দিরাই পৌরসভার প্রধান গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দখল করে চলছে ব্যবসা। এতে হাজার হাজার পথচারীদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী। প্রশাসনের চোখের সামনে রাস্তা দখল করে ব্যবসা করলেন, তাদের উচ্ছেদে নেই কার্যকর পদক্ষেপ।

সরেজমিন দেখা গেছে, পৌর নগরের জগন্নাথ মন্দির থেকে থানা পয়েন্ট মোড় পর্যন্ত ২৪৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থ দুই লেনের রাস্তার দুই পাশে অবৈধ দখল করে আছে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনে দিনের পর দিন রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও এর কোন স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।

স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক রানা জুয়েল বলেন, রাস্তা বড় করা হয়েছে কিন্তু ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের জন্য পৌর শহরের এই প্রধান সড়কটিতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদেরকেও চলাচলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

পথচারী রেবেকা বেগম বলেন, এই রাস্তাটি দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারছিনা, রাস্তার মধ্যে পাকিং করা থাকে গাড়ী। আর রাস্তার কিনারে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা এমন ভাবে দখল করে রেখেছে যে ফুটপাত দিয়েও চলাচল করতে পারছিনা। তারা ফুটপাতে হাঁটার রাস্তায় বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রেখেছে যার ফলে বিভিন্ন ভাবে বিড়ম্বনায় পরতে হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর দিরাই উপজেলা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, জনদুর্ভোগ লাগবে দীর্ঘদিনের চেষ্টায় পৌরশহরের এই প্রধান সড়কটির কাজ আসে ২০২১-২২ অর্থ বছরে। ২ কোটি ২ লাখ টাকা বরাদ্দে দুই লেনের এই সড়কটি ৩২ ফুট প্রস্থ করে নির্মাণ করাও হয়। কিন্তু এই ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা রাস্তা নির্মাণের সাথে সাথে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। ব্যবসায়ীরা থানা পয়েন্টের কাছে দুই লেনের ডিভাইডারে উপরে মাছ নিয়ে বসে। পঁচা পানি ফেলে রাস্তায়, এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সুত্রধর বলেন, রাস্তা অবৈধ্য দখল করে থাকা ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের জন্য একাধিক বার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু তারা আবার এসে বসে যায়। এর স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে কয়েকজন ফুটপাত ব্যবসায়ীর সাথে আমার আলোচনা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে তাদেরকে আমরা পৌরসভার মাছ বাজারের কাছে পাকা করে ভাসমান দোকানের ব্যবস্থা করে দিব। তারা সেখানে চলে যাবে বলে আমাকে আশ্বস্থ করেছে। তখন তারা চলে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।