২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেই ফাইনালে স্বাগতিক রোহিতদের কাঁদিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিলো প্রতিশোধের মঞ্চ। ম্যাচে দু’বছর আগের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে দেয়নি ম্যান ইন ব্লু’রা। কোহলির দুর্দান্ত ৮৪ রানে ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিল ভারত।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্যাট হাতে দারুণ করেছেন কোহলি। ৫ চারে ৯৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছেন কিংবদন্তি ব্যাটার। ভালো করেছেন শ্রেয়াস আয়ারও। ৩ চারে ৬২ বলে ৪৫ রান করেছেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটে এসেছে ২৯ বলে ২৮ রান। ৩০ বলে ২৭ রান করেছেন অক্ষর প্যাটেল।
লাবুশেন, ইংলিস দু্ই ব্যাটারকে জাদেজা ফেরালে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ২৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৪ রান। পঞ্চম উইকেটে ৫৮ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারি। ৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে শামির ফুলটস বল কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন স্মিথ। ৯৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। সাত নম্বরে নামা ম্যাক্সওয়েল একটা ছক্কা মারলেও করেছেন মাত্র ৭ রান।
৭ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারালে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয় ৩৭.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৫ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারি খেলতে থাকেন নিজের মতো করে। বাজে বল পেলে সেগুলোকে বাউন্ডারিতে পরিণত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৫৭ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬১ রান করেন ক্যারি। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে হার্দিক পান্ডিয়াকে লেগ সাইডে ঠেলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন ক্যারি। স্ট্রাইকপ্রান্তে ডিরেক্ট থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন আইয়ার।
অস্ট্রেলিয়া অবশ্য পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি। ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে অ্যাডাম জাম্পাকে বোল্ড করে অজিদের ইনিংসের ইতি টানেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্মিথের ৭৩ রানই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সর্বোচ্চ। ভারতের মোহাম্মদ শামি ১০ ওভারে ৪৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। জাদেজা, বরুণ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।