শাপলা প্রতীক না দিলে নির্বাচন কমিশন পালানোর জায়গা পাবে না: সারোয়ার তুষার
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক, ১৪৩২
           

শাপলা প্রতীক না দিলে নির্বাচন কমিশন পালানোর জায়গা পাবে না: সারোয়ার তুষার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ১:১৬ অপরাহ্ণ
শাপলা প্রতীক না দিলে নির্বাচন কমিশন পালানোর জায়গা পাবে না: সারোয়ার তুষার

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে শাপলা প্রতীক না দিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাংলাদেশ থেকে পালানোর জায়গা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।

রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আয়োজিত অবস্থান ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যে প্রতীক চাইছি, সেই প্রতীক তারা (ইলেকশন কমিশন) আমাদের দেবে না। কিন্তু তারা নাকি আমাদের ওপর একটি প্রতীক চাপিয়ে দেবে। এই ধরনের নজিরবিহীন এবং জঘন্য কথা যেই কমিশন বলতে পারে, আমরা মনে করি, এই কমিশনের পক্ষে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়।

তুষার বলেন, এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, যদি বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন চান, তাহলে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে এই ধরনের অন্যায় আচরণ বন্ধ করুন। আপনারা যে আচরণ করছেন, তা থেকে মনে হচ্ছে, আগামীতে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা এই নির্বাচন কমিশন। তারা চায় না দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচনে আসুক। কারণ বাংলাদেশের মানুষ এই জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছে। এই জন্য নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং অদৃশ্য শক্তির পরামর্শ অনুযায়ী, তাদের দ্বারা আশ্বস্ত হয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এই বিচার আপনাদের কাছে তুলে দিলাম।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের যে দাবি, তা ন্যায্য; এটিতে এই সরকারের অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ, এই সরকার আমাদের সবার সমর্থনে গঠিত হয়েছে, এবং এই সরকারে আমরা যাদেরকে বসিয়েছি, তাদের আপনার দাবির প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা দেখতে পেয়েছি, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিবসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তারা আমাদের আপামর শিক্ষক সমাজের প্রতি যথেষ্ট যত্ন এবং যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন না। তাদের উচিত ছিল, শিক্ষকরা আন্দোলনে আসার আগে বাংলাদেশে শিক্ষক সমাজের কী ধরনের সমস্যা আছে, তা নিয়ে শিক্ষক সমাজের নেতেদের ডেকে বলা যে, আপনাদের জন্য আমরা কী করতে পারি। কিন্তু আজ আপনাদের এখানে আসতে হচ্ছে, অনশনে বসতে হচ্ছে… এবং আপনারা যেটা ন্যায্য দাবি করেছেন, সেই দাবি নিয়ে দিনরাত এখানে বসে থেকে সরকারের কাছে বলতে হচ্ছে যে, আমাদের দাবি পূরণ করে দিন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশে থাকতে চান, যদি সম্মানের সঙ্গে থাকতে চান, তাহলে নির্বাচনের আগে, ক্ষমতা ছাড়ার আগে, তফসিল ঘোষণার আগে আমাদের শিক্ষকদের যত ন্যায্য দাবি আছে—যেগুলো আপনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—তা মেনে তারপরই ক্ষমতা ছাড়তে হবে। যদি তা না করেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজো করেন, তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ আপনাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে এবং বলবে, ‘আমরা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের জন্য কী করেছেন? আমাদের শিক্ষকদের জন্য কী করেছেন? আমাদের প্রাইমারি শিক্ষকদের জন্য কী করেছেন? আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য কী করেছেন?

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, একটি বিচারও আপনাদের কাছে দিতে চাই। আপনারা দেখেছেন, আপনারা যতো ন্যায্য দাবি তুলছেন, তা মানা হচ্ছে না। আমাদের একটি অত্যন্ত ন্যায্য দাবি আছে। এই নির্বাচন কমিশন এবং এই সরকার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর অধীনে গঠিত এই কমিশন, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে ধর্ণা দিয়ে বেড়ায়—তারা আমাদের এই অত্যন্ত ন্যায্য দাবি মানছে না। আমরা বলেছিলাম, আমাদের শাপলা প্রতীক দিতে হবে। কেন আমরা এই প্রতীক চেয়েছি? এই প্রতীক বাংলাদেশের মানুষের অন্তরের মধ্যে রয়েছে। শাপলা ফুল বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার প্রতীক। প্রতিনিয়ত নির্বাচন কমিশন বলছে, এই প্রতীক আমাদের দেওয়া যাবে না। কেন দেওয়া যাবে? এই প্রশ্নে তারা আমাদের কোনো যৌক্তিক বা আইনি ব্যাখ্যা দিতে পারছে না।

সিলেট বিভাগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে তারেক রহমানের বৈঠক, ‘সিগন্যাল পাননি কেউ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ
সিলেট বিভাগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে তারেক রহমানের বৈঠক, ‘সিগন্যাল পাননি কেউ’

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার বিকেলে সিলটে বিভাগের নেতারা বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে জড়ো হন। লন্ডন থেকে ভিডিও কলে তাদের সাথে যুক্ত হন তারেক রহমান। বৈঠকে তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিলেও কাউকে গ্রিন সিগন্যাল দেননি বলে জানা গেছে।

এরআগে গত ১৯ অক্টোবর সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই বৈঠকেও একক প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়নি।

তবে মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠকে ১২৯ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী অংশ নিলেও সোমবারের বৈঠকে আর কম সংখ্যক নেতা অংশ নেন বলে জানা গেছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের বাইরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ভীড় করলেও তারেক রহমানের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সীমিত সংখ্যক নেতা। শুধুমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশীরাই এতে অংশ নেন। সেখানে উপস্থিথ নেতাদের কেউ বক্তব্য দেননি, শুধু তারেক রহমান বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া সিলেট জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন প্রতাশী আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, বৈঠকে তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেছেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলেল পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি এলাকায় কোন আনন্দ মিছিল করতে পারবেন না। যারা মনোনয়ন পাবেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। আর যারা মনোয়নবঞ্চিত হবেন তাদেরকে দলে মূল্যায়ন করা হবে।

এই বৈঠকে কাউকেই গ্রিণ সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শীঘ্রই বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে, সবাই আনন্দঘন পরিবেশে ফরম সংগ্রহ করবেন। এরপর তারেক রহমান চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবেন কে পাবেন ধানের শীষ প্রতীক।

জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো ভার্চুয়ালি বৈঠক করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার বিকাল চারটায় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠক শুরু হয়। পরে বিকেল ৬টায় খুলনা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বৈঠকে অংশ নেন। রাত ৮টায় ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। পাশাপাশি ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান উপস্থিত রয়েছেন।

বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ের একটি প্রভাবিত অঞ্চল উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ৫ দিন সারাদেশে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।

আগামী নভেম্বরের মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার কার্যক্রম শেষ হবে বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া সংবাদ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এই বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোটার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে গতকাল রোববার ডিআরইউতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ‘কমিশন-প্রস্তাবিত আশু করণীয় ২৩টি সুপারিশ পর্যালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালা ও অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিছু বিষয় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’