বাস চালকদের দিতে হয় ‘জিপি চাঁদা’, সিন্ডিকেটের কারণে ফিরছে না সড়কে শৃঙ্খলা
তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
       
খুঁজুন                
                               
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক, ১৪৩২
           

বাস চালকদের দিতে হয় ‘জিপি চাঁদা’, সিন্ডিকেটের কারণে ফিরছে না সড়কে শৃঙ্খলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
বাস চালকদের দিতে হয় ‘জিপি চাঁদা’, সিন্ডিকেটের কারণে ফিরছে না সড়কে শৃঙ্খলা

রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্ক মোড়ে ভরদুপুরে জিলাপির প্যাচের মতো বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে পুলিশ ও লাইনম্যান থাকলেও গাড়ি চলছে না। কচ্ছপ গতিতে বাস চালানো কিংবা অন্যের পথ রোধ করে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বাসগুলোকে।

চালক ও হেলপারদের দাবি, অন্যের পথ রোধ করে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে চান না তারা। কিন্তু অতিরিক্ত গাড়ি, দিনচুক্তির ভাড়া ও গেট পাস (জিপি) নামক চাঁদার অর্থ তুলতে রাস্তায় এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।

একজন চালক জানান, আমরা অন্য গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করতে চাই না। সড়কে অনেক গাড়ি বেড়ে গেছে। আসা-যাওয়া মিলে ১২ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হয়। এরপর ড্রাইভার ও স্টাফদের বেতন রয়েছে।

এদিকে, ঢাকায় মোট নিবন্ধিত রুট সংখ্যা ১২৮টি। এর একটিতে চলে ভিক্টর পরিবহন। তাদের ১২৯টি গাড়ির নিবন্ধন থাকলেও সড়কে প্রায় আড়াইশোটি গাড়ি চলে।

অন্যদিকে, প্রতিদিন ভিক্টোরিয়া পার্ক মোড় কিংবা পল্টনে ৫৫০ টাকা জিপি নামক চাঁদা হিসেবে জমা দিতে হয়। এ অর্থ না দিয়ে গাড়ি চালাতে পারেন না চালকরা। বহু বছর ধরেই এই রীতি চলছে। এখন কেবল সাইনবোর্ড বদলেছে। দুপুরের পর থেকেই বাস থেকে তোলা চাঁদার হিসাব শুরু হয়। পরে তা মালিক সমিতির কাছে চলে যায়।

সাধারণ অঙ্কে প্রতিদিন এক রুটেই এক লাখ ৩৭ হাজার টাকা চাঁদা আদায় হয়। যা বছরে দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ কোটি। রাজধানীতে চলা মোট ৭ হাজার গাড়ির হিসেব করলে মোট অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় দেড়শো কোটি টাকা।

বাস চালকরা জানান, গেট পাস (জিপি) দিলে সড়কে সুবিধা পাওয়া যায়। সার্জেন্ট বাস আটকালে তারা সহযোগিতা করে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঘটলেও তারা মীমাংসা করে দেয়। আরেকজন চালক বলেন, সার্জেন্টরা টাকা নেয়ার কারণে সুবিধা পাওয়া যায়। অন্যথায় বড় অঙ্কের মামলা দেয়া হয়।

এই টাকার গন্তব্য অনেক দূর পর্যন্ত বলে জানান কেউ কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহণ সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, সার্জেন্টদের ৫০০ টাকা, ট্রাফিক ইন্সট্রাক্টরদের এক হাজার ও এডিসিদের তিন হাজার ও ডিসিদের ৪০০০ টাকা করে দিতে হয়।

অপরদিকে, চাঁদার টাকা তোলার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সৌহার্দতাও দেখা যায়। ভিক্টর পরিবহণের মালিক সমিতিতেও ভিন্ন দুই রাজনৈতিক দলের কর্তৃত্ব রয়েছে।

মালিক সমিতির অধীনে আদায় হওয়া এই বিপুল অর্থ শ্রমিকদের কল্যাণেই ব্যয় হয় বলে দাবি করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তারা জিপি তোলার অজুহাত হিসেবে সড়কের লাইনম্যান খরচকে দেখিয়ে থাকেন।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবুল বলেন, এই টাকা কোম্পানির খরচে ব্যবহার করা হয়। কর্মকর্তাদের কিছু সম্মানী দেয়া হয়। তাছাড়া, পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা স্টাফ খরচ রয়েছে।

