রাজধানী সিউলসহ দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন শহরে বাসচালক হিসেবে ১২শ’র বেশি অভিবাসী নিয়োগের কথা ভাবছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। ই-৯ ভিসাধারীদের যোগ্যতা, দক্ষতা এবং কাজের প্রকৃতি বিবেচনা করে বাসচালক হিসেবে কাজ করার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অধিকাংশ বাসচালক বয়স্ক। ফলে এখন থেকেই বাসচালকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে কম জন্মহারের দেশটিতে। পরিবহন খাতে দীর্ঘস্থায়ী চালক-ঘাটতি পূরণে চালক হিসেবে বিদেশিদের নিয়োগের এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে সোমবার (১৮ নভেম্বর) জানিয়েছে সিউল মেট্রোপলিটন।
গত মাসে অফিস ফর গভর্নমেন্ট পলিসি কো-অর্ডিনেশন পরিবহন খাতকে অন্তর্ভুক্ত করতে ই-৯ ভিসাধারীদের জন্য কর্মসংস্থানের মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য সরকারকে অনুরোধ করে সিউল মেট্রোপলিটন।
লোকাল বাসগুলো কোরিয়ান ভাষায় ‘মেউল’ বাস নামে পরিচিত। নিদিষ্ট দূরত্বে সিটির মধ্যে বেশকিছু রুটে চলাচল করে এ বাসটি, যাতে যাত্রীরা বড় বাস স্টপ এবং পাতাল রেল স্টেশনসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যেতে পারেন।

সম্প্রতি সিউলে মেউল বাসগুলোতে শ্রমিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সিউল ইনস্টিটিউটের মতে, যেখানে শহরের ১ হাজার ৬৩৮টি গ্রামে প্রতি বাসে গড়ে দুই জনের বেশি চালক থাকতে হয়; সেখানে গত মাস থেকে ৬০০ চালকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
মেউল বাসচালকের ঘাটতি মেটাতে, সিউল ইনস্টিটিউট ১ হাজার ২৪৭ জন অভিবাসী বাসচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিদেশি চালকদের জন্য ভিসা জটিলতা বছর শেষ হওয়ার আগেই সমাধান করতে হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর থেকে বিদেশি চালকদের মাধ্যমে পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে।
দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও পুরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়টি। তবে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা চলছে। ই-৯ ভিসাধারীদের যোগ্যতা, দক্ষতা এবং কাজের প্রকৃতি বিবেচনা করে বাসচালক হিসেবে কাজ করার অনুমতি দেয়ার বিষটি বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিদেশি নাগরিক যারা এইচ-২ (H-2) এবং এফ-৪ (F-4) ভিসাধারী, তারা চাইলে বাসচালক হিসেবে নিয়োগ নিতে পারের। কারণ এফ-৪ ভিসা শুধুমাত্র কোরিয়ান বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের দেয়া হয়।