কোথাও কোনো জায়গা খালি নেই। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট কিংবা পর্যটন স্পষ্ট সব জায়গায় গিজগিজ করছে পর্যটক। হোটেল-রিসোর্টে সিট না পেয়ে অনেককে বাইরে রাত কাটাতে হচ্ছে। কোথাও যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। ভিড়ের কারণে ঠিকমতো নড়াচড়াও করা যাচ্ছে না। পছন্দমতো একটা ছবি তোলাও রীতিমতো দুষ্কর ব্যাপার। চা বাগানগুলোতেও উপচেপড়া ভিড়। খাবারের দোকানগুলোয় লেগে যাচ্ছে দীর্ঘ লাইন। খাবারের সময় সিটে বসে খাওয়া যেন সৌভাগ্যের ব্যাপার।

 

 

 

এমন দৃশ্য পর্যটন অঞ্চল সিলেটের। ঈদের দিন থেকে গত তিন দিন ধরে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অন্তত ২০ লাখ মানুষ ঈদের ছুটি কাটাতে বৃহত্তর সিলেটে ঘুরতে এসেছেন। বিশাল এই জনস্রোত সামাল দিতে প্রশাসনকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

 

 

 

ঈদ জামায়াতের পর থেকে সারা দেশের স্রোত যেন সিলেটের দিকে। ঈদের আগের দিনে ও রাতেও যেখানে সিলেট-ঢাকা রুটের বাসগুলোর সিট ফাঁকা আসে, সেখানে ঈদের দিন সকাল থেকে সিট পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়!

 

 

 

দীর্ঘ ছুটি থাকায় এবার ঈদের চতুর্থ দিনেও বিপুলসংখ্যক পর্যটককে সিলেট এসে ঢুকতে দেখা গেছে। চায়ের পাতায় মুগ্ধ হয়ে তারা আধ্যাত্মিক রাজধানী ও পর্যটন অঞ্চল সিলেটের দিকে ছুটে আসছেন। গতকালও পূর্ব বুকিং ছাড়া সিলেটের কোনো হোটেল-মোটেল বা রিসোর্ট নতুন কাউকে রুম দিতে পারেনি। কয়েকটি হোটেল ও রিসোর্টের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

 

 

 

সিলেটের অন্যতম পর্যটন স্পট সাদা পাথর ও জাফলং, বিছনাকান্দি, লালাখাল, রাতারগুল। এসব পর্যটনকেন্দ্রে মানুষজন ছুটে যাচ্ছেন সকাল থেকে। বিকেলের দিকে তা লোকারণ্য হয়ে ওঠে। হৈহুল্লোড় ও সাঁতার কেটে, পানিতে ডুব দিয়ে, সেলফি তুলে এক অপূর্ব সুন্দর সময় কাটান এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করে মুগ্ধ তারা।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি এই সিলেট। এখানে বেড়ানোর জায়গার যেন শেষ নেই। উঁচু-নিচু পাহাড়ে ঘেরা সিলেটে পাহাড়ের ঢেউ খেলানো চা-বাগান নিমিষেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয়। মহানগরের মধ্যে লাক্কাতুড়া, মালনিছড়া, তারাপুর ও দলদলি চা বাগান অবস্থিত। স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে বেড়াচ্ছেন আনন্দ খুশিতে।