গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আছিরগঞ্জ ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে মাছের ফিসারী দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইসলাম উদ্দিন আহমদ (৫৯) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ইসলাম আহমদ স্থানীয় আহমদ বংশের সফর উদ্দিনের ছেলে।গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। নিহত ইসলাম উদ্দিন আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন–
খাগাইল গ্রামের মৃত্যু ইসলাম উদিদন আহমদের ছেলে এমদাদুল হক এবাদ (২৬)। খাগাইল গ্রামের আহসান চৌধুরীর ছেলে তাহসান চৌধুরী (১৯)। খাগাইল গ্রামের বাহরাম চৌধুরীর ছেলে মির্জা গালিব (২৪)। খাগাইল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জামান হোসেন (১৫)। খাগাইল গ্রামের খায়ের আহমেদের ছেলে জসিম আহমেদ (৪৬)। খাগাইল গ্রামের কলিম চৌধুরির ছেলে ডালিম চৌধুরী (২২) খাগাইল গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে রাফসান মিয়া (২৩)। খাগাইল গ্রামের তাহের আহমেদের ছেলে তারেক আহমদ (৫৫)।আমুকনা গ্রামের রাসেল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (১৯)। খাগাইল গ্রামের হোসাইন আহমেদের ছেলে মারুফ আহমদ (৩২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌধুরী ও আহমদ বংশের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। এই বিরোধের জের ধরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। আহমদ বংশের সদস্য ও আহত এমদাদুল হক এবাদ বলেন, “বাহরাম চৌধুরীর ছেলে মির্জা গালিব ও তার দলবল আমাদের ফিসারী দখল করতে আসে। এর আগেও আমাদের বাড়িতে একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরেই আজ আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।”
অন্যদিকে, গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক মির্জা গালিব বলেন, “আমি ব্যক্তিগত কাজে বাড়িতে গেলে হঠাৎ করে আহমদ বংশের লোকজন আমার ওপর হামলা করে। এটি মূলত আমাদের গ্রামের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।”
গোলাপগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার জানান, “এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
সম্পাদক : আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ
প্রকাশক : কামরান আহমদ
উপদেষ্টা : সালেহ আহমদ
ফিডম সিলেট - @ কপিরাইট | ২০২৫