সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরশহরে এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে এক জমিয়ত ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ সমর্থিত শ্যামল কান্ত গোপ ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অভিযুক্তরা হলেন, বাংলাদেশ জমিয়ত জগন্নাথপুর পৌর শাখা সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথপুর বাজার পরিচালনা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক লিটন মিয়া এবং তাঁর শ্যালক চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সহ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ছাত্র শিশিবের সভাপতি রেজাউল করিম রিপন।

 

 

এদিকে শনিবার লিটন মিয়া বাদি হয়ে শ্যামল কান্ত গোপের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাদাবি ও আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা আখ্যায়িত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগপত্রে জগন্নাথপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদ ও তাঁর ছোট ভাই পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম খেজরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর অপ্রচারের অভিযাগ আনেন লিটন মিয়া।

 

ব্যবসায়ী শ্যামল কান্ত গোপ শনিবার বিকেলে সংবাদ সন্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে বলেন, লিটন মিয়া ও তাঁর শ্যালক রেজাউল করিম রিপন  প্রায় সময় আমাকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার ভয় দেখাতো। আমি ভয়ে  এক পর্যায়ে তাঁদেরকে ১০ হাজার টাকা চাঁদাও দিয়েছি। পরবর্তীতে গত ৩ জুন তারা আমার কাছে আরও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কিন্তু আমি দেইনি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

 

 

অভিযুক্ত লিটন মিয়া শনিবার রাতে পৌর পয়েন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোন প্রমাণ সে দেখাতে পারবে না। সে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা। ব্যবসার আড়ালে সে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।  আর এ মিথ্যা অভিযোগ ফেসবুকে ছড়িয়ে আমাদের পরিবারের মানহানীসহ রাজনৈতিক দল জমিয়ত ও জামায়াতের সম্মানহানি করা হয়েছে।

 

চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের জামায়াতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম  জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সর্ম্পূন অসত্য ও ভিত্তিহীন। এধরনের ঘটানার সঙ্গে আমরা কোনভাবে জড়িত নই।

 

 

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। যেই অপরাধী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।