মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টমটম পার্কিং নিয়ে দু’পক্ষে সংঘর্ষে শ্রীমঙ্গল চোমুহনা ও তার আশপাশ রণক্ষেত্রে হয়। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ৫৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। রবিবার রাত ১১ টা থেকে বোর রাত ২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে মার্কেট করতে আসা লোকজন ও পথচারীসহ উভয় প্রায় অর্ধশত আহত হয় বলে জানাযায়।

 

এঘটনায় ১৫ টি টমটম, ১ টি প্রাইভেট কার ভাংচুর হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা

 

 

এ ঘটনায় জড়িত মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধুসহ ১৪ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

 

এসময় ওই মেয়রের বাসায় সেনাবাহিনী তল্লাসী চালিয়ে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।

 

এ ঘটনায় শহরে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা লোকজন আতংকিত হয়ে ভয়ে পালিয়ে যান ও ঈদের আনন্দ পন্ড হয়ে যায়।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,শহরের হবিগঞ্জ সড়কে গদার বাজার নামক স্থানের সরকারী একটি খাস জমি একটি অংশে বিগত কয়েক মাস পূর্বে বিএনপির ওই প্রভাবশালী নেতা মহসিন মিয়া মধু বিনা লাভের বাজার খোলেন। কিন্তু পূর্বে ওই গদার বাজার ছিল টমটম চালকদের রিক্সা স্ট্যান্ড। রোববার রাত সাড়ে ১০ টায় মধু মিয়া ওই বিনা লাভের বাজার পরিদর্শনে আসলে বাজারের সামনে টমটম পার্কিং করা দেখে মধু মিয়া টমটম চালকদের সাথে বাকবিতন্ডা জড়িয়ে পড়েন। এসময় টমটম চালকদের এলাকার বাসিন্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আনার মেম্বার টমটম চালকদের পক্ষ নিয়ে মধু মিয়াকে জিজ্ঞাসা করেন গরীব লোকদের সাথে কেন অশোভন আচরণ করছেন? একপর্যায়ে ওই ইউপি সদস্যের সাথে মধু মিয়া ও তার লোকজনের বাকবিন্ডায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে মধু মিয়ার লোকজন ওই সময় প্রায় ১৫ টি টমটম ভাংচুর করেন।

 

 

 

এসময় মেম্বার আনার ও টমটম চালকরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়।

 

 

 

তারপর শহরের ভানুগাছ সড়কে মধু মিয়ার লোকজন সাগর নামে এক পরিবহন শ্রমিক নেতার একটি প্রাইভেট কারও ভাংচুর করেন।

 

 

 

পরে টমটম চালকদের এলাকা পশ্চিম ভাড়াউড়া গ্রামে এ খবর পৌঁছলে রাতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শহরের দিকে কয়েক শ গ্রামবাসী হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল দিয়ে মেয়রের বাসায় আক্রমণ করতে আসেন।এদিকে শহরের চৌমুহনাতে পুলিশ অবস্থান নিয়ে ফাঁকা গুলি করতে থাকে। অপর দিকে মেয়রের লোকজনও শহরের স্টেশন রোড থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গ্রামবাসীর ওপরে।

 

একপর্যায়ে পুলিশ সরে গেলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষে ৩৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে।

 

এসময় উপজেলার সবুজবাগ এলাকার জয় চৌধুরী নামে একজন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংঘর্ষ রাত ২ টা পর্যন্ত চলে।

 

 

 

এসময় শহরের বিভিন্ন দোকানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা লোকজন আতংকিত হয়ে দ্বিকবিদিক ছুটে যান। ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যান।

 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

এসময় ওই মেয়রের বাসায় সেনাবাহিনী তল্লাসী চালিয়ে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এসময় সেনাবাহিনী মহসিন মিয়া মধু, তার ছেলে মুরাদ হোসেন সুমন, চাচাতো ভাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম আহমদ, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আলকাছ মিয়াসহ ১৩ জনকে আটক করে শ্রীমঙ্গল থানায় হস্তাস্তর করা হয়।

 

এসময় ওই রাতেই সেনাবাহিনীর পশ্চিম ভাড়াউড়ায় অভিযান চালিয়ে আনার মেম্বারের ছেলেকে আটক করে নিয়ে আসে।

এদিকে শহরের চৌমুহনাতে পুলিশ অবস্থান নিয়ে ফাঁকা গুলি করতে থাকে। অপর দিকে মেয়রের লোকজনও শহরের স্টেশন রোড থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গ্রামবাসীর ওপরে।

একপর্যায়ে পুলিশ সরে গেলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষে ৩৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে।

এসময় উপজেলার সবুজবাগ এলাকার জয় চৌধুরী নামে একজন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংঘর্ষ রাত ২ টা পর্যন্ত চলে।

এসময় শহরের বিভিন্ন দোকানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা লোকজন আতংকিত হয়ে দ্বিকবিদিক ছুটে যান। ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এসময় ওই মেয়রের বাসায় সেনাবাহিনী তল্লাসী চালিয়ে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এসময় সেনাবাহিনী মহসিন মিয়া  মধু, তার ছেলে মুরাদ হোসেন সুমন, চাচাতো ভাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম আহমদ, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আলকাছ মিয়াসহ ১৩ জনকে আটক করে শ্রীমঙ্গল থানায় হস্তাস্তর করা হয়।

এসময় ওই রাতেই সেনাবাহিনীর পশ্চিম ভাড়াউড়ায় অভিযান চালিয়ে আনার মেম্বারের ছেলেকে আটক করে নিয়ে আসে।

এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার আিভযোগে মোট ১৪ জনকে তাদের নিকট হস্তাস্থার করা হয়েছে এবং সোমবার বিকালে সাবেক মেয়রসহ ১৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, গতকাল রোববার রাতে শহরে টমটম চালক, গ্রামবাসী ও সাবেক মেয়রের লোকজনের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছে, এতে অনেক লোকজন হতাহত হতে পারতো।