টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে বসানো হয়েছিল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। কিন্তু সেই ক্যাম্পে দায়িত্বরতরা পাথর উত্তোলন বন্ধের পরিবর্তে অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথরবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা তোলা শুরু করেন। চাঁদাবাজির কিছু ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ১৩ জন সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। ঘটনাটি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার।

 

 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

 

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাই। এর প্রেক্ষিতে এসআইসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের আপাতত কোনো কর্মস্থলে দেওয়া হয়নি। তদন্তের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

 

ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেশ চন্দ্র রায়।

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টিলা কাটা ও পাথর উত্তোলন বন্ধে আরেফিন টিলার পাশে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসায় জেলা পুলিশ। কিন্তু পাথর উত্তোলন বন্ধ না করে চাঁদাবাজি শুরু করেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়েছে।