জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২২-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গত মঙ্গলবার রাতে নতুন এই অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ এই দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটি বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন- এমন বেসামরিক নাগরিকরাও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে একাত্তরের এপ্রিলে গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বা মুজিবনগর সরকারের সব মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের যাদের বয়স ছিল এবং যারা মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হবেন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার ও দখলদার সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছেন তারাও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এই দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন- এমন বেসামরিক নাগরিকরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।