বাংলাদেশকে ২৪ দশমিক ৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান। প্রতি ডলার সমানে ১১৯ টাকা ৫০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

জাপান সরকারের ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজের প্রথম ব্যাচের আওতাধীন ‘যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ কনসট্রাকশন প্রজেক্ট ও চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় চুক্তি সই হয়েছে।

 

‘যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ কনসট্রাকশন প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। প্রকল্পে জাইকা ঋণ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা)। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটির জন্য জাপান সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে দিয়ে আসছে। প্রকল্পের ঋণের সুদের হার নির্মাণ কাজের জন্য ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, পরামর্শকের জন্য ০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধকাল ৩০ বছর। এর মধ্যে ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড। প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে ২৩ দশমিক ৭ কোটি ডলার দেবে চীন।

এ ঋণের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সুদের হার শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধ কাল ৩০ বছর (১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ)। দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সহায়তা দিচ্ছে করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্যখাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।