সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু সংলগ্ন অংশে কুশিয়ারা নদীতে সেতু ও পরিবেশের ক্ষতি করে সরকারের অনুমতি ছাড়াই বালু আনলোডিংয়ের চেষ্টা করে একটি চক্র।

 

 

 

রবিবার (২২শে জুন) বিকালে সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে  অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুল ইসলাম।

 

 

 

দণ্ডিতরা হচ্ছেন জিয়া উদ্দিন ও ফরিদ মিয়া। তারা দুজনেই মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাসিন্দা। তবে তাদের সাথে আছে স্থানীয় একটি শক্তিশালী অসাধু চক্র।

 

 

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো শফিকুল ইসলাম জানান, একটি চক্র আইনের তোয়াক্কা না করে সেতুর পাশেই বাল্কহেড লাগিয়ে বালু আনলোডিং করছিলো। তাদের বারবার নিষেধ করলেও কোনো তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে।

 

 

 

এ প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে দুইটি মামলায় মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

 

তিনি বলেন, নদী ও পরিবেশ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। অবৈধ কোন কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। এই অসাধু চক্রের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

 

প্রসঙ্গত, ঘটনাস্থলে সেতুর পাশে প্রায় প্রতিবছর বালু বহনকারী বড় বড় বাল্কহেড ভিড়িয়ে আনলোডার মেশিন দিয়ে বালু আনলোড করা হয়।

 

 

বাল্কহেডের শক্তিশালী প্রপেলারের ঘূর্নীতে সেতুর তলদেশ ও খুটি ঝুকিতে পড়তে পারে। এ অভিযান কে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।