার মতো কিছু নেই।

আফগান ইনিংসে মোহাম্মদ নবি আর হাশমতউল্লাহ শহিদি যেভাবে একশ’র ওপর রানের জুটি গড়েছেন, তেমন একটি জুটি প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু সৌম্য আর শান্তর ৫৩ রানের এবং শান্ত আর মিরাজের ৫৫ রানের দুটি জুটিই যা উল্লেখযোগ্য পুরো ম্যাচে। পরের ব্যাটাররা তো শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে সামিল ছিলেন।

২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানের মাথায় তানজিদ তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গজনফারের ভেতরে ঢোকা বলটিকে ক্রসব্যাটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হলেন তিনি। ৫ বলে তামিম করেন মাত্র ৩ রান। এরপর বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলছিলেন দীর্ঘ সময় পর দলে ফিরে আসা সৌম্য সরকার। হাঁকান ৬টি বাউন্ডারিও। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ আউট হয়ে গেলেন তিনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে পুল খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়েছেন সৌম্য।

৪৫ বলে ৬ চারের সাহায্যে সৌম্য করেন ৩৩ রান। তিনি ফেরার পর চার নম্বরে নামানো হয়েছে বেশিরভাগ সময় লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা মেহেদী হাসান মিরাজকে। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ব্যাট করছিলেন মিরাজ। ৫৫ রানের জুটি সেটাই প্রমাণ করে। ২ উইকেটে ৬৫ থেকে ১২০ রান পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন তারা দুজন।

এমন সময়ই মাথায় ভূত চেপে বসে শান্তর। মোহাম্মদ নবির পাতা ফাঁদে পা দেন তিনি। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে স্লিপে একজন ফিল্ডারকে নিয়ে এসে শান্তকে প্যাডল সুইপ খেলতে বল দেন নবি। তার এই বলে বিভ্রান্ত হন শান্ত। বল লাগে ব্যাটরে ওপরের কানায়। উঠে যায় ওপরে। হাশমতউল্লাহ শহিদি তিনবারের চেষ্টায় বল তালুবন্দি করেন। ৬৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে আউট হয়ে গেলেন শান্ত। দলীয় রান এ সময় ১২০।

মেহেদী মিরাজ আর তাওহিদ হৃদয় মিলে গড়া জুটিটা একটু বড় হবে- এই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু মিরাজও কেন যেন বেশ তাড়াহুড়ো করলেন। গজনফারের ক্যারম বলটিকে প্যাডল সুইপ করলেন। আর অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৫১ বলে খেলা ২৮ রানের ইনিংসটির যবনিকাপাত ঘটলো।

ব্যাটহাতে নামলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫ বল খেলে ২ রান করে রশিদ খানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে গেলেন। ১ রান করলেন মুশফিকুর রহিম। গজনফারকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে ব্যাটেই বল লাগাতে পারেননি। ফলাফল সহজ স্ট্যাম্পিং। ইকরাম আলি খিল সহজেই স্ট্যাম্প ভেঙে দিলেন।

রিশাদ হোসেন বোকার মতো এলবিডব্লিউ হলেন গজনফারের বলে। টানা দ্বিতীয় বলে বোল্ড হলেন তাসকিন আহমেদ। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হলেও পরের ওভারের প্রথম বলে উইকেট পাননি গজনফার। এরই ফাঁকে ১১ রান করে রশিদ খানের গুগলিতে বোল্ড হন তাওহিদ হৃদয়। শেষ ব্যাটার হিসেবে ১ রান করে বিদায় নেন শরিফুল ইসলাম। ৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের ৭১ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হাসমতউল্লাহ শহিদি আর মোহাম্মদ নবির দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজিই দাঁড় করিয়ে ফেলে আফগানরা। শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তান ৪৯.৪ ওভারে দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ২৩৫ রানে।

শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। তবে বাংলাদেশের পেসারদের তোপে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা।

শুরুটা করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার পেসার। দুর্দান্ত এক আউট সুইঙ্গারে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে (৭ বলে ৫) উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান তিনি।

এরপর কিছুটা সময় উইকেট ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল আফগানিস্তান। অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন রহমত শাহ (১৩ বলে ২)।

মোস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে তুলে নেন আরও এক উইকেট। এবার অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ অতলকে (৩০ বলে ২১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি এই পেসার।

দশম ওভারেই তিন বল পরে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (৩ বলে ০) উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বন্দি করেন মোস্তাফিজ। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান। এরপর গুলবাদিন নাইব ২২ করে তাসকিনের শিকার করে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা।

সেখান থেকে হাসমতউল্লাহ শহিদি আর মোহাম্মদ নবির প্রতিরোধ। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়ে তোলেন ১২২ বলে ১০৪ রানের লড়াকু জুটি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে শহিদিকে বোল্ড করে এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মোস্তাফিজ।

এরপর রশিদ খানকে (১০) সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা নবিকে আটকান তাসকিন। তার শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন নবি। ৭৯ বলে ৮৪ রানের মারকুটে ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা হাঁকান আফগান অলরাউন্ডার।

পরের বলেই তাসকিন বোল্ড করেন গজানফরকে। তার এক বল পরে পাঁচ উইকেট পূর্ণ হতে পারতো তাসকিনের। কিন্তু ফজলহক ফারুকির বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যায় আফগানিস্তান।

শেষদিকে নানগেয়ালিয়া খারোতে ২৮ বলে হার না মানা ২৭ রান করে আফগানিস্তানকে ২৩৫ পর্যন্ত নিয়ে যান। তাসকিন আহমেদ ৫৩ এবং মোস্তাফিজুর রহমান ৫৮ রান দিয়ে নেন ৪টি করে উইকেট। একটি উইকেট শরিফুল ইসলামের।

সিলেট বিভাগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে তারেক রহমানের বৈঠক, ‘সিগন্যাল পাননি কেউ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ
সিলেট বিভাগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে তারেক রহমানের বৈঠক, ‘সিগন্যাল পাননি কেউ’

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার বিকেলে সিলটে বিভাগের নেতারা বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে জড়ো হন। লন্ডন থেকে ভিডিও কলে তাদের সাথে যুক্ত হন তারেক রহমান। বৈঠকে তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিলেও কাউকে গ্রিন সিগন্যাল দেননি বলে জানা গেছে।

এরআগে গত ১৯ অক্টোবর সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই বৈঠকেও একক প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়নি।

তবে মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠকে ১২৯ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী অংশ নিলেও সোমবারের বৈঠকে আর কম সংখ্যক নেতা অংশ নেন বলে জানা গেছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের বাইরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ভীড় করলেও তারেক রহমানের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সীমিত সংখ্যক নেতা। শুধুমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশীরাই এতে অংশ নেন। সেখানে উপস্থিথ নেতাদের কেউ বক্তব্য দেননি, শুধু তারেক রহমান বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া সিলেট জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন প্রতাশী আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, বৈঠকে তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেছেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলেল পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি এলাকায় কোন আনন্দ মিছিল করতে পারবেন না। যারা মনোনয়ন পাবেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। আর যারা মনোয়নবঞ্চিত হবেন তাদেরকে দলে মূল্যায়ন করা হবে।

এই বৈঠকে কাউকেই গ্রিণ সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শীঘ্রই বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে, সবাই আনন্দঘন পরিবেশে ফরম সংগ্রহ করবেন। এরপর তারেক রহমান চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবেন কে পাবেন ধানের শীষ প্রতীক।

জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো ভার্চুয়ালি বৈঠক করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার বিকাল চারটায় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠক শুরু হয়। পরে বিকেল ৬টায় খুলনা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বৈঠকে অংশ নেন। রাত ৮টায় ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। পাশাপাশি ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান উপস্থিত রয়েছেন।

বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ের একটি প্রভাবিত অঞ্চল উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ৫ দিন সারাদেশে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।

আগামী নভেম্বরের মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার কার্যক্রম শেষ হবে বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া সংবাদ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এই বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোটার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে গতকাল রোববার ডিআরইউতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ‘কমিশন-প্রস্তাবিত আশু করণীয় ২৩টি সুপারিশ পর্যালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালা ও অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিছু বিষয় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’