তবে পরিবহন সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, এই টাকা মালিক সমিতি ভাগ ভাটোয়ারা করে খায়। কমিটির কিছু সদস্যের নিজের গাড়িও নেই।

নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানোর সকল উদ্যোগ প্রভাবশালীদের অনাগ্রহে ভেস্তে যায়।

নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. মো. সালাহউদ্দিন বলেন, গেট পাসের (জিপি) নামে টাকা নেয়ার প্রভাব যাত্রীদের ওপর পড়ছে। বিষয়টি সমাধানে বিশেষজ্ঞদের সাথে সরকারের বসা উচিত। আইন ও প্রয়োগকারী বাহিনী থাকার পরও মালিক সমিতির জিম্মি থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ঢাকার গণপরিবহনের চেহারা পাল্টানোর উদ্যোগ বহু বছরের। কিন্তু মাঝখানে সুবিধাভোগী সিন্ডিকেটের কারণে তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এমনকি সড়ক নিরাপত্তায় থাকা আইনও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। যাত্রী শ্রমিকরা এর পরিবর্তন চাইছেন। এর জন্য সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি সবার।

সিলেট বিভাগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে তারেক রহমানের বৈঠক, ‘সিগন্যাল পাননি কেউ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ
সিলেট বিভাগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে তারেক রহমানের বৈঠক, ‘সিগন্যাল পাননি কেউ’

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার বিকেলে সিলটে বিভাগের নেতারা বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে জড়ো হন। লন্ডন থেকে ভিডিও কলে তাদের সাথে যুক্ত হন তারেক রহমান। বৈঠকে তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিলেও কাউকে গ্রিন সিগন্যাল দেননি বলে জানা গেছে।

এরআগে গত ১৯ অক্টোবর সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই বৈঠকেও একক প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়নি।

তবে মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠকে ১২৯ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী অংশ নিলেও সোমবারের বৈঠকে আর কম সংখ্যক নেতা অংশ নেন বলে জানা গেছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের বাইরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ভীড় করলেও তারেক রহমানের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সীমিত সংখ্যক নেতা। শুধুমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশীরাই এতে অংশ নেন। সেখানে উপস্থিথ নেতাদের কেউ বক্তব্য দেননি, শুধু তারেক রহমান বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া সিলেট জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন প্রতাশী আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, বৈঠকে তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেছেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলেল পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি এলাকায় কোন আনন্দ মিছিল করতে পারবেন না। যারা মনোনয়ন পাবেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। আর যারা মনোয়নবঞ্চিত হবেন তাদেরকে দলে মূল্যায়ন করা হবে।

এই বৈঠকে কাউকেই গ্রিণ সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শীঘ্রই বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে, সবাই আনন্দঘন পরিবেশে ফরম সংগ্রহ করবেন। এরপর তারেক রহমান চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবেন কে পাবেন ধানের শীষ প্রতীক।

জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো ভার্চুয়ালি বৈঠক করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার বিকাল চারটায় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠক শুরু হয়। পরে বিকেল ৬টায় খুলনা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বৈঠকে অংশ নেন। রাত ৮টায় ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। পাশাপাশি ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান উপস্থিত রয়েছেন।

বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
বৃষ্টি ঝরতে পারে ৫ দিন, উপকূলে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ের একটি প্রভাবিত অঞ্চল উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ৫ দিন সারাদেশে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
নভেম্বরে ক্লোজ নয়, দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত কাজ করবে কেবিনেট

উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।

আগামী নভেম্বরের মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার কার্যক্রম শেষ হবে বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া সংবাদ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এই বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোটার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে গতকাল রোববার ডিআরইউতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ‘কমিশন-প্রস্তাবিত আশু করণীয় ২৩টি সুপারিশ পর্যালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালা ও অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিছু বিষয় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’