খুলনার জন্য জয় পাওয়ার আশাটাও প্রায় শেষই হয়ে গিয়েছিল সেখানে। কিন্তু, ক্রিকেটে বোধহয় শেষ বলে কিছু থাকে না। তানজিম সাকিব ১৯তম ওভারে হজম করলেন ১৫ রান। শেষ ওভারে খুলনার দরকার ছিল ১৯ রান। কিন্তু রুয়েল মিয়ার নাটকীয় ওভারে পড়লো দুই উইকেট। রান উঠল দশ। তাতেই খুলনা টাইগার্স হারলো ৮ রানের ব্যবধানে। এটা তাদের টানা দ্বিতীয় হার। আর সিলেট স্ট্রাইকার্স পেয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়।

 

 

 

সিলেটে দিনের শুরুতেই মাঠভর্তি দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন জাকির হাসান এবং রনি তালুকদার। শুরুতে রাখিম কর্নওয়াল এবং জর্জ মানসি ফিরে যাওয়ার পর এই দুই লোকাল খেলোয়াড় যোগ করেছেন ১০৬ রান। ফিফটি ছিল দুজনেরই। যদিও বোলারদের ওপর কিছুটা বেশিই চড়াও হয়েছিলেন জাকির।

 

 

 

সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আজকের দিনেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। সেই দিনটা রাঙিয়েছেন ৪৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে। রনি থেমেছেন ৪৪ বলে ৫৬ রান করে। শেষে অধিনায়ক আরিফুলের ২১ রানের ক্যামিও সিলেটকে এনে দেয় ১৮২ রানের পুঁজি।

 

 

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছে খুলনার টপ অর্ডার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার রোসিস্টো ৪৩ রান করলেও ছিলেন ধীরগতিতে। অন্যদিকে বাকিরা সবাই হয়েছেন মোটাদাগে ব্যর্থ। মিডল অর্ডারে ১৮ বলে ৩৩ রান করে অবশ্য খুলনার আশার পালে হাওয়া দেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। কিন্তু তানজিম সাকিবের স্লোয়ারে কাঁটা পড়েন তিনি।

 

 

 

তবু খুলনা হাল ছাড়েনি। লড়াই চলেছে শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষদিকে ১৬ বলে ২৮ রান ছিল মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। আর আবু হায়দার রনির ব্যাট থেকে এসেছে ৬ বলে ১৪ রান। অবশ্য সেটা খুলনার জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